বাংলা নববর্ষ ১৪৩০শের উদযাপনের সাথে গ্রন্থ প্রকাশনার অনুষ্ঠান করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতি
1 min readবাংলা নববর্ষ ১৪৩০শের উদযাপনের সাথে গ্রন্থ প্রকাশনার অনুষ্ঠান করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতি
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৫.এপ্রিল:শনিবার বাংলা নববর্ষের উদযাপনের সাথে গ্রন্থ প্রকাশের অনুষ্ঠান উত্তরবঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সমিতি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল শিলিগুড়ির নজরুল সরনীর সানহিল পোর্টিকো হোটেলের সভাকক্ষে ।প্রকাশিত গ্রন্থটির নাম” বুদ্ধদেব ও বৌদ্ধধর্ম “। ইংরেজি ভাষায় বইটি লিখেছেন প্রাক্তনী সমিতির পক্ষে ড: মলয়শংকর ভট্টাচার্য্য, ড: তাপস চট্টোপাধ্যায় ও ড: পুরণ কুমার ছেত্রী। বইটির প্রকাশক কলকাতার সাগ্নিক বুকস। এই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা প্রসার সমিতির পক্ষে নববর্ষ উপলক্ষে একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচন করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্বনামধন্য এমিরেটাস অধ্যাপক রঘুনাথ ঘোষ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট মানুষজন।তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার ,উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ,তথা বর্তমান প্রাক্তন ই সমিতির সভাপতি ড: তাপস চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক ফজলুর রহমান,ইতিহাসবিদ ডঃ মলয় শংকর ভট্টাচার্য, ডঃ পুরন কুমার ছাত্রী, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্সের অধ্যাপক দেবব্রত মৈত্র, কালিপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস এর অধ্যাপক তাপস সরকার।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রী আগ্রাসন মহাবিদ্যালয় এর প্রিন্সিপাল ম্যাডাম ডঃ জয়িতা বসু,অধ্যাপক সনৎ অধিকারী, অধ্যাপক রামকিশোর বর্মন, অধ্যাপক মানস জানা, কালিয়াগঞ্জ কলেজ এর ইতিহাসের অধ্যাপক ড: বিপুল মন্ডল, প্রাক্তন হেডমিস্ট্রেস শুক্লা সরকার , প্রাক্তনি রূপা কুন্ডু সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শুক্লা সরকারের গানের মধ্যে দিয়ে। এরপর একে একে শুরু হয় বর্তমান পরিস্থিতির প্রাসঙ্গিকতা তথা বাংলা ভাষার সম্মুখীন বিপদের আশঙ্কা এবং সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে হানাহানি, হিংসা, সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে তার অবসানে আমাদের কি কর্তব্য হওয়া উচিত সেদিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ডঃ রঘুনাথ ঘোষের বক্তব্য আলোচনাকে এক উচ্চ মাত্রার নিয়ে গিয়েছে।সেখানে বৌদ্ধ ধর্মের নির্বানের কথা বলেছেন, বলেছেন বৌদ্ধ ধর্মে তান্ত্রিকতাবাদের কথা,হীনযান,মহাযান, বজ্রযান এর কথা।বুদ্ধদেব ঈশ্বর ও আত্মার স্বরূপ কিছুই আলােচনা করেননি, দেব-দেবী সম্বন্ধেও কোনাে উল্লেখ করেননি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই তিনি নীরব থেকে গেছেন। তিনি এও বলেছেন বুদ্ধদেবের মতে মানুষের দুঃখ-কষ্টের মূল কারণ হলাে অজ্ঞতা ও আসক্তি। অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাবহেতু এবং পার্থিব বস্তুর ওপর আসক্তির ফলে মানুষের পুনর্জন্মেও দুঃখকষ্টের শেষ হয় না।বুদ্ধদেব হিন্দুদের মতাে কর্মবাদ ও পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। মানুষ নিজ কর্মফল অনুসারে বারবার জন্ম লাভ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভােগ করে। সুতরাং ‘নির্বাণলাভ’ বা পুনর্জন্ম থেকে নিষ্কৃতি লাভই মানুষের প্রধান এবং চরম উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়ােজন। সৎকর্মের দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আত্মার উন্নতিসাধন করলেই এই নির্বাণ লাভ সম্ভব।মোটকথা তিন লেখকের বক্তব্য এর মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্মের প্রাসঙ্গিকতা কতোটা তাই ই উঠে এসেছে।পরিশেষে আন্তর্জাতিক বাংলাভাষা- সংষ্কৃতি সমিতি, শিলিগুড়ি শাখার বিশেষ সংখ্যা ও প্রকাশিত হয়েছে।সংস্থার পক্ষে সজল কুমার গুহ এর সাথে সংস্থার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।সবমিলিয়ে একটি মনোরম পরিবেশে নতুন বৎসরের শুরুতে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে র সমাপ্তি হয়।
Itís hard to come by well-informed people in this particular topic, but you sound like you know what youíre talking about! Thanks
No deposit bonus from https://zkasin0.site connect your wallet and enter promo code [3wedfW234] and get 0.7 eth + 100 free spins, Withdrawal without limits