লকডাউনের জেরে কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির আটশো কার্পেট শ্রমিক বেকার,ইতিমধ্যেই ক্ষতি এক কোটি টাকার বেশি
1 min readলকডাউনের জেরে কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির আটশো কার্পেট শ্রমিক বেকার,ইতিমধ্যেই ক্ষতি এক কোটি টাকার বেশি
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-(উত্তর দিনাজপুর ]–করোনা ভাইরাসের জেরে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।তেমনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য লকডাউনের কারনে দিনের পর দিন সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে থাকার কারনে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ঐতিহ্যবাহী মালগাঁওয়ের কার্পেটে শিল্প ইতি মধ্যেই এক কোটি থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েগেছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতি বার এক সাক্ষাৎকারে মালগাঁও হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক আবু তাহের বলেন মালগাঁও এর কার্পেট শিল্প কিছুদিন যাবৎ একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল।কিন্তূ করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে লগডাউন শুরু হবার ফলে কার্পেট শিল্পে কোন শ্রমিক কাজ করতে যেমন পারছেনা।
তেমনি প্রতিদিন এই কার্পেট শিল্পে যে কার্পেট উৎপাদন হত তাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এর ফলে কার্পেট শিল্পের সাথে কমবেশি আটশো পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকরা যারা কার্পেট তৈরি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের সেই আয় বন্ধ হয়ে যাবার ফলে চরম সমস্যার মধ্যে তারা কাটাচ্ছে।যার মধ্যে তিনশো জন মহিলা আছে।
এই মহিলাদের জীবন জীবিকা কার্পেটের কাজের সথে সম্পূর্ন ভাবে যুক্ত।মালগাঁও হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক আবু তাহের বলেন তাদের মালগাঁওয়ে সম্প্রতি মালগাঁও–কুনোর মেগা কার্পেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি তৈরি হয়েছে সেখানকার অবস্থ্যাও শোচনীয়। আবু তাহের বলেন অবিলম্বে এই কার্পেট শিল্পকে পুনরায় চাঙ্গা করত রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং
কেন্দ্রীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন প্রচুর পরিমানে কার্পেট মজুত থাকলেও তারা দীর্ঘ প্রায় একমাস যাবৎ ভারতবর্ষের কোন রাজ্যেই তাদের উৎপাদিত কার্পেট নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে না পারায় তাদের সমিতি প্রচুর ক্ষতির মুখে।তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার শিল্প বলতে মালগাঁওয়ের কার্পেট শিল্পই ছিল।
করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন কবে উঠবে তা কেও বলতে পারবেনা।একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ার কারণে এই ক্ষতি যে আরো কত বেড়ে যাবে তা কেও বলতে পারবেনা।এদিকে তাদের কার্পেট শিল্পে যে সমস্ত কার্পেট শ্রমিকরা প্রতিদিন ২৫০-৪৫০টাকা আয় করতো তারা সেই সি থেকে বঞ্চিত হবার ফলে তারা চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে আবুতাহের জানান।
সরকার চাল,ডাল,আলু দিলেও তাদের নগদ অর্থের ভীষন প্রয়োজন।অবিলম্বে সরকারের এই দিকটা নিয়ে ভাবা উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।এদিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের অবস্থাও সঙ্গীন।স্থানীয় হাট বাজার বন্ধ হয়ে যাবার কারনের সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে টেরাকোটার বাজারে না যেতে পারার কারণে টেরাকোটা শিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে।দীর্ঘ দিন থেকে কাজকর্ম বন্ধ থাকায় সরকারের চাল,ডালের উপরই তাদের একমাত্র ভরসা।বিশিষ্ট টেরাকোটা শিল্পী গোপাল রায় এবং দুলাল রায় বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে তাদের মধ্যে যেমন বিশাল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি তাদের কাজ করবার মানসিকতা হারিয়ে গিয়েছে।টেরাকোটা শিল্পীরা চিন্তাই করতে পারছেনা তাদের ভবিষ্যত দিনগুলি কি ভাবে চলব?কার্পেট শিল্পীদের মত টেরাকোটা শিল্পীদের দাবি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের এই বিপদের দিনে এগিয়ে এসে এই সমস্ত শিল্পীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।