January 12, 2025

ভোট শেষ। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি-সেটা নিয়ে কবে ভাবা হবে??

1 min read

ভোট শেষ। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি-সেটা নিয়ে কবে ভাবা হবে?

তুহিন শুভ্র মন্ডল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শেষ। আট দফা নির্বাচন হল এবার। সপ্তম দফায় ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তা যদিও অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ?? ভোটের প্রচারে এবং ভোট প্রক্রিয়ায় পরিবেশের যে সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে কবে ভাবা হবে??জরুরী প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশ কর্মীরা।এক নজরে দেখা যাক কি কি ভাবে ভোটের প্রচারে ও ভোট দান প্রক্রিয়ায় ক্ষতি হয় পরিবেশের?এক) ভোটের সময় যে ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ফ্ল‍্যাগের মাধ‍্যমে প্রচার করা হয় তাতে প্লাস্টিক অথবা পলিথিন ব‍্যবহৃত হলে।দুই)ভোটের প্রচারে লাউড স্পিকারের সীমাহীন ব‍্যবহারে শব্দ দূষণ।তিন) ভোটের প্রচারে এবং ভোটের সময়ে যে প্রচুর ‘ফুটফল'(ফুটফল- মানুষের পা মাটিতে যত বেশি ছোঁয় বা আঘাত করে) হয় তা বেশি পরিমানে ধূলিকণা বাতাসে মিশিয়ে বায়ুদূষণ ঘটায়।চার) গাছে পেরেক পুঁতে ভোট প্রচারের ফ্ল‍্যাগ, ফেস্টুন আটকানোর দরুণ।গত লোকসভা ভোটে ন‍্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইবুনালের নির্দেশে এবং ইলেকশন কমিশনের উদ‍্যোগে ভোটের প্রচারে প্লাস্টিক -পলিথিন ব‍্যবহার না হলেও এবার কিন্তু ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে। ব‍্যাপক পরিমাণে শব্দ দূষণ হয়েছে। গাছকে বাদ রাখা হয়নি,পেরেক দিয়ে ফ্ল‍্যাগ লাগানো হয়েছে।

বালুরঘাট ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এ নিয়ে ইলেকশন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বালুরঘাটের বাসিন্দা অলিন্দ‍্য চক্রবর্তী। তার কথায় ‘গাছের ক্ষতি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’ এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল পরিবেশ প্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্পের তরফেও। তাদের পক্ষে সনাতন প্রামাণিক নেপাল দাস সুতপা দাশগুপ্ত সঙ্গীত কুমার দেব প্রদীপ সাহা কিঙ্কর দাসরা বারবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।কাজ যে একদম হয়নি তা নয়। প্রশাসনের আধিকারিক -কর্মীরা চেষ্টা করেছেন গাছের গা থেকে এগুলো তুলে দিতে। কিন্ত প্রচুর সংখ‍্যক গাছকে যেভাবে বিঁধে ফেলা হয়েছিল তা থেকে সবাইকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।আর একটি বিষয় এবারে যুক্ত হয়েছে ভোটে। তা হল ভোট দেওয়ার জন‍্য যে প্লাস্টিকের গ্লাভস্ দেওয়া হয়েছিল,ভোট দানের পরে তা কিছু সংখ‍্যায় ডাস্টবিনে জমা হলেও মাঠে, মাটিতে দেখা গেল প্রচুর। কি হবে সেসবের আবর্জনা ব‍্যবস্থাপনা?কোন উত্তর নেই।পরিবেশ কর্মীরা বলছেন ‘ভোটে যেভাবে পরিবেশের ক্ষতি হয় তাকে শূন‍্যে নামিয়ে আনার জন‍্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা ভোট এলে এক ধাক্কায় পরিবেশের ক্ষতি অনেক বেড়ে যায়। তাকে বন্ধ করা হবে কবে? করোনার সংক্রমণ রোধে ভার্চুয়াল সভা করা যেত না?’ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু পরিবেশ কবে সুবিচার পাবে? এই প্রশ্ন এখন বড় আকারে দেখা দিয়েছে। আর সেটা শুধু পরিবেশ কর্মীরা নয়, প্রশ্ন তুলুক অন‍্যরাও কেননা পরিবেশ সবার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন‍্য ভবিষ্যৎ পরিবেশকে ভাল রাখতে এই দায়বদ্ধতা নিতেই হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *