করোনা ভাইরাস নিয়ে নজরদারি শুরু স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এ।
1 min readকরোনা ভাইরাস নিয়ে নজরদারি শুরু স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এ।
তন্ময় চক্রবর্তী। উত্তর দিনাজপুর করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন কোটা বিশ্ব আতঙ্কিত সেই সময় উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট রাধিকাপুর শুরু হলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতায় জোরদার নজরদারি।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডক্টর প্রকাশ রায়, কালিয়াগঞ্জ এর বি এম ও এইচ সন্দীপ বাগের নেতৃত্বে রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। ফলে সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ ও চেকপোষ্ট কর্মীদের মধ্যে একটু স্বস্তি খিদে পেয়েছে।
এতদিন ওড়না নিয়ে নজরদারি না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে ছিল তারা। বিএসএফ, শুল্ক দপ্তর এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বয় এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এ কাজকর্ম চলে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে গত এক মাস ধরে চীনসহ নানান দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তানিয়া আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এ দেশেও। এদিকে রাধিকাপুর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ যাতায়াত করেন অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন। এরমধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা, এতদিন তা নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরে কোন নজরদারী ছিলনা। ইতি চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা তিন বিভাগের কর্মীদের আতঙ্কের দিন কাটছিল।
চেকপোস্টের এক কর্মী জানান, একাধিক বার বিভাগীয় বার্তা পাঠানো হয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। কিন্তু এতদিন রাধিকাপুর এ কোন নজরদারী ছিলনা।সম্প্রতি এই নজরদারি স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে শুরু হওয়ায় অনেকটা চিন্তা কমলো। জানা জানা যায় কালিয়াগঞ্জ স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম প্রতিদিন
সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা ওবদি এবং বিকালেও দু’ঘণ্টা নজরদারি চালাবে।প্রতিদিন যে মানুষজন সীমান্ত পেরিয়ে দেশে আসছে তাদের উপর নজরদারি রাখবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এই টিম। কোন ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে সেই ব্যক্তি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে আলাদাভাবে বলে জানা যায়। জানা যায় এই নজরদারি চলবে কিছুদিন টানা।