ভেষজ আবির তৈরি করছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা
1 min readভেষজ আবির তৈরি করছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তাদের পরামর্শে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভেষজ আবির তৈরি করে স্বনির্ভর গ্রামীন এলাকার মহিলারা। দোল উৎসবকে সামনে রেখে উত্তর দিনাজপুর জেলার ব্যবসায়ীরা আবির এবং রং মজুত করেছেন। বাজারজাত আবিরে রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতির কারণে অনেকেই দোলের উৎসবে তা ব্যবহার করতে চান না। দোল উৎসবে যাতে সকলেই আবির খেলেন সেজন্য চোপড়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ভেষজ আবির তৈরি করছেন। এজন্য চোপড়ার পাগলিগছ এবং দলুয়াতে একটি করে মহিলা স্বনির্ভর দলকে সম্প্রতি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মাঝে আর কয়েটা দিন, তারপর দোল উৎসব। একথা মাথায় রেখে রঙের উৎসবের আগে ভেষজ আবির তৈরির তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিট, হলুদ সহ গাছের ফল, ফুল, পাতা দিয়ে জৈব প্রক্রিয়ায় আবির তৈরিতে লেগে পড়েছেন জেলার চোপড়া ব্লকের ধন্দুগছ এলাকায় একটি স্বনির্ভর দলের মহিলারা। ভেষজ আবির তৈরি করে প্যাকেটজাত করছেন তাঁরা।
স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় রাসায়নিক আবিরের বদলে ভেষজ আবির ব্যবহারের প্রচারেও নেমেছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলে ভেষজ আবির বাড়িতে পৌঁছে দেবেন তাঁরা।উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রের উদ্যোগে চোপড়ায় তিন বছর আগে মহিলা দলের মাধ্যমে ভেষজ আবির তৈরির পাশাপাশি ভেষজ আবির ব্যবহারের জন্য সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছিল। গত তিনবছর ধরে স্থানীয় পাগলিগছ এলাকায় একটি স্বনির্ভর দলের মহিলারা ভেষজ আবির তৈরি করে এলাকায় সারা ফেলেছিলেন। স্থানীয় ধন্দুগছ এলাকার শক্তি মহিলা দলের উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে। দলের নেত্রী অণিমা মজুমদার সরকার সহ সোমা দাস, অঞ্জলি বোস দাস ও স্থানীয় ১০ থেকে ১২ জন মহিলা ইতিমধ্যে ভেষজ আবির তৈরির কাজে লেগে পড়েছেন।উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ ডঃ অঞ্জলি শর্মা বলেন, বিভিন্ন ফল, ফুল গাছের পাতার সঙ্গে সাদা রংয়ের অ্যারারুট মিশিয়ে জৈব প্রক্রিয়ায় আবির তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দলের মহিলাদের। আগে অন্য একটি দল ভেষজ আবির তৈরি করত। চাহিদার জন্য এবার আগেই আবির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় ভেষজ আবিরের ভালো সাড়া পড়েছে। দোলে ভেষজ আবির ব্যবহার করলে ত্বকের এবং শরীরের কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এই ব্যাপারে কেউ প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হলে তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।