October 24, 2024

ইটাহার স্বাস্থ কেন্দ্রের মানবিকতাহীন চিকিৎসকই তার স্বামীর মৃত্তুর কারন, ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন প্রয়াত চিকিৎসকের স্ত্রী

1 min read

ইটাহার স্বাস্থ কেন্দ্রের মানবিকতাহীন চিকিৎসকই তার স্বামীর মৃত্তুর কারন, ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন প্রয়াত চিকিৎসকের স্ত্রী

তপন চক্রবর্তী- কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–মানবিকতাহীন ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের গোয়ারর্তুমির কারনে করোনার চিকিৎশ কের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কালিয়াগঞ্জের হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দারের মৃত্তুর জন্য প্রয়াত চিকিৎসকের স্ত্রী দেবশ্রী পাট্টাদার ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানালেন তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ রাকেশ চক্রবর্তীই দায়ী।গত ২৩শে এপ্রিল ইটাহার থানায় এই অভিযোগ লিখিত আকারে ইটাহার থানায় দায়ের করেন বলে জানা যায়।।অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবার আর্জি জানান।

এদিকে গত ২৪শে এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের এইও কে তার দপ্তরে গিয়ে একটি জোরালো ডেপুটেশন দেওয়া হয়।।উত্তর দিনাজপুর আয়ুষ ডক্টরস এন্ড সি সি ডির পক্ষ থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ডেপুটেশন দিতে গিয়ে বলেন অবিলম্বে ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ রাকেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়াও যে সমস্ত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকদের দিয়ে করোনার মত মারন রোগের কাজ করানো হচ্ছে তাদের উপযুক্ত পি পি ই কিটস তাদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে বলেও জোরালো দাবি জানানো হয়।এদিকে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন চিকিৎসকের খাম খেয়ালী পনার কারনে কি করে অপর এক চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দারের মত একজন তরতাজা প্রতিষ্টিত চিকিৎসকের প্রাণ চলে গেল সে ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ সহ সারা রাজ্যের চিকিৎসক সমাজ নক্কার জনক ঘটনার জন্য অবিলম্বে দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তীব্র ধীক্কার জানিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জোরালো ভাবে প্রতিটি জেলার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা জোরালোভাবে এর তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে কোচবিহার জেলা থেকে ডাঃ জয় ব্যানার্জী এই ঘটনার তীব্র ধীক্কার জানিয়ে বলেন এই অমানবিক কাজের জন্য যে চিকিৎসক ডাঃ নিলয় পাট্টাদারের জীবন দ্বীপ নিভিয়ে দিলেন তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।তিনি এই ঘটনার তীব্র ধীক্কার জানান এবং সেই চিকিৎসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে ডাঃ রঞ্জন সাহা এই ঘটনার তীব্র ধীক্কার জানিয়ে বলেন আমরা চাই অবিলম্বে এই ঘটনায় মূল দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি হোক।আমরা হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য শোকাহত।।শিলিগুড়ি থেকে ডাঃ কিরণ শংকর বসাক বলেন আমরা চাই যে চিকিৎসকের জন্য হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দারের অকাল মৃত্যু হল তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।দক্ষিণবঙ্গের নদীয়া জেলা থেকে ডাঃ সঞ্জীবন ঘোষ জানান আমরা শোকাহত ডাঃ নিলয় পাট্টা দারের এই অমানবিক মৃত্তুর কারনে।এই দোষী চিকিৎসকের জন্য একজন চিকিৎসকের এই অকাল মৃত্যুকে আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। কেও তাই আমাদের দাবি সরকার এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্ত বলেন একজন চিকিৎসককে অসুস্থ দেখেও তাকে চিকিৎসকের কাছে না যেতে দেওয়া এটা ক্রিমিনাল অফেন্স।আমরা দোষী চিকিৎসকের এই অমানবিক কাজের জন্য ধিক্কারের সাথে সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।একজন চিকিৎসকের জন্য অপর এক চিকিৎসকের প্রাণ চলে গেছে এমন ঘটনা বিরল হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৪২,বছরের তরতাজা হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক কালিয়াগঞ্জের নিলয় পাট্টাদাঁড়কে জীবন দিয়ে আসতে হল এটা মেনে নিতে পারছিনা।প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দার ইটাহার ব্লকের দুর্লভপরগ্রাম পানবহয়েতে হোমিও বিভাগের উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের অধীনে আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।গত মঙ্গলবার ইটাহারের মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেদ্বারা চেক পোস্টে করোনার স্ক্রিনিং কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল।প্রয়াত চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দার কর্তব্যরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পরে।তিনি পাশের অপর চিকিৎসককে তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তার নিজস্ব গাড়ি নিয়ে রায়গঞ্জে রওনা হয় চিকিৎসককে দেখানোর জন্য।কিন্তু ইটাহারে র চৌপথি মোড়ে পৌঁছানোর সাথে সাথে হটাৎ করে তার গাড়ি আটক করে পুলিশ।পুলিশ ডাঃ নিলয় পাট্টা দারকে বলেন আপনার রায়গঞ্জ যাওয়া হবেনা এইমাত্র ইটাহারের বিএম ও এইচ ফোন করে আমাদের জানিয়েছেন।আপনাকে ইটাহার হাসপাতালে যেতে হবে।নিলয় বাবু পুলিশদের অনুরোধ করে বলেছিলেন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।তাকে যেতে দিন।কিন্তূ পুলিশ নিলয় পাট্টা দারের কোন কথার গুরুত্ব দেয়নি।বাধ্য হয়ে নিলয় বাবুকে হাসপাতালে অসুস্থ শরীর নিয়ে ফিরে যেতে হয়।নিলিবাবু হাসপাতালে গেলে বিএমওএইচ রাকেশ চক্রবর্তী বলেন আপনার কিছুই হয়নি।আপনি কি ভাবে এই লকডাউনের মধ্যে রায়গঞ্জ যাবার চেষ্টা করেছিলেন।এটা আপনি ঠিক করেন নি।নিলয় বাবুকে একটি স্যালাইন দিয়ে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখেন।নিলয় বাবুর অসুস্থতার কথা তার বাড়িতে পৌঁছালে কালিয়াগঞ্জ থেকে তার স্ত্রীর সাথে পরিবার পরিজনের লোকেরা আসে ইটাহার হাসপাতালে।বিএমওএইচ রাকেশ চক্রবর্তী কে নিলয় বাবুর স্ত্রী দেবশ্রী দেবী বলেন তার স্বামীকে এই অসুস্থ অবস্থায় রাগঞ্জ যেতে কোন কারনে বাধা দিয়েছেন? শুরু হয় প্রচন্ড কথাকাটাকাটি।এরপর চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দারকে তার স্ত্রী দেবশ্রী দেবী ও পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জ জীবন রেখা নার্সিং হোমে ডাঃ সান্তনু দাসের কাছে পৌঁছান আনুমানিক চার ঘণ্টা পরে।চিকিৎসক নিলয় পাট্টাদার যাবার সাথে সাথে ডাঃ সান্তনু দাস তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দেন। চিকিৎসক ডাঃ সান্তনু দাস বলেন চিকিৎসক নিলয় পাট্টা দারকে নিয়ে আসা হয় তখন নিলয় বাবু কথাবার্তা বলতে পারছিলনা।ইসিজি করার পর একটা নার্ভে একটা ব্লক দেখা যাচ্ছিল।পরবর্তীতে আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয় এবং মনিটরিং শুরু জরে দেওয়া হয়।কিছুক্ষনের মধ্যেই নিলয় বাবু কোমায় চলে যান।পরবর্তীতে নিলয় বাবুর ব্রেন অকেজো হয়ে পড়ে।আমরা নিলয় বাবুকে বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমত সবরকম চেষ্টা করে চলি।কিন্তু পরের বার অর্থাৎ দ্বিতীয় বার হার্ট অ্যাটাক হলে আমরা তাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি বলে ডাঃ সান্তনু দাস জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *