মুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশ কে উপেক্ষা করে প্লান এস্টিমেট ছাড়াই তিনতলা বাড়ি তৈরি করে চলছেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি ? ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি
1 min readমুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশ কে উপেক্ষা করে প্লান এস্টিমেট ছাড়াই তিনতলা বাড়ি তৈরি করে চলছেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি ? ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি
বর্তমানের কথা : আপনি কি জানেন আপনার যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে আপনি দেদারসে অনেক কিছুই করতে পারেন জনসমক্ষে। কুচ পরোয়া নেহি, প্রশাসনের। হাতে ক্ষমতা থাকলেই আপনি আজকের দিনে আগে নিজে বাচো তো পরে অন্যকে বাঁচাও। এমনই এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ি তৈরি হচ্ছে কালিয়াগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্কুট ফ্যাক্টরি লেনে। যেখানে দিনের পর দিন রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ইট বাড়ি তৈরি করার। ফলে সাধারণ মানুষ দের চলাচল করার ক্ষেত্রে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । জানা যায় সেই ব্যক্তি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি। যার ক্ষমতার দম্ভে এবং শক্তিতে তিনি নিজে পৌরসভা থেকে কোন বিল্ডিং প্ল্যান পাস না করেই নাকি বহাল তবিয়তে তিনতলা অট্টালিকা বানিয়ে চলছেন এক কাটারও কম জায়গায়।
এলাকার সাধারণ মানুষদের বক্তব্য আজকে এই ব্যক্তি যদি প্রভাবশালী না হয়ে অন্য কোন সাধারণ মানুষ হতো তাহলে পৌর সভা থেকে এমনভাবে অট্টালিকা বানাতে কি পৌরসভা থেকে কোন ছাড় পেতো ? নিশ্চয়ই তখন পৌরসভা এই বিল্ডিং করার ক্ষেত্রে যথুপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেন।
কিন্তু আজ তৃণমূলের নেতা তথা পৌরসভার উপ পৌর পতি নিজে যখন এই ধরনের বেআইনি কাজে লিপ্ত তখন তার ব্যাপারে বলবে কে ? পৌরসভা এ ব্যাপারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য প্রশাসন কি এইসব বেআইনি কাজ দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছেন প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে।উল্লেখ্য রাজ্যে পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা মহানগরের ক্ষেত্রে কোন নতুন বিল্ডিং করতে গেলে অবশ্যই পৌর নিগমের বিল্ডিং প্ল্যান পাস করতে হবে। শুধু এই আইন শুধুমাত্র কলকাতার ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে তা নয় এই আইন সারা রাজ্য জুড়ে সমস্ত পৌরসভা কে মান্যতা দিতে হবে বলে পৌরমন্ত্রী বলেছিলেন। কিন্তু পৌর মন্ত্রীর কথাকে তোয়াক্কা না করেও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উপ পৌরপতি তিনি নিজে হাফ কাটা জায়গার উপর তিন তলা বিল্ডিং করছেন বহাল তবিয়তে।।
শুধু তাই নয়, এই বিল্ডিং করতে গেলে যে সমস্ত জিনিসপত্র লাগে তার বেশিরভাগটাই জনগণের চলাচল করার রাস্তার উপর বেশিরভাগ সময় ফেলে রাখছেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষের একদিকে যেমন চলাচল করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে তেমনি এই রাস্তা দিয়ে অনেক সময় কোন অ্যাম্বুলেন্স কিংবা স্কুলের গাড়ি ঢুকতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে সেই দিক দিয়ে যেতে ।। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন উপ পৌরপতি বলে কি তিনি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। সাধারন মানুষদের দাবি অবিলম্বে এই প্রভাবশালী বাড়ির তৈরীর জন্য যা যা দরকার পৌরসভা থেকে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নচেৎ আগামী দিনে যদি সাধারণ মানুষরা একত্রিত হয়ে গর্জে উঠে তখন পৌরসভার আর কিছু বলার থাকবে না।
যদিও পৌরপতি রামনিবাসী সাহার বক্তব্য, আমি বিষয়টি দেখছি। অন্যদিকে প্রভাবশালী সেই ব্যক্তিকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।কথায় বলে প্রভাবশালীর কোন আইনের প্রয়োজন হয়না। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ভাইস চেয়ারম্যানেরও ক্ষেত্রে একই অবস্থা।তার কোন আইন লাগেনা। কালিয়াগঞ্জ।পৌর সভার উপ পৌর পিতা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক কাঠারও কম জমিতে কোন প্ল্যান এস্টিমেট ছাড়াই তিনতলা বিল্ডিং করছেন।শুধু তাই নয় রীতিমত রাস্তা বন্ধ করে রাস্তার মধ্যে ট্র্যাক্টর দার করিয়ে সাধারন মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে এই কাজ করায় সাধারন মানুষ প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিজেপি দলের বিরোধী দল নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন এদের দুই কান কাটা।এদের বিশেষ করে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার অনেক দিন থেকেই ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছিল কোন রকমে একবার কমিশনার হলেই আইনকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে ঘর করে ফেলবোই। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কমিশনার এই প্রতিবেদককে বলেন আমরা এই কমিশনারের কাজ কর্মে এবং চলাফেরা ও কথাবার্তায় লজ্জিত।আমরাও বুঝতে পারছিনা এক কাঠার কম জমিতে কি ভাবে প্ল্যান এবং এস্টিমেট ছাড়া তিনতলা বাড়ি করতে পারে? তা ছাড়া তিনি একজন প্রশাসনের মানুষ হয়ে নিজেই আইনকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে এই ধরনের কাজ করতে পারেন? কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনো হয়নি। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতা রাম নিবাস সাহার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।