October 24, 2024

মমতা ব্যানার্জির ছবি সেটে সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ খুলে পেশাদার বিশিষ্ট সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ কালিয়াগঞ্জে

1 min read

মমতা ব্যানার্জির ছবি সেটে সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ খুলে পেশাদার বিশিষ্ট সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ কালিয়াগঞ্জে

জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা।ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের। এই শহরেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, টেলিভিশন চ্যানেল, পোর্টাল নিউজ চ্যানেলের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক বন্ধুরা সুনামের সাথে সাংবাদিকতার কাজ করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরেই। পলিটিক্যাল নিউজ থেকে নন পলিটিক্যাল নিউজ সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর দৈনন্দিন সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন বিভিন্ন মাধ্যমে কালিয়াগঞ্জের সাংবাদিক বন্ধুগন। তাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী যিনি দূরদর্শনের বিশিষ্ট সাংবাদিক। গত দুইদিন ধরে তিনি পৃথক পৃথকভাবে দুটি বিশেষ সংবাদ কভার করে নিউজ করেছেন কালিয়াগঞ্জের পোর্টাল নিউজ ” বর্তমানের কথা ” নামে চ্যানেলে।

 

একটি নিউজ ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের, অপর নিউজটি ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের। ইটাহারের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দ্বারা নতুন রাস্তার শিলান্যাসের নিউজ এবং অপরটি ইসলামপুর পৌরসভার পৌরপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল দ্বারা বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কংক্রিটের সেতুর শিলান্যাসের নিউজ। সাংবাদিক বন্ধু তন্ময় চক্রবর্তী এই নিউজ দুটি একটি সোশ্যাল মিডিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেছেন। তারজন্য এই বিশিষ্ট সাংবাদিক বন্ধু কে চরমতম অকথ্য ভাষার সম্মুখীন হতে হলো। বিস্তারিত এখন এই প্রতিবেদনে। কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী যিনি নিজেকে একজন নেতার বেশে তুলে ধরছেন বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি হলেন শুভ্র প্রতিম রায়। যার নিজের এলাকায় অর্থাৎ যে ওয়ার্ডে তিনি বাস করেন সেই বুথের জনগন থেকে একপ্রকার বিচ্যুত অর্থাৎ তার অহংকার, হামভরা ভাব এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সেই বুথের জনগন তাকে পছন্দ করেন না, আর তিনিই আবার কালিয়াগঞ্জ শহরের ” দিদি কে বলো ” ,” বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির দলীয় নেতৃবৃন্দের পাশে থাকার মুখ এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কেন্দ্রিক সোশ্যাল মিডিয়ার তিনিই নাকি কর্ণধার। সোশ্যাল মিডিয়া সম্বলিত এই মহান তৃণমূলি শুভ্রপতিম মহোদয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ” কালিয়াগঞ্জ জলযোগ ” বলে একটি গ্রুপ খুলেছেন যেখানে তিনি গ্রুপ এডমিন। আর ঐ নামাঙ্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এডমিন হয়ে তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী কে ঐ গ্রুপে যোগদান করিয়েছেন। শুভ্রপ্রতিম রায় তিনি যেহেতু দলের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন দলের প্রচারে সেখানে উনার ক্রিয়েটিভিটি উক্ত নামাঙ্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সরকারি ভাবে পদাধিকারী এবং দলীয় পদাধিকারী যথাক্রমে অমল আচার্যের এবং কানাইয়াল আগরওয়ালের নিউজ বিশিষ্ট সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী কি কোনো অন্যায় কাজ করেছেন ঐ সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভ্রপ্রতিম রায় কতৃক নামাঙ্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিউজটি শেয়ার করে। সরকারি কাজ , সেই খবর তাও আবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিশিষ্ট দুই পদাধিকারী নেতৃত্বের নিউজ। কি অন্যায় কাজ করেছেন সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী??? এই প্রতিবেদনে আমি একজন প্রতিবেদক সাংবাদিক হয়ে প্রথমেই একটি প্রশ্ন তুলে ধরতে চাইছি ” কালিয়াগঞ্জ জলযোগ ” নামে যে সোশ্যাল মিডিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ টি শুভ্রপ্রতিম রায় একজন এডমিন হয়ে ওপেন করেছেন সেই গ্রুপের প্রোফাইল ছবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ বাংলার গর্ব মমতা লেখাটি তিনি ব্যবহার করেছেন, সেই ব্যবহার করবার লিগ্যাল পারমিশন কি উনার নেওয়া আছে? ” কালিয়াগঞ্জ জলযোগ ” নামে কি কোনো দলীয় ( তৃণমূল কংগ্রেসের ) সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ দলীয় ভাবে পারমিশন নিয়েই কি তিনি ওপেন করেছেন নাকি ইচ্ছা মর্জি তে ? যদি পারমিশন ছাড়াই নিজের ইচ্ছে মর্জি তে হয় বা পারমিশন নিয়েই করে থাকেন সেখানে নিশ্চয়ই উনি দলের প্রচারের জন্যই গ্রুপ টি ওপেন করেছেন। আর সেই গ্রুপেই তো সরকারি ভাবে শিলান্যাসের নিউজ করে বিশিষ্ট সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী ঐ দুটি খবর সেই গ্রুপে শেয়ার করেছেন। সেখানে শুভ্রপ্রতিম রায় জেহাদ ঘোষনা করে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে সাংবাদিক তন্ময় চক্রবর্তী কে আক্রমন করলেন সেখানে পরিষ্কার কালিয়াগঞ্জ শহরের এই হনু তৃণমূলী শুভ্রপ্রতিম রায় অমল আচার্য এবং কানাইয়াল আগরওয়ালের দিকে আঙুল তুলে ধরলেন। তিনি বলতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতৃত্ত্বের নিউজ কেন শেয়ার করা হলো। এহেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী শুভ্রপ্রতিম রায়ের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন বিশিষ্ট জনসংযোগ বিহীন কর্মীদের জন্যে দলের নেতৃবৃন্দের খেসারত দিতে হচ্ছে বর্তমানে। নিজেকেই প্রচারের আলোয় তুলে ধরতে সদা ব্যস্ত শুভ্রপরতিম রায় দলের সর্বনাশের কান্ডারী হয়ে সাংবাদিক দের চোখ রাঙাতেও দ্বিধা করছে না, সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে কি ব্যবহার করছেন আপনারাই বলবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *