October 30, 2024

ঘর গুছিয়ে জোরদার ভোটের প্রচারে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী নামলেও প্রার্থী নিয়ে দলে ক্ষোভ সামাল দিতেই ব্যাস্ত বিজেপি শিবির-

1 min read

ঘর গুছিয়ে জোরদার ভোটের প্রচারে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী নামলেও প্রার্থী নিয়ে দলে ক্ষোভ সামাল দিতেই ব্যাস্ত বিজেপি শিবির-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৯ মার্চ:ভোট বড় বালাই।তাই মাস দুয়েক ভালো করে পড়াশোনা করে যদি একবার দিল্লিকা লাড্ডু কোন ভাবে মিলে যায় তাহলেই কেল্লাফতে।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোন স্পষ্ট উত্তর না মিললেও ব্যাপারটা পরিষ্কার ভোটের লড়াই কালিয়াগঞ্জ বিধান সভা বেশ কঠিন লড়াই হতে যাচ্ছে।

দ্বিতীয় বার ভোটের ময়দানে শাসক তৃণমূলের প্রার্থী তপন দেব সিংহ বেশ কিছুদিন ধরে ভোটের ময়দান ফাঁকা পেয়ে তিনি অনেকটাই গুছিয়ে আনতে পেরেছে।বিরোধী শিবিরে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা নির্বাচনের ময়দানে এবারই প্রথম প্রভাস সরকার নেমেই পাল্লা দিয়ে শুরু করে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ও সমর্থকদের নিয়ে।কিন্তু সম্পুর্ন উল্টো চিত্র কালিয়াগঞ্জের বিজেপি ঘোষিত প্রাথী সৌমেন রায়ের ক্ষেত্রে।তিনি ফালাকাটা থেকে আসা এলাকায় সম্পুর্ন নুতন মুখ এবং তাকে নিয়ে তার দুই স্ত্রীর ভাইরাল হওয়া ভিডিও তাকে যে অসুবিধায় ফেলেছে শুধু তাই নয়।কালিয়াগঞ্জের বিজেপি নেতৃত্ব না পসন্দ হওয়া প্রাথীর পরিবর্তন করবার জন্য স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা নানানভাবে

ক্ষোভ বিক্ষোভ,অনশন করেও শেষ পর্যন্ত বিজেপির উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে কোন ভাবেই বোঝাতে পারলোনা বলেই শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়।ঘটনাটা অনেকটা এই রকম গোছের বিবাহ যোগ্য পাত্রের পাত্রী পছন্দ না হলেও বাবার যেহেতু পছন্দ হয়েছে এবং মোটা টাকা বাবা যেহেতু পাত্রী পক্ষ থেকে পেয়েছে তাই পাত্রী দেখতে কুৎসিত হলেও পাত্রকে অপছন্দের মেয়েকেই বিবাহ করে সংসার করতেই হবে।কালিয়াগঞ্জের বিজেপি দলের অবস্থা একদম সেটাই হতে চলেছে।কালিয়াগঞ্জের বিজেপি নেতৃত্ব এবং সমর্থকদের প্রার্থী পছন্দ না হলেও উপর থেকে চাপানো প্রার্থীকে নিয়েই ভোট যুদ্ধে নামতেই হবে।অন্যথায় বিজেপির কর্মীদের উপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেবার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।বিজেপি কর্মীরা জেলা বিজেপির সভাপতির আশ্বাস মত আমরণ অনশন ভেঙে রবিবার রায়গঞ্জে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বঅরবিন্দ মেননের সাথে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য অনেক আশা নিয়ে বৈঠকে বসলেও কোন কাজ হয়নি।অরবিন্দ মেনন পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন কোন পরিস্থিতিতেই বিজেপির উর্ধতন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বিজেপির কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থী বদলকে কেন্দ্র করে মাথা নত করবেনা। কালিয়াগঞ্জের বিজরপির কর্মকর্তাদের অপছন্দের প্রাথীকে নিয়েই ভোট যুদ্ধে নামতে হবে।যদিও বিজেপির কালিয়াগঞ্জের কর্মকর্তাদের বিজর্পি দলের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কতদূর লরবার সাহস আছে

এবং আদৌ আছে কিনা তা সোমবারের কালিয়াগঞ্জের বৈঠকেই পরিস্কার হয়ে যাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।যদিও বিজেপি দলের ঘোষিত প্রাথী ফালাকাটার সৌমেন রায় বসে নেই।তিনি বিজেপির কালিয়াগঞ্জের দুই একজন নেতাকে পর্দার আড়ালে রেখে তাদের সাহসেই ইতিমধ্যেই কয়েকজন কর্মীকে সাথে নিয়ে প্রচারে নেমে দেখিয়ে দিতে শুরু করে দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপির কর্মীরা তার বিরুদ্ধে যতই বিরোধিতা করুক তা একেবারেই ধোপে টিকবে না।কারন তার যে লম্বা হাতের কারসাজি আছে সেটা যেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপির নেতা ও কর্মীরা মনে রাখে। সৌমেন রায় কালিয়াগঞ্জ শহরে প্রচারে না নামলেও তিনি গ্রামে গঞ্জে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।রবিবার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে আবির খেলার মধ্যে দিয়ে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন নিজের উপর যথেষ্ট আস্থা রেখেই।এখন দেখার বিষয় কালিয়াগঞ্জের বিজেপি নেতৃত্বরা সোমবার কি সিধান্ত নেয়

 

তার দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে কালিয়াগঞ্জের মানুষ।কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ বলেন তাদের সরকার কালিয়াগঞ্জের সার্বক উন্নয়ন করেছে। যা এই উন্নয়নের ছোয়া কালিয়াগঞ্জের পৌর ইতিহাসে তা কোন দিনই হয়নি।তাই তার বিশ্বাস মানুষ উন্নয়নকেই ভোটের ময়দানে প্রাধান্য দেবে এবং তিনিই পুনরায় জনতা জনার্দনের আশীর্বাদে জয়ী হবেন।অপর দিকে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস সরকার বলেন তিনি ভোট প্রচারে গিয়ে দারুন সারা পাচ্ছেন।তার বিশ্বাস কালিয়াগঞ্জের মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতিকে কোন ভাবেই সহ্য করতে পারছেনা।এই সরকারের অন্তিম দিন সমাগত।মানুষ তৃণমূলের কথা সহ্য করতে পারছেনা।অপর দিকে বিজেপির প্রাথী সম্পর্কে বাজারে যা আলোচনা চলছে মানুষ কোন ভাবেই বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নেবেনা।এখন জনতা জনার্দন ঠিক করবে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক কে হবেন।কার মাথায় তাদের আশীর্বাদ বর্ষণ হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *