কাশফুলকে ব্যবহার করে বালিশ, বালাপোশ তৈরির করার পরামর্শ
1 min readকাশফুলকে ব্যবহার করে বালিশ, বালাপোশ তৈরির করার পরামর্শ
এতদিন ছিল মৌখিক পর্যায়ে। এবার হাতে-কলমে তা করে দেখানোর পালা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুদ্রশিল্পকে চাঙ্গা করতে কাশফুলকে ব্যবহার করে বালিশ, বালাপোশ তৈরির করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর সেই বার্তাকে পুঁজি করেই পুজোর মরশুমে প্রচুর পরিমাণ কাশফুল সংগ্রহ করেছে হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লক। এই কাশফুলই এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে পড়ে পরিণত হবে কাশ-বালিশে। রেললাইনের ধার, নদীর পাড়ে অবহেলায় পড়ে থাকে এই কাশফুল। আগমনীর বার্তা দিতে প্রাকৃতিক নিয়মেই গজিয়ে ওঠে এই গাছ, আবার পুজোর মরশুম শেষ হতেই মিলিয়ে যায় এই মরশুমি ফুল।
গত বছর হাওড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কাশফুল শুধুমাত্র শরতের আগমনীর বার্তা হিসেবে নয়, ব্যবহৃত হোক রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পের অঙ্গ হিসেবে। আমি চাই, এই ফুল দিয়েই বালিশ, তোষক, বালাপোশ তৈরির কাজ করুক গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাই এবার শরৎ আসতেই সেই ভাবনাকে বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয় সাঁকরাইল ব্লক।
এবার পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল কাশফুল সংগ্রহের কাজ। ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টারের (ডিআইসি) উদ্যোগে পুজোর আগেই একটি টিম আসে সাঁকরাইল ব্লকে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাশফুল সংগ্রহ ও তা সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো হয়। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ব্লকে ২৫ কেজির মতো কাশফুল সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে তা মজুত করা হয়েছে। এবার তা দিয়ে বালিশ তৈরির কাজ শুরু করতে চাইছেন ব্লকের আধিকারিকরা।
এর ফলে একদিকে যেমন ব্লকের মহিলাদের হাতে নতুন কাজ আসবে, তেমনই সস্তায় কাশফুলের বালিশ বাজারজাত করা যাবে। এ বিষয়ে সাঁকরাইল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নাজিরউদ্দিন সরকার বলেন, এই বছরই আমরা প্রথম সংগ্রহ করেছি। সামান্য কিছু এলাকা থেকে যে বিপুল পরিমাণ ফুল সংগ্রহ হয়েছে, তা অভাবনীয়।
পরের বছর আমরা সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়াব। এখানেই শেষ নয়। সংগৃহীত কাশফুল ঝাড়াইয়ের সময় ফুলগুলি তুলোর মতো আলাদা হয়ে আসবে। শিসগুলি বাঁচবে, সেগুলিকেও কাজে লাগানো হবে। ঠিক হয়েছে, ওই কাঠিগুলি শুকিয়ে তা দিয়ে মাদুর বা চাটাই তৈরির কাজ হবে। এই কাজেও ব্যবহার করা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। বালিশের মতো এই চাটাই সস্তায় বাজারে মিলবে। তবে শুধুমাত্র সাঁকরাইল নয়, জেলার বিভিন্ন ব্লকে চলছে কাশফুল সংগ্রহের কাজ। সূত্রের খবর, সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড় অঞ্চল থেকে সবচেয়ে বেশি কাশফুল সংগ্রহ করা গিয়েছে।