লোকসভা নির্বাচনে হারার পর আমার আর ইচ্ছা ছিল না উপনির্বাচনে দাঁড়ানোর…… বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী
1 min readলোকসভা নির্বাচনে হারার পর আমার আর ইচ্ছা ছিল না উপনির্বাচনে দাঁড়ানোর…… বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী
তন্ময় চক্রবর্তী ঃ-লোকসভা নির্বাচনে হারার পর আমার আর ইচ্ছা ছিল না উপনির্বাচনে দাঁড়ানোর। কিন্তু দলনেত্রী আমাকে অনুরোধ করলে তার কথা আমি ফেলতে পারিনি। কারণ তিনি রয়েছেন আমার হৃদয়ের মনিকোঠায়। রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এমন বক্তব্যই দিতে দেখা গেল বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তিনি বলেন আমি কি এমন ভুল করেছিলাম যার জন্য মানুষ আমাকে লোকসভা নির্বাচনে ফেল করিয়ে দিল।
আমি তো মানুষের পাশে ছিলাম সুখে-দুখে। কেউ কি একজন বলতে পারবেন তিনি আমার কাছে এসেছেন আর আমি তাকে কোন সহযোগিতা করিনি। হয়তো একজনও পাবেন না। আমি রাজনীতিতে এসেছি সাধারণ মানুষের জন্য। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। কৃষ্ণ কল্যাণী আরো বলেন নরেন্দ্র মোদি ভুল করেছিলেন বলেই তিনি ৪০০ পার করতে পারেননি। কিন্তু আমি কি এমন ভুল করেছি যে আমি আমার ওয়ার্ড এ ৪০০ পার করতে পারলাম না। তাই উপনির্বাচনে আমার দাঁড়ানোর কোন ইচ্ছা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম আমি যদি সাংসদ হতাম তাহলে দিল্লিতে গিয়ে বড় বড় শিল্পপতিদের এখানে ডেকে এনে শিল্প স্থাপন করতাম কারণ আমিও একজন শিল্পপতি । কিন্তু সেই সুযোগটা পেলাম না। আজকে যদি এখানে শিল্প কলকারখানা হতো তাহলে বহু বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হত। কিন্তু সেটা করতে পারলাম না। কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন আক্ষেপ করে বলেন আমি যখন বিজেপি তে ছিলাম নিষ্ঠা সহকারে দল করেছিলাম। দলকে শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর জন্য সেই সময় সারা রাজ্যের মধ্যে আমি একজন বিধায়ক ছিলাম বিজেপির যে একদিনে আমি সাত হাজার মানুষকে বিজেপিতে যোগ দেওয়াই ছিলাম। এত বিজেপির জন্য আমি কাজ করেছিলাম তার বদলে আমি সম্মান পাইনি তাদের কাছ থেকে।। কারণ সে সময় যিনি সাংসদ ছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী ও জেলা বিজেপির সভাপতি বাসুদেব সরকার আমাকে নিয়ে লবি বাজি শুরু করে দিয়েছিলেন। কারণ আগামীতে হয়তো আমি যদি রায়গঞ্জ লোকসভার টিকিট পেতে যাই সেই ভয়ে। তাই এইসব বিষয় নিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।। তারপর থেকে আমি বিজেপির সমস্ত কাজকর্ম করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দি আমি। কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় তাদের কাছে আমি শর্ত দিয়েছিলাম একটাই মন্ত্রিত্ব আমাকে দিতে হবে না আমার চাই রায়গঞ্জের উন্নয়নের জন্য স্পেশাল ফান্ড। যা দিয়ে রায়গঞ্জবাসী উন্নয়ন আমি করতে পারব। তিনি বলেন ২০২১ সালে নির্বাচনে যখন তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন রায়গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছিল নো রোড নো ভোট। এরপর আমি বিধায়ক হয়ে সেই সমস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি। আমি বিধায়ক থাকাকালীন রায়গঞ্জ বিধানসভার আশি শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছি। তবুও মানুষ আমাকে লোকসভা নির্বাচনে ভুল বুঝে পরাজিত করেছে। তিনি আক্ষেপ এর সুরে বলেন কি এমন আমি ভুল করেছিলাম যার জন্য আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিলেন না।উল্লেখ্য সম্প্রতি যে লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেল সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে প্রায় ৬৮ হাজারেরও উপর ভোটে হেরে যান।এরপর বিধানসভা উপনির্বাচনে আবারো তিনি প্রার্থী হয়েছেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে ।