রঙ্গিন ফুল আর ঝাউবনের সৌন্দর্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে আধুনিক বিনোদন পার্ক এ খুব শীঘ্রই মাততে চলেছে কালিয়াগঞ্জ বাসী
1 min readপ্রিয়া গুপ্তা (বর্তমানের কথা) ঃ মনে প্রেমিক প্রেমিকারা ভাবছেন কালিয়াগঞ্জে আগামী দিনে চুটিয়ে প্রেম কোথায় করবেন ? তাদের জন্য সুখবর , তাদের আর দেরী করতে হবে না .কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক পালের উদ্যোগে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ায় তিস্তা কলোনীতে শুরু হয়েছে আধুনিক মানের বিনোদন পার্ক .যেখানে প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের সঙ্গীনি ও সঙ্গীদের নিয়ে জমিয়ে ভালোবাসার আসর জমাতে পারবেন তেমনি রঙ্গিন ফুল ঝাউবনের সৌন্দর্যে নিজেদের মনকে একটু চাঙ্গা করে নেবার সুযোগ টুকু পাবেন.যা কোনদিন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৩০বছরের ইতিহাসে কেউ কল্পনাই করতে পারে নি .কাজের ফাঁকে মনকে একটু আনচান করে দোলা দিতে কেই না চায় ?তাই তাদের জন্য পারফেক্ট বিনোদন পার্ক হতে চলেছে সেটা নিঃসন্দেহে বলাই যেতে পারে . অল্প বয়সের তরুণ তরুণীরা যারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেই ফেললেন আমাদের পৌরপতি কার্তিক দা জিও .এমন জিনিস পৌরপতি বানাবেন তারা স্বপ্নেও ভাবতেই পারছে না . এক তরুণ জুবক জানালেন এতদিন কালিয়াগঞ্জ শহরে তেমন কোন পার্ক ছিলো না যেখানে আড়ালে বসে তার প্রিয় সঙ্গিনীর সাথে একটু ভাব ভালোবাসা বিনিময় করবেন .তাই প্রেমিকের আবদার রাখতে পয়সা খরচ করে কখনো যেতে হতো রায়গঞ্জ শহরের কুলিক পক্ষী নিবাস সংলগ্ন পার্কে , কখনো ইকো পার্কে আবার কখনোবা কলেজেপাড়ার পৌর পার্কে . আবার যখন কাজের ব্যস্ততার মধ্যে রায়গঞ্জ যাওয়ার সময় হয়ে উঠতো না তখন দেখা দিত চরম বিপত্তি .ফলে প্রায় প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকতো প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে একটু ঘুরতে গিয়ে অন্তরঙ্গ ভাবে কথা না বলতে পারার জন্য .নিরিবিলি ভাবে কথা বলে সময় কাটানোর জায়গাতো নেই কালিয়াগঞ্জ শহরে .এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে পৌরপতি কার্তিক পালের প্রচেষ্টায় . তবে বয়স্করা হয়তো ভাবছেন এই বিনোদন পার্ক তাদের বিনোদনের জন্য নয় একমাত্র তরুণ তরুণীদের জন্যই হয়তো .কিন্তু না , বয়স্ক মানুষজন এই পার্কে এসে বিনোদনের সুযোগ পাবেন ও উপভোগ করতে পারবেন এই কথা শুনালেন বিশেষ সাক্ষাতকারে পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল .তিনি বলেন সব বয়সের সাথে বয়স্করা আসতে পারবেন এই পার্কে , যথাযথ সম্মান পাবেন আসলে তাই নির্ধিদ্বায় আসতে পারেন এই পার্কে .বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ফুলের গন্ধের মাঝে ঝাউবনের দোলায় বয়স্করা তাদের আপনজনদের নিয়ে আসবেন ও পার্কের শোভা উপভোগ করবেন তখন তারাই উপলব্ধি করবেন কেন আজ এই বিনোদন পার্কের প্রয়োজন ছিলো তাদের জীবনে .পৌরপতি বলেন রাজ্য সরকারের পৌর দপ্তরের থেকে গ্রীন সিটি মিশন প্রকল্প থেকে আসা আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে .বর্তমানে পার্কের বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে .পৌরপতি বলেন এই পার্ক বাচ্চাদের থেকে সব বয়সের সকলের বিনোদনের জন্য গড়ে উঠছে .এই পার্কের মধ্যেই থাকবে একটি রেস্টুরেন্ট .সব মিলিয়ে একটি আধুনিক মানের পার্কে যা যা থাকা আবশ্যিক সেগুলি সবই থাকবে এই পার্কে .এদিকে ইটাহার বিধানসভার বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল বাবু সম্প্রতি পার্কের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে বলেন সব বয়সীরা যাতে পার্কে এসে পার্কের আমেজ অনুভব করতে পারে সে ব্যপারে পৌরপতিকে দৃষ্টি দিতে হবে .