সাসপেন্ড জেলাশাসক, পুলিশসুপার, নিরাপত্তা অধিকর্তা ,মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় কড়া কমিশন
1 min readসাসপেন্ড জেলাশাসক, পুলিশসুপার, নিরাপত্তা অধিকর্তা ,মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় কড়া কমিশন
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে যান সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন সন্ধ্যায় জনসংযোগ করার সময় গাড়ির দরজায় পা চেপে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। ঘটনায় কমিশন কতটা ক্ষুব্ধ সেটা সামনে এল রবিবার। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং সেখানকার পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে সাসপেন্ড করল কমিশন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কেও সাসপেন্ড করেছে কমিশন। বিষয়টি নিয়ে কমিশন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি নীরজনয়ন পান্ডেকে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কমিশনকে সেটা জানাতে হবে ১৭ মার্চ।
রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। বিবেকের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে চার্জ গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিশন মনে করছে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায় নিজের কর্তব্যের প্রতি সুবিচার করেননি সেইদিন। সেই কারণে তাঁকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য নতুন জেলাশাসক হয়েছেন স্মিতা পান্ডে এবং পুলিশ সুপার হয়েছেন সুনীল যাদব। রবিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে কমিশন। আর সোমবারের মধ্যে নতুন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একসঙ্গে এত গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রশাসনিক কর্তাকে যেভাবে সরানো হল, সেটা অতীতে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আহত হয়েছেন তাতে ক্ষুব্ধ’ কমিশনের কর্তারা। উল্লেখ্য তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।তৃণমূলের দাবি, যেহেতু রাজ্যে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে বহুদিন ধরেই, তাই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব কমিশনের। কমিশনের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই দিল্লি থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা গোটা ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। রাজ্যে নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কমিশনের কাছে, তাতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও কমিশন মনে করছে, সেদিন নিরাপত্তা ঠিকঠাক থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হতো না। সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি কমিশন। জরুরি ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত নির্দেশ কমিশন পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছে। তাই বিবেক সহায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা কী ব্যবস্থা নেন, সেদিকেই চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।