হয দল করুন, নয় ঠিকাদারি
1 min readহয দল করুন, নয় ঠিকাদারি
তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব আগেই জানিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি করলে দলে স্থান নেই। হয দল করুন, নয় ঠিকাদারি। এবার সেই সুরে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। শনিবার দিনহাটায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদয়নবাবু বলেন, ‘এমন কিছু করবেন না যাতে ঠিকাদাররা আপনাদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কাজের মান অ্যাডজাস্ট করে। কাজের কোয়ালিটি যাতে খারাপ না হয় তা দেখা আপনাদের কাজ। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, চাপ দিয়ে কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করা হয়। ঠিকাদাররা তো আর নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে সেই দাবি মেটান না। তাঁরা কিন্তু ওই রাস্তার কাজ থেকেই টাকা বের করে আপনাদের দাবি মেটাবেন।
তার ফলে রাস্তার মান খারাপ হবে। শনিবার কোচবিহারের দিনহাটা-২ ব্লকের বুড়িরহাট এলাকায় পূর্ত দপ্তরের একটি রাস্তার কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পূর্ত দপ্তরের অধীনে দিনহাটার বুড়িরহাট থেকে বলরামপুর পর্যন্ত রোডের অবস্থা দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হচ্ছে। সেই রাস্তা সংস্কারের কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়নবাবু সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃত্বরা। দিনহাটা-২ ব্লকের অধীনে দিনহাট-বলরামপুর রোডের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এটি সংস্কার হলে দিনহাটা-২ ব্লক থেকে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পূর্ত দপ্তর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাটি সংস্কার করবে বলে জানা গিয়েছে।এই রাস্তার কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়েই উদয়নবাবু এদিন তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত ব্যাখ্যা করে বলেন, ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কার্যত সেই টাকা ওই রাস্তা মেরামতির টাকা থেকেই তাঁরা দিতে বাধ্য হন। এতে রাস্তার মান খারাপ হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আমি সবার কাছে আবদেন করব, এখানে কাজ করতে ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার যারাই আসবেন, তাঁদের সঙ্গে সকলে সহযোগিতা করবেন। ঠিকাদাররা কাজ করবেন, চলে যাবেন। কিন্তু রাস্তা তো আপনাদের। এই রাস্তায় আপনাদের চলচল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় ক্লাবের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়, মন্দিরের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়, পুজো কমিটির পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়। নানা রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে যে ধর্মই হোক না কেন-তাঁরা নানা রকম চাপ দিয়ে কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করেন। মনে রাখতে হবে কন্ট্রাক্টররা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে সেই দাবি মেটান না। ওই কাজের মান খারাপ করে আপনাদের যাকা দেবে। তাতে রাস্তাই মজবুত হবে না। দু’দিন পরে রাস্তা খারাপ হবে। এটা যাতে না হয়, সেটাই লক্ষ্য রাখতে হবে। আজকে যে রাস্তার সূচনা হচ্ছে এই রাস্তা আগামী দিনে যাতে ভালোভাবে মানুষের চলাচলের উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারে, সেই দিকে নজর রাখবেন।