December 22, 2024

ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ হলেও,ভিসাই হয়ে গেল জীবনের দুঃস্বপ্ন

1 min read

ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ হলেও,ভিসাই হয়ে গেল জীবনের দুঃস্বপ্ন

পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী,রায়গঞ্জ ছোট থেকেই খেলাধুলোই ছিল আলমাসের জীবনের ধ্যান জ্ঞান। মাত্র সতেরো বছর বয়সে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ ও হয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে।এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত থেকে সুযোগ পেয়েও কুয়েত যাওয়া হল না আলমাসের।পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ, ফলে নিজের স্বপ্নের এত কাছে এসে ও নিরাশায় আলমাস।উত্তর দিনাজপুর জেলাররায়গঞ্জের ছোট গ্রামের বাসিন্দা আলমাস।ব্যাগে এখনও থরে থরে সাজানো এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকসের জার্সি, ট্র্যাক শ্যুট-সহ আরও অনেক সরঞ্জাম কিন্তু ভিসাটাই পেলেন না আলমাস।আলমাসই একমাত্র যে চতুর্থ এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার দৌড়ের জন্য কোয়ালিফাই করেছিলেন।উল্লেখ্য ১৯ শে সেপ্টেম্বর ২০০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় রাজ্যের হয়ে জাতীয় স্তরে মেডেল জিতেছিলেন আলমাস।

 

এরপর ২১শে সেপ্টেম্বর তাকে দেশের হয়ে রিলিজ ও দৌড় দুই বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করার কথা জানানো হয়। সেই অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবর কুয়েতে যাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বিমান ধরতে গেলে আলমাস দেখে তার ভিসার অনুমোদন হয়নি। দেশের হয়ে প্রথমবার দেশের জার্সি পড়ে বিদেশের মাটিতে দৌড়ানোর কথা থাকলেও আলমাসকে শেষ পর্যন্ত নিরাশায় বাড়ি ফিরে আসতে হয়।কুয়েতে ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় টিভি তে সম্প্রচার হতেই মানসিক যন্ত্রণাই ভেঙে পড়ে আলমাস কবীর। কারণ দেশের হয়ে রায়গঞ্জের তিওরডাঙ্গির আলমাসই একমাত্র চতুর্থ এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার দৌড়ের জন্য কোয়ালিফাই করেছিলেন।

 

কিন্তু পাসপোর্টে ভুলের কারণে আর কুয়েত যাওয়া হল না ।আলমাস জানতেন না অন্য দেশের ভিসা পেতে গেলে পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতেই হয়। আলমাস তিওরডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা, তাঁরা কেউ কখনও দেশের বাইরে যাননি।আলমাসের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘তৎকাল পাসপোর্ট করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন আলমাস। পাসপোর্ট অফিসে বলা হয়েছিল, আলমাস দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছে নকুয়েতে। তবে কেনও তার পাসপোর্টের ভ্যলিডিটি কম করে দেওয়া হল?’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সময় থাকতেও টিম ম্যানেজার কেন সেই ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নিলেন না?’’আলমাস আদ্যন্ত এক স্পোর্টস ম্যান। তাই কুয়েত যেতে না পারলেও পরের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন। ভারতের জন্য পদক আনাই তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, একেই বলে বোধ হয় স্পোর্টস ম্যান স্পিরিট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *