October 7, 2024

করোনার প্রকোপ নেই, মিলেছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি- দুর্গাপুজোয় জোড়া আনন্দের আশায় খুশির ছোঁয়া কুমোরটুলিতে

1 min read

করোনার প্রকোপ নেই, মিলেছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি- দুর্গাপুজোয় জোড়া আনন্দের আশায় খুশির ছোঁয়া কুমোরটুলিতে

তন্ময় চক্রবর্তী, রায়গঞ্জকরোনার করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে প্রথম বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে গা ভাসাবে মানুষ। যাকে বলে জোড়া উৎসব। তাই এবার বাজার ভালো যাবে, এমনটাই আশা মৃশিল্পীদের। আর এই কারণেই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন। আনন্দের সঙ্গে এবার পুজোর অনেক আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করে ফেলেছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা।এমনই চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার কুমোরটুলিতে। মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমা তৈরি করতে। কারণ, তাঁদের আশা, এবার বরাত পাবেন ভালোই।

প্রায় সমস্ত ক্লাব জাঁকজমকের সঙ্গেই এবার মেতে উঠবে দুর্গাপুজোয়। এমনকী বাদ যাবে না পারিবারিক পুজোও।করোনার কারণে গত দু’বছর পুজোয় কোনও আড়ম্বর ছিল না। যাকে বলে এক ঢাক, এক কাঁসর – তা দিয়েই নমো নমো পুজো হয়েছিল। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় প্যান্ডেলও যে করতে হয়েছিল চারদিক খোলা। দূর থেকে প্রতিমা দেখেই, যাকে বলে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে ফিরতে হয়েছিল উৎসব মুখর বাঙালিকে। কিন্তু এবার তা হবে না বলেই সকলের অনুমান। যদিও করোনা এখনও দূর হয়নি। সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

যদিও ফের কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে না, এমন নয়। তবে তা দুর্গাপুজোয় বাধসাধবে না বলেই ধারণা।একদিকে করোনার সেই ভয়ঙ্কর রূপ নেই। অন্যদিকে ইউনেস্কো আবার বাঙালির দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে বাঙালির এই পুজো এখন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছে স্বীকৃতি নিয়ে। যদিও আগেও বিশ্ববাসীর কাছে এই পুজোর গুরুত্ব কম ছিল না।

তবে স্বীকৃতির তকমাটা ছিল না। আর সেই তকমা পাওয়ার পরেই আরও খুশতে ভাসছে বাঙালি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, ইউনেস্কোর স্বীকৃতির খুশিতে টানা এক মাস ধরবে চলবে পুজোর আনন্দ। আর তা যে রাজ্য জুড়েই ছড়িয়ে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

সেই খুশিতে বুক বেঁধে এবার রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরাও তৈরি।সাধারণত, রথের সময় থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন শিল্পীরা। কিন্তু এবার তার আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছেন। মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, করোনার কারণে গত দু’বছর তেমন বরাত মেলেনি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন শিল্পীরা।

 

বেশি প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি বড় প্রতিমা তৈরি করতে না পারলে তো বেশি উপার্জনও সম্ভব নয়। এবার নিশ্চয় তা হবে বলে মনে করছেন রায়গঞ্জের কুমারটুলির প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী চিত্ত পাল ও ভানু পালরা। তাঁদের কথায়, গত দু’বছর ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এবার করোনা নেই বললেই চলে। তার ওপর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মিলেছে। তাই এবার পুজোর আনন্দ আরও বেশি হবে। আরও বেশি প্রতিমা তৈরির বরাত পাব। তাই আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *