October 25, 2024

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা করোনার দৌলতে এ রাজ্যে আমফানের চেয়ে কোন অংশেই ঝড় কম তোলেনি

1 min read

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা করোনার দৌলতে এ রাজ্যে আমফানের চেয়ে কোন অংশেই ঝড় কম তোলেনি

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)–করোনা বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে আশীর্বাদ না অভিশাপ সে কথা আলোচনা করতে গেলে অবশ্যই বলতে হবে করোনার পাশাপাশি এ রাজ্যে আম ফান নামক ঝড়ের যে তীব্র গতি ছিল তার চেয়েও পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে আসার ঝড়ের গতি কোন অংশেই কোন দিক দিয়ে কম ছিল না বলে অভিজ্ঞ মহলের এটা ধারণা।আমরা এতদিন পরিচিত ছিলাম পরিযায়ী পাখি শব্দের সাথে।

এবার করোনার দৌলতে আমরা নুতন আর একটি শব্দের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেলাম সেই শব্দটির নাম পরিযায়ী শ্রমিক।আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এত পরিমান পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্নের সন্ধানে যে ভিন রাজ্যে যায় তার পরিসংখ্যান সম্ভবত রাজ্য তথা জেলা প্রশাসনের কাছেও পাওয়া যাবেনা এটা হলফ করে বলা যায়।কিছু শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করতে যায় এই খবরটা জেলা প্রশাসনের কাছে থাকলেও জেলা প্রশাসন কোন দিন ভাবতেও পারেনি এক একটা জেলা থেকে এত পরিমানে পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করে।এর সব কৃতিত্ব টাই করোনার।পরিযায়ী শ্রমিকরা করোনার পূর্বে কোনদিন সংবাদের শিরোনামে আসবে তা সপ্নেও ভাবতে না পারলেও এবার তাদের সেই স্বপ্ন যে সফল হয়েছে করোনার দৌলতে তা প্রতিদিনের দৈনিক সংবাদ পত্রে একবার চোখ রাখলেই তা ধরা পড়ে।করোনা বা আমফান এদের থেকে কি রাজ্য বা কি কেন্দ্র সর্বত্রই আলোচনার ঝড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রচন্ড সঙ্কটের মধ্যে পরেও ওরা একদিকে স্বার্থক ওরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবার জন্য।পরিযায়ী শ্রমিকরা সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারী কোয়ারেন্টাইনে অথবা হোম কোয়ারাইন্টাইনে থাকলেও খুব শীঘ্রই হয়তোবা যার যার বাড়িতে ফিরবে এটা ঠিকই।কিন্তূ তারপর?রাজ্য সরকারের সম্ভবত ধারনাই ছিলনা যে এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক তারা ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করে।তারপর এসব মিটে গেলে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই সমস্ত ফিরে আসা শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবসা করতে হবে।তার জন্য জেলা প্রশাসনের এখন থেকেই কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা খুঁজে বের করতে হবে।এদের মধ্যে কিছু পরিযায়ী শ্রমিক হয়তো বা ভিন রাজ্যে গেলেও যেতে পারে।কিন্তু এবারের ধাক্কা সামলাতে না পেরে হয়তো অনেকেই এই জেলাতেই কাজের সন্ধান করবে।জেলা প্রশাসনের উচিৎ আমাদের উত্তর দিনাজপুর জেলায় ব্লক ভিত্তিক কতজন পরিযায়ী শ্রমিক তার একটি চিত্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওযার দরকার আছে।আগামী মাসে থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে বের হবে।জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে প্রয়োজন উত্তর দিনাজপুরে ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যবস্থ্যার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *