কালিয়াগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে,ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেবার চেষ্টা চলছে–তপন দেবসিংহ বিধায়ক
1 min readকালিয়াগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরসমীক্ষারকাজশুরুহয়েছে,ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেবার চেষ্টা চলছে-–তপন দেবসিংহ বিধায়ক
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-(উত্তর দিনাজপুর)—গত মঙ্গলবার রাতের ঘূর্ণি ঝর ও শিলা বৃষ্টিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও,মুস্তাফানগর ও রাধিকাপুর অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টির তান্ডবে প্রচুর কাঁচা ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অনেক বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় প্রচন্ড ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডবে।বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ এই কথাগুলো জানান।
বিধায়ক তপন দেবসিংহ বলেন এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।একেই করোনার জেরে শহর ও গ্রামের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত তার উপর আবার ঘূর্ণি ঝড় ও শিলা বৃষ্টি।কোন দিক এই সমস্ত দুস্থ মানুষেরা সামাল দেবে?বিধায়ক তপন দেবসিং জানান বন মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়
জেলায় এসেছিলেন।আমাদের সাথে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।মন্ত্রী জানিয়ে দেন দ্রুত ঘূর্ণিঝরে ক্ষতিগ্রস্ত দের সমীক্ষা করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে হবে বলে বনমন্ত্রী জানিয়েছেন।বিধায়ক তপন দেবসিং বলেন মঙ্গলবারের ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টির তান্ডবে একদিকে যেমন প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে তেমনি বেশ কয়েকটি গ্রামের ব্যাপক ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।তিনি বলেন সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামের।এ ছাড়াও ভুইহারা,মধ্য কুনোর,পশ্চিম কুনোর।অন্যদিকে রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈকুণ্ঠপুর,দুর্গাপুর এবং ফরিদপুর গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে বিধায়ক তপন বাবু জানান।তিনি বলেন বুধবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পরিমল দাস সহ কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা দ্রুত কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে কি ধরনের এবং কত টাকার আর্থিক ক্ষতি হতে পারে তার একটা প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আসেন।কালিয়াগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারা বলেন ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন ধরনের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর আনুমানিক ৭৫০টির মত কাঁচা বাড়ীর আংশিক ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি এলাকায় গিয়ে দ্রুততার সাথে কি পরিমান ফসলের ক্ষতি হতে পারে তার সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে।যদিও প্রাণ হানির কোন খবর নেই।