মালোনে ব্রিটিশ আমলের ডাক-বাংলো আজও অবহেলায় অনাদরে-
1 min readমালোনে ব্রিটিশ আমলের ডাক-বাংলো আজও অবহেলায় অনাদরে-
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর–উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মালোনে আজও অবহেলা ও অনাদরে পরে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের একটি ডাক-বাংলো।উত্তর দিনাজপুর জেলার হেম তাবাদ ব্লক থেকে তার দূরত্ব ১৩কিলোমিটার।এই ডাক-বাংলোটি ব্রিটিশ আমলে আঠাশ ফুট দৈঘ্যের ও ঊনত্রিশ ফুট প্রস্থের সেই ব্রিটিশ আমলের টিনের ছাউনি দেওয়া চিকন ইট দিয়ে চুন সুরকি দিয়ে তৈরি।এই বাড়ির সামনে রয়েছে একটি বড় কঙ্কাল সার ঘর এবং পেছনে রয়েছে তিনটি বড় ঘর।পূর্বদিকের বড় ঘরের পাশে রয়েছে একটি খোলা উঁচু বারান্দা।যেখানে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়।এই বাড়ীর সামনের দিকে রয়েছে তিনি বড় দরজা।দক্ষিণ দিকে দুটি জানলা এবং উত্তর দিকে দুটি জানলা।এই বাড়ির পেছনে আরো একটি বাড়ির ধংসাবসেস পাওয়া যায়।এইখানে দেখে বোঝা যায় চারটি ঘর ছিল।একটিতে যে রান্নাবান্না করাহত তা স্পষ্ট।
একটি ঘর ছিল সুরক্ষিত রাখবার জন্য পাহারাদারদের জন্য। অপর ঘর গুলি ছিল কাচারী হিসাবে।ডাকবাংলোর সামনে ছিল একটি বিশাল ইন্দারা।জানা যায় এই ডাকবাংলো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য চুনিরাম বর্মন নামে এক ব্যক্তি পাহারাদার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ আমলে এই ডাকবাংলোতে যেমন ব্রিটিশ অফিসাররাও এসে উঠতেন তেমনি দিনাজপুরের নায়েব গোমোস্তারা সবাই দিনাজপুর থেকে এই মালোন ডাক বাংলোতে আসে সময় কাটাতো বলে জানা যায়। অনেকেই মালোনের এই বাংলোকে আবার দিনাজপুরের মালখানা বলেও জানতো। সম্ভবত মালখানা থেকেই এ এলাকার নাম মালোন হয়ে থাকে যা এই এলাকার প্রবীণ মানুষেরা মনে করে থাকে।জানা যায় মালোনের এই ডাক বাংলোয় এক সময় দূর দূরান্ত থেকে আসা দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা করা হত।কিরণ চন্দ্র ভৌমিক ও নিরেশ চন্দ্র নাগ।,জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভুরকুট পাড়ার ভুদেব চন্দ্র ঘোষ এই মালোন ডাকবাংলোয় কম্পাউন্ডার হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বলে জানা যায়।জানা যায় স্বাধীনতার পূর্বে মালোন ডাকবাংলার এজটা ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকা স্বত্বেও রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কোন রকম ভূমিকা না থাকায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। এলাকার বিশিষ্ট মানুষদের বক্তব্য হেমতাবাদের মালো নের এই ব্রিটিশ আমলের কঙ্কাল সার এই ডাকবাংলটির সংস্কার করলে হেমতাবাদ একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেখা দিতে পারতো।কিন্তু এ ব্যাপারে নেই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনেরও কোন ভূমিকা নেই।মালোনের বেশ কিছু ইতিহাস্ প্রেমী মানুষ মিলে ঐতিহাসিক ডাক বাংলো বাঁচাও নামে একটি কমিটিও করা হয়েছে বলে জানা যায়।যারা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে উদ্যোগ নেবার দাবি জানিয়েছেন বলেনঅতীতের স্মৃতিবাহি এই ব্রিটিশ আমলের বহু স্বাক্ষীর সাথে যুক্ত এই ডাক বাংলোর সংস্কার করা হোক অবিলম্বে।