ব্রহ্ম বিদ্যালয় ও বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষায় অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায়
1 min read
তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)-ব্রহ্ম বিদ্যালয় ও বিশ্ব ভারতীর উতিহ্যশান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই 19 01 সালে । সকালে পরিশুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গুরু শিকষ্য সকলে সম্মিলিত হয়ে বেদ মন্ত্র, ব্রহ্ম সঙ্গীতের মাধ্যমে উপাসনা করে যোগাভ্যাস, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রবন্ধ পাঠ, নির্দিষ্ট অধ্যাপকের শিক্ষামূলক বক্তৃতার দ্বারা বৈতালিক পর্ব সমাপ্ত হত। ব্রহ্ম বিদ্যালয় এখন পাঠভবনে রূপান্তরিত ।বৈতালিকের আদ্যোপান্ত এখন বিনয়ভবনের শিক্ষা বিভাগে এলেই দেখা যায় সেই ব্রহ্ম বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র -ঐতিহ্য ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আমরা এক সকালে বিনয়ভবনের শিক্ষা বিভাগে গিয়ে হাজির হলাম । দেখলাম বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনের শিক্ষা বিভাগের প্রাত্যহিক বৈতালিক । উপাসনা গৃহে সকাল থেকে সেতার বাজনার মূর্ছনা ধ্বনিত হচ্ছে । সকলে দাঁড়িয়ে পরিশুদ্ধ বস্ত্র পরিধান অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতির সামনে ফুল পাতা দিয়ে সাজানো মঙ্গলঘট, ধূপ,দীপ সহকারে, ওঁ পিতা ন হ সি …….মন্ত্র দিয়ে শুরু হয় করে ।তার পর একটি ব্রহ্ম সঙ্গীত।সেদিন আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল “ তুমি আমাদের পিতা তোমায় পিতা বলে যেন……….”এই গানটি শ্রবণ করার ।
ব্রহ্ম উপাসনার যথার্থ সঙ্গীত এটা । তারপর সমবেত সকলে নীরবে যোগমগ্ন হলেন ।সেতারের ধ্বনি ও ধূপের গন্ধে এক অনির্বচনীয় নৈসর্গিক পরিবেশ তৈরি হল । তার পর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দুইজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা নিয়ে পাঠ করলেন ।এর পর যিনি বক্তব্য রাখলেন তিনি হলেন অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় । নিয়তিবাদ, প্রবৃত্তি ও আধুনিকতা নিয়ে তিনি বক্তৃতা করেন । প্রায় পনের বছর ধরে অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় নিষ্ঠার সঙ্গে এই বৈতালিক পর্ব পরিচালনা করে আসছেন ।ঐদিন উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কাহ্নু চরণ সাহু মহাশয় ।তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন যে তিনি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকতে এই বৈতালিক অনুষ্ঠান চলবে ।এছাড়াও বৈতালিকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পার্থপ্রতিম সিকদার, আনন্দ গোপাল পাল, প্রবীর লাহা । অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় একজন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, গবেষক
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});