জামাই শষ্ঠীর বাজারে নয়াবাজারের বিখ্যাত দই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
1 min readজামাই শষ্ঠীর বাজারে নয়াবাজারের বিখ্যাত দই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)–দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার নয়াবাজারের ঐতিহ্যবাহী ক্ষির দই এবারের জামাই সষ্ঠিতে কোন চাহিদা না থাকায় নয়াবাজারের দই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।করোনার লকডাউনের জেরে নয়াবাজারের দই ব্যবসায়ীরা কোন জায়গায় তাদের সুগন্ধি ক্ষির দই কোথায়ও
নিয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই।শুধু তাই নয় লকডাউনের জেরে এবারের জামাই সষ্ঠির কোন জৌলুশ নেই। গঙ্গারমপুরের নয়াবাজরের বিশিষ্ট কবি তথা দই ব্যবসায়ী অজিত ঘোষ বলেন জামাই সষ্ঠির মরশুমে নয়া বাজারের ক্ষির দই নেবার জন্য আমাদের প্রচুর অর্ডার এলেও এবার সব যেন শুধু মাত্র করোনার লকডাউনের জেরে ব্যবসায় চরম আঘাত এসেছে।আমরা দই সাপ্লাই দিতে না পারায় বিভিন্ন এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও সুগন্ধি ক্ষির দই কাউকে বিক্রি করতে পারছেনা।লকডাউনের জেরে বিগত দুমাস ধরে কোন ব্যবসায়ী দই তৈরি করবার কোন সুযোগ পায়নি।সমস্ত মিষ্টির দোকান বন্ধ রেখে সবাই গৃহ বন্দি।দই ব্যবসায়ীরা ভেবেছিল হয়তো বা জামাই ষষ্ঠীর মধ্যে একটু আধটু ব্যবসা করা যাবে।কিন্তু এবার আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়েছে কি ভাবে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সংসার চলবে।আমরা বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছি।বিগত বছরগুলোতে আমাদের ক্ষির দই শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর বা উত্তর দিনাজপুর নয়,আমাদের ক্ষির দই যায় শিলিগুড়ি,কোচবিহার, মালদা,মুর্শিদাবাদ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।এবার লকডাউনের কারনে কোথাও যেতে পারলাম না।এই ক্ষতি কি দিয়ে আমরা মিটাবো কেও বলতে পারবেনা।রাজ্য সরকার আমাদের এই কুটির শিল্পের বাঁচানোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।এ ছাড়া কোন উপায় সামনে দেখতে পারছিনা।এখন প্রয়োজন গঙ্গারামপুরের নয়াবাজারের দই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের সহানুভূতি ও আন্তরিকতা।