December 25, 2024

শঙ্কর দাস বাউল বাউলের তত্বের মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে চায়-

1 min read

শঙ্কর দাস বাউল বাউলের তত্বের মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে চায়-

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ--উত্তর দিনাজপুর–আমরা সবাই বাউল বলি আমাদেরকে।কিন্তু প্ৰকৃত বাউল কোথায় এতদিন ধরে খুঁজে গেলেও তার দেখা মেলেনি।শংকর দাস বাউলের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের কালিতলায়।১৯৮৪ সালে গঙ্গারামপুরের দীপু গোসাইয়ের হাত ধরে বাউল সঙ্গীতে প্রবেশ।বেশ কিছুদিন তার কাছে বাউলের বিভিন্ন অঙ্গের পাঠ নেন। তিনি পরবর্তীতে আশুতোষ শীলের কাছে সঙ্গীতের শিক্ষা নিতে শুরু করেন।গঙ্গারামপুর তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।সঙ্গীতের সাথে সাথে তাঁত চালানোর কাজও করতেন জীবন জীবিকার কারণেই।বাউল শিল্পী শঙ্কর দাস বাউল বলেন গান আর তাঁত এক সাথেই চলতো।তাঁত চালাতে চালাতে উদাত্ত কন্ঠে

গাইতাম বাউলের সাথে লালন ফকিরের গান।তার মজাই ছিল আলাদা।কিন্তু,তাঁতের কাজ বিগত দশ বছর ধরে ছেড়ে দিয়ে এখন বাউলের মধ্যেই পুরোপুরি ডুবে রয়েছি বললেন শঙ্কর দাস বাউল।শঙ্কর দাস বাউল বর্তমানে শুধু উত্তরবঙ্গই নয় তিনি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বাউলের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানান।শুধু পশ্চিমবঙ্গ কেন আসামের অনেক জায়গায় বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করবার জন্য তিনি ডাক পেয়ে থাকেন।বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেই তার সংসার চলে।।তিনি বলেন বাউল আজকাল সবাই গাইছে কিন্তু কজন বাউলের তত্বের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে?আগেকার বাউল আর আজকের বাউলের মধ্যে যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য লক্ষ করা যায়।প্ৰকৃত একজন বাউল হয়ে তা মানা খুব কষ্টের ব্যাপার।এখন বাউল মানেই চটুল সঙ্গীত।সরকার থেকে লোকশিল্পীরা কতটা উপকৃত হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে বাউল শিল্পী শঙ্কর দাস বলেন বর্তমান সরকার লোকশিল্পী দের জন্য অনেকটাই উপকার করেছেন।এখন শিল্পীরা প্রতিমাসে এক হাজা টাকা করে লোকশিল্পীর ভাতা পাবার ফলে বিরাট উপকার হয়েছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তথ ও সংস্কৃতি দপ্তর জেলার লোক শিল্পীদের একদিকে আর্থিক সাহায্য যেমন দিচ্ছে প্রতিমাসে, তেমনি লোকশিল্পীদের যথেষ্ট মর্যাদাও দিয়ে থাকে।তিনি বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বর্তমান তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক সান্তনু চক্রবর্তী লোক শিল্পীদের দুঃখকষ্ট বোঝেন।উনি সবার জন্য উপকার করার চেস্টা করে থাকেন।উনি দরিদ্র লোকশিল্পীদের প্ৰকৃত অবস্থা কেমন তা অনুভব করেন।আগের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের লোক সংস্কৃতি অনেকটা এগিয়ে এসেছে।গ্রাম্য লোকসংস্কৃতি এখন উজ্জীবিত হয়েছে।গ্রামে গ্রামে হারিয়ে যাওয়া খন,চরচুন্নি,আলকাফ, জলমাঙ্গা গান শুধু নয় চৈতা,জেলার মুখোশ নাচ হারিয়ে যেতে যেতেও তা আবার নুতন উদ্যমে শুরু হয়েছে যা লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট পাওনা বলেই তিনি মনে করেন।বাউল শিল্পী শঙ্কর দাস বাউল এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন পুরস্কারতো প্রতিদিন পাচ্ছি।মানুষ আমার গান শুনে তারিফ করে আর সেটাইতো আমার কাছে বড় পুরস্কার।নাইবা পেলাম কোন সম্বর্ধনা।হাজার হাজার শ্রোতারাই আমার কাছে ভগবান স্বরূপ।শ্রোতারাই আমার গহনা।এটাই সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে পেয়ে গেলেই আমি ও আমার বাউল জীবন স্বার্থক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *