December 23, 2024

কালিয়াগঞ্জ এ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল চার বছরে যে কাজ করেছে শহরের উন্নয়নের স্বার্থে তা নজিরবিহীন।

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল চার বছরে যে কাজ করেছে শহরের উন্নয়নের স্বার্থে তা নজিরবিহীন।

তনময় চক্রবর্তী শুধুমাত্র মুখে মিষ্টি কথার মাধ্যমেই মানুষের মন জয় করা যায় না ,কাজ করেই মানুষের আপন   হওয়া যায়।তাই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা মা-মাটি-মানুষের পৌরসভা হওয়ার পর থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে চলছে প্রতিনিয়ত। গত ৩০ বছরে কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ এর  জন্য যা পারেনি সিপিএম এবং কংগ্রেস এর নেতৃত্বে পৌরবোর্ড তা করে দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় তৃণমূল পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। গত তিন বছরে তিনশ  কোটি টাকা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা সরকার এর কাছ থেকে এনে  যে উন্নয়নমূলক কাজ করছে তা এক নজিরবিহীন এবং অবাস্তব ঘটনা।

এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, বিগত ৩০  বছরের পৌরসভায় কালিয়াগঞ্জ শহর শুধু পিছিয়ে গেছে এগিয়ে যায়নি।  তারা এসে  কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা মা-মাটি-মানুষের পৌরসভায় প্রতিষ্ঠা করার পরে কালিয়াগঞ্জ শহরের যেমন একদিকে  ড্রেনেজ সিস্টেম এর আধুনিকরণ হচ্ছে তেমনই  কালিয়াগঞ্জে বাস স্ট্যান্ড হচ্ছে, ট্রাক স্ট্যান্ড হচ্ছে, শিশু উদ্যান হয়েছে, কালিয়াগঞ্জে পার্ক হচ্ছে। ঠিক তার সাথে তাল মিলিয়ে শহরের যে সমস্ত ছোট ছোট রাস্তা রয়েছে যেখানে কোন কোন জায়গায় যেমন ইটসোলিং রয়েছে,

কোথাও হয়তো কংক্রিটের প্রয়োজন সেই চাহিদাকে মাথায় রেখে সেই রাস্তাগুলকেও পাকা করার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাই   রাজের মা-মাটি-মানুষের সরকার ইতিমধ্যে আবার ও ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা কে এই সমস্ত রাস্তাগুলোর আধুনিকরণ করার জন্য।

 

ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার টেন্ডার এর প্রক্রিয়া  সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে থেকে এই কাজগুলো শুরু হতে চলছে।এছাড়াও মিশন গ্রীন সিটি মিশন এর মাধ্যমে ৬ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিভিন্ন স্কুলের  কাজ হবে  তেমনই শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য বহুমুখী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান  । এছাড়াও পৌরসভার বিভিন্ন তহবিল থেকে ছোট ছোট রাস্তার সংস্কার এর কাজ শুরু হয়েছে তেমনই কোথাও গার্ডওয়াল এর প্রয়োজন হলে সেখানে গার্ডওয়াল তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।

পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল আরও বলেন শুধুমাত্র এই কাজগুলো নির্বাচনের জন্যই করা হচ্ছে না এই কাজগুলো মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং মানুষের বহুদিনের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে এগুলো করা হচ্ছে। তিনি বলেন দোল উৎসব এর পরেই প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকার কাজ শুরু হতে চলছে শহরের উন্নয়নের স্বার্থে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালিয়াগঞ্জে আসাতে  কালিয়াগঞ্জ বাসীর কি লাভ হল এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,কালিয়াগঞ্জ বাসীর সবচেয়ে বড় দাবি ছিল কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের উন্নতিকরণ। আর সেই লক্ষ্যে কালিয়াগঞ্জ বাসীর প্রভূত লাভ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী আশায়।

 

কারণ তিনি এখানে এসেই কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ যেমন করে দিয়েছেন তেমনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই কালিয়াগঞ্জ থেকেই আরো বহুমুখী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন ।  যা এক নজিরবিহীন ঘটনা। পৌরসভার চেয়ারম্যান আরো বলেন , কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় বিরোধী বলতে তেমন কিছু নেই। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে বোর্ড অফ কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নেয় সেখানে বিরোধী কাউন্সিলররা সহমত পোষণ করে প্রতিনিয়ত। তিনি  বলেন তারাও রাজনীতিগত ভাবে বিরোধীদের  সব চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয় তাই যে কয়টি ওয়ার্ড রয়েছে কালিয়াগঞ্জ এ বিরধিদের  সেখানে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বেশি করে প্রায়োরিটি দেওয়া হয়েছে সব সময় । যাতে তাদের ওয়ার্ডে বেশি করে কাজ হয়।

 

তারা কোন সময় যাতে  বলতে না পারে যে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।তিনি বলেন বিরোধী ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে যেমন ১০  নম্বর ওয়ার্ড বহুদিন ধরে পিছিয়ে পড়েছিল কিন্তু তারা সেই পিছিয়ে পড়া তকমা ঘুচিয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে সে ওয়ার্ডে ও রাস্তা ,ড্রেন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছে অন্যান্য ওয়ার্ডের মতন করে ই এখন উন্ন্যনের আলোতে সামনের সারিতে এগিয়ে এসেছে এখন শুধু তাই নয় এই ওয়ার্ড এ   প্রচুর আবাস যোজনার ঘর তারা দিয়েছে যেখানে সাধারন গরিব মানুষরা আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে।

 

আর ১৩  নম্বর ওয়ার্ডে তো এখন  নজর কাড়ার মতো কাজ হয়েছে এবং এখনও হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এই ১৩  নম্বর ওয়ার্ডে একদিকে যেমন নেতাজি পার্ক এর কাজ চলছে তেমনি মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দিরের  চারিপাশে সৌন্দর্যায়ন এর কাজ চলছে। উচ্চ বাতিস্তম্ভ হয়েছে,  ড্রেনেজ সিস্টেম এ আধুনিকরণ হয়েছে। এছাড়া মহেন্দ্রগঞ্জ এর মূল প্রবেশদ্বার এর  রাস্তার কাজ আগামী দিনের চওড়া হতে চলছে। প্রচুর কাজ এই ওয়ার্ডে হয়েছে। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে পুরভোটের দামামা বেজে গেছে। উন্নয়ন নিয়ে কালিয়াগঞ্জ বাসী  যা পেয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না স্বাধীনতার পরে এই প্রথম এত কাজ ।

 

তাই বিরোধীদের আর কিছু বলার জায়গা নেই। শুধু কাদা ছোড়াছুড়ি ছাড়া  ওদের কাছে আর কোন অস্ত্র নেই। উন্নয়নে কোনো ইস্যু করতে পারবে না কারণ কালিয়াগঞ্জে মা-মাটি-মানুষের পৌরসভা যেভাবে কাজ করছে তা একটা অবাস্তব নজিরবিহীন ঘটনা এই ছোট্ট পৌরসভার ক্ষেত্রে। বিজেপির ট্রেন বনাম তৃণমূলের হাসপাতাল এ দুটোর মধ্যে কোনটা মানুষের মধ্যে এফেক্ট হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে পৌরপতি  জানান হাসপাতাল একটা বড় ইস্যু ছিল কালিয়াগঞ্জ বাসীর ক্ষেত্রে, সেটা আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  কালিয়াগঞ্জ এ এসে হাসপাতালের  পরিকাঠামো উন্নয়ন করার কথা ঘোষণা করে  মানুষের চাহিদা অনেকটাই মিটিয়ে দিয়েছে  চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসার পরে রাজ্যের তরফ থেকে প্রায় তিনশ  কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ শুরু হয়েছে কালিয়াগঞ্জ শহর জুড়ে।

 

যা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। পৌরপতি বলেন বিগত দিনে সিপিএম এবং কংগ্রেস ৩০  বছরে কালিয়াগঞ্জ শহরে  রাজত্ব করলেও তারা ৩০ কোটি টাকা আনতে পারেনি। কালিয়াগঞ্জের  উন্নয়নের স্বার্থে যেভাবে শহরের মানুষ নিঃস্বার্থভাবে নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন রাস্তা  ও ড্রেনেজ সিস্টেম এর আধুনিকরন করার জন্য তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।তিনি সেই সমস্ত মানুষদের অভিনন্দন জানান  যারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে  উন্নয়নের স্বার্থে।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তত্ত্বাবধানে যে সমস্ত কাজগুলো চলছে সেগুলো কবে উদ্বোধন হবে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পৌরপতি জানান ইতিমধ্যে শিশু উদ্যান, কালিয়াগঞ্জ পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালিয়াগঞ্জে এসে উদ্বোধন করে গিয়েছেন  তেমনই খুব তাড়াতাড়ি বাস স্ট্যান্ড উদ্বোধন হতে চলছে তার পাশাপাশি  অন্যান্য কাজগুলো একে একে উদ্বোধন করা হবে।

পৌরপতি নিজে একজন কালিয়াগঞ্জ টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বটে। তাই দিদিকে বল কর্মসূচি কালিয়াগঞ্জে কতটা সফল এ প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জে দিদিকে বল কর্মসূচিতে প্রচুর সাড়া পড়ে গেছে ইতিমধ্যে। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষের উপকার হয়েছে চিকিৎসা  ক্ষেত্রে   যেমন তেমন ই   ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে ও । ইতিমধ্যে এ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালিয়াগঞ্জ এর এক ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা দিলেন তার চিকিৎসার জন্য।সামনে পৌরসভা নির্বাচন এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা প্রস্তুত এ প্রশ্নের উত্তরে কালিয়াগঞ্জ চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, তারা সব সময় প্রস্তুত রয়েছে যখনই নির্বাচন হোক না কেন। তিনি বলেন আমাদের কোন ভয়ের ব্যাপার নেই কারণ আমাদের সাথে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর সাধারন মানুষ। এবার কি তাহলে  কালিয়াগঞ্জ এ বিরোধীরা কোন  আসন পাবে না ?  এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এটা কালিয়াগঞ্জ এর সাধারন মানুষ বলবে। ৩০ বছরের পৌরসভা কেমন চালিয়েছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস । আর আজকে  এই চার বছর ধরে কেমন চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। এই দুটোর তফাৎ লক্ষ করলেই সাধারণ  মানুষ বুঝতে পারবে আসল কে আড় নকল  কে ।তিনি বলেন মানুষই বিচার করবে আমরা কি কাজ করেছি। মানুষের উপর তাদের পূর্ণ আস্থা এবং ভরসা রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *