নন্দীগ্রাম দিবসে হুংকার অভিষেকের ,’ভাঙা পায়েই খেলা হবে’
1 min readনন্দীগ্রাম দিবসে হুংকার অভিষেকের ,’ভাঙা পায়েই খেলা হবে’
একুশের নির্বাচনে হিট ‘খেলা হবে’ স্লোগান। শাসক-বিরোধী, উভয়পক্ষই বলছে ‘খেলা হবে’। এবার তৃণমূলের নয়া স্লোগান, ভাঙা পায়েই খেলা হবে। সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করে কার্যত হুংকার দিলেন দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম দিবসের মহামিছিল থেকে বিজেপিকে বার্তা দিলেন, ‘ভাঙা পায়েই জেতা হবে, নবান্ন দখল হবে।’বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে এসে একাধিক মন্দিরে যান মমতা। বিকেলের দিকে রানিবাঁধের একটি মন্দিরে হরিনাম এবং সংকীর্তন শুনতে যান। জানা যায়, তিনি যখন মন্দির থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়। তার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা।
বাঁ-পায়ে আঘাত লাগে তাঁর। মাথায় এবং কপালেও চোট লাগে। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করেই এই ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।ওই রাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। নেত্রীর পায়ে চোট লাগলেও এতে দমে যেতে নারাজ তৃণমূল সমর্থকরা । পরেরদিন থেকেই উডবার্ন ওয়ার্ডের সামনে জমায়েত করে ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে’ স্লোগান তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরা । এদিন সেই স্লোগান কার্যত হুংকারে পরিনত হল। এদিন অভিষেক বলেন, ‘দলনেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনার ধিক্কার জানাই।’এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রবিবার প্রথমবার প্রচারের ময়দানে নামেন তৃণমূল নেত্রী। পৌনে দু’টো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে পৌঁছন মমতা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে নীল-সাদা রঙের বিশেষ ভাবে তৈরি হুইল চেয়ারে বসেই রওনা দেন গাঁধী মূর্তির উদ্দেশে। তাঁর পায়ে ছিল বিশেষ জুতো।এদিন কর্মী-সমর্থকদের মাথা না নোয়ানোর বার্তাও দিয়েছেন মমতা। মেয়ো রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের পর মমতা বলেন, ”জীবনে অনেক আঘাত পেয়েছি, কিন্তু কখনও মাথা নোয়াইনি। শরীরের যন্ত্রণার থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত চলছে। অশুভ শক্তির বিনাশ চাই।” এর পরই তিনি বলেন, ”আমার উপর ভরসা রাখুন। হুইল চেয়ারে বসেই ভাঙা পায়ে ঘুরব।”