October 4, 2024

বাড়ছে শিশুমৃত্যু রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

1 min read

বাড়ছে শিশুমৃত্যু রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

 

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাড়ছে শিশুমৃত্যু। মেডিক্যাল হাসপাতালের স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে গত এক সপ্তাহে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। বারবার চিকিৎসকের অভাবের কথা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও জন্মের সময় তৈরি হওয়া জটিলতাকেই শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম ও বয়সে নবীন। এই হাসপাতালের উপর উত্তর দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের একাংশ বাসিন্দা নির্ভরশীল। একই সঙ্গে বিহারের বরসই এলাকার বহু মানুষও চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন। মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে এসএনসিইউ (স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট) থাকলেও সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা একেবারেই কম। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার এসএনসিইউ’তে একজন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ মোট সাত জন চিকিৎসকের থাকার কথা। অথচ এই মুহূর্তে এখানে রয়েছেন মাত্র তিন জন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে একজন আবার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন।

রোগী সামাল দিতে গিয়ে দু’জন চিকিৎসককে টানা ডিউটি করতে হচ্ছে। শিশু বিভাগের চার জন চিকিৎসক উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে আগেই চলে গিয়েছেন। বর্তমানে একজন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ আর একজন চিকিৎসক রয়েছেন। অর্থাৎ এসএনসিইউ বিভাগে যেখানে সাত জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে এখন মাত্র দুই জন চিকিৎসক রয়েছেন। যার মধ্যে একজন ওই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। তাঁকে অধিকাংশ সময়ই প্রশাসনিক কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়।এই সমস্যার কথা স্বীকার করেও নিয়েছেন স্বয়ং স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা নিশ্চিতভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিশু বাইরে প্রসব হয়েছিল। তাদেরকে মরণাপন্ন অবস্থায় এখানে আনা হয়েছিল।

বাকি দু’টি শিশুর জন্মের সময় কম ওজন থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে।চিকৎসকের অভাব প্রসঙ্গে নীলাঞ্জনবাবু আরও বলেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগের হাউস স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ সামাল দিতে হচ্ছে। শিশু ভর্তি হচ্ছে, ফাঁকা কোনও সময়ই থাকছে না। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হওয়ার জন্য মানুষের প্রত্যাশা এখন বেড়েছে। যার ফলে দু’টি বিল্ডিং আমাদেরকে কভার করতে হচ্ছে। একটা বিল্ডিংয়ে ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে কখনও আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানেও ছুটে যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু বিভাগের চাপ তো রয়েছেই। এসব কারণে পরিষেবা নিশ্চিতভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কারণ আমাদের এখান থেকে একসঙ্গে চার জন ডাক্তার এম ডি করার সুযোগ পেয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এটা বহুবার আমাদের ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনেও সেই কপি পাঠানো হয়েছে। আমি এখানকার ইনচার্জ এবং আমার সঙ্গে মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছেন। প্রশাসনিক কাজের একটা চাপ রয়েছে। তার সঙ্গে ডিউটি করতে হচ্ছে। তবে পরিকাঠামোগত অভাবের সঙ্গে শিশু মৃত্যু যুক্ত নয় বলেই দাবি করছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞরা। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, আমি পরবর্তী বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকের সমস্যা যাতে দ্রুত মেটান যায় সেজন্য চেষ্টা করব

1 thought on “বাড়ছে শিশুমৃত্যু রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *