October 24, 2024

শতাব্দীর প্রাচীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জের মাবয়রা কালীমন্দিরের ছাদের অংশ খসে খসে পডলেও হেলদোল নেই কমিটি কর্তৃপক্ষের

1 min read

শতাব্দীর প্রাচীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জের মাবয়রা কালীমন্দিরের ছাদের অংশ খসে খসে পডলেও হেলদোল নেই কমিটি কর্তৃপক্ষের

 

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৪ অক্টোবর:উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কালিয়াগঞ্জের মা বয়রা কালী মন্দিরের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল হয়ে পড়েছে।শতাব্দীর এই প্রাচীন মা বয়রা কালী মায়ের মন্দির নির্মাণে মন্দির স্থাপনের ঊষা লগ্নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জ থানার ব্রিটিশ আমলের দারোগা নজমুল হক সাহেব।

 

এর পরে পরবর্তীতে মায়ের পাকা মন্দির নির্মান হয়।বিগত ৬০বছর পূর্বের সাধারন মানের একটি মায়ের মন্দির নির্মান করা হলেও ছাদের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে দিয়েছে।যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।কালিয়াগঞ্জ মা বয়রা কালী পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র এক সাক্ষাৎকার বলেন মায়ের পাকা মন্দিরের বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। এই মন্দিরটা দেখতেই পাকা। কিন্তূ বিল্ডিং এ কিছু নেই।

 

এই মন্দিরের সংস্কারের কাজ দ্রুত না করা হলে যে কোন মুহুর্তে অঘটন ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন এই মন্দিরে আমরা রিপেয়ারের কাজ করবো না।একবারেই সংস্কারের কাজে হাত দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আমরা কালিয়াগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবীদের নিয়ে কয়েকবার সভা করেছিলাম এই মন্দিরটি কি ভাবে সংস্কার করা যায়। কিন্তু মাঝখানে দুই বছর করোনার কারণে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

 

                                                

বর্তমানে পুনরায় মায়ের মন্দির সংস্কারের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছি। মা বয়রা কালীর বাৎসরিক পূজা হয়ে গেলে আমরা মায়ের মন্দিরের কাজ শুরু করবার ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছি। যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র বলেন খুব কম করেও মায়ের মন্দিরের নির্মাণের জন্য দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আমরা চাই উত্তর দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সহৃদয় ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের কাজ আমরা দ্রুত শুরু করতে পারি। মন্দির কমিটির সহ সভাপতি তিনু ভদ্র বলেন আমাদের ইচ্ছা আছে মায়ের মন্দিরের সংস্কারের কাজ মায়ের পূজার পরেই শুরু করবো।তবে তিনি বলেন মায়ের মন্দিরের দ্রুত সংস্কারের কাজে যাতে আমরা হাত দিতে পারি তার জন্য তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন। মন্দির কমিটির অপর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মুন্না লাহিড়ী বলেন বর্তমান মন্দিরের অবস্থা অত্যন্ত ভয়ংকর বলা যায়। উত্তর দিনাজপুর তথা উত্তরবঙ্গের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরেরসংস্কারের চিন্তা ভাবনা দীর্ঘদিন থেকে শুরু হলেও কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে বলে জানান মুন্না লাহিরী বলেন।কালিয়াগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজ সেবী স্বপন সরকার বলেন কালিয়াগঞ্জের মা বয়রা কালীমন্দির আমাদের শুধু নয় অনেক দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই মন্দিরে আসেন পূজা দিতে।তাই এই মন্দিরের জীর্ণদশা ঘুচিয়ে আমাদের মায়ের মন্দিরের সংস্কারের কাজে হাত দিতে হবে।যে ভাবে ছাদের বিভিন্ন অংশ খুলে খুলে পড়ছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক।এই মন্দিরকে এ ভাবে কোন ভাবেই রাখা ঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *