রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের বাঁচাতে বাড়তি কম্বল ও রুম হিটারের ব্যবস্থা করেছে।
1 min readরায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের বাঁচাতে বাড়তি কম্বল ও রুম হিটারের ব্যবস্থা করেছে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের বাঁচাতে বাড়তি কম্বল ও রুম হিটারের ব্যবস্থা করেছে। শুধুমাত্র শিশু ও বয়স্কদের জন্য নয়, হাসপাতালে আসা প্রতিটি রোগীকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই যাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর কোনও অসুবিধে না হয় তা নিশ্চিত করতে । এদিকে প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা। ঠান্ডার কামড় থেকে বাঁচতে নানা উপায় ব্যবহার করছেন জেলার মানুষ। কেউ বাড়তি কম্বল ও লেপ ব্যবহার করে শীতের হাত থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজছেন। আবার কেউ রুম হিটার ব্যবহার করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছেন। শীতের দাপটে রীতিমতো জবুথবু রায়গঞ্জ। কনকনে শীতের পাশাপাশি মেঘাচ্ছন্ন কুয়াশা ঘেরা আবহাওয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে।তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। অত্যন্ত প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, যবে থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়েছে তখন থেকেই আমরা মরসুম হিসেবে রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিই। শিশু এবং বয়স্কদের ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে যা যা প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রয়োজন মতো কম্বল দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য ঘরে যেসব কম্বল দেওয়া প্রয়োজন, তাও আমরা দিয়েছি। চিকিৎসকদেরও যাতে পরিষেবা দিতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে রায়গঞ্জসহ গোটা উত্তর দিনাজপুরে। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাঁরা রয়েছেন, শীতে যাতে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এমার্জেন্সি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ব্যস্ত চিকিৎসকদেরও যাতে কোনওভাবেই কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে কর্তৃপক্ষ। রাতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য থাকা চিকিৎসকদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।