October 21, 2024

পাখি থেকে বিভিন্ন প্রাণীর ডাক! শিস দিয়েই শোনাতে পারেন এই ব্যক্তি

1 min read

পাখি থেকে বিভিন্ন প্রাণীর ডাক! শিস দিয়েই শোনাতে পারেন এই ব্যক্তি

তন্ময় চক্রবর্তী অসাধারণ এক প্রতিভা! তাঁর গলায় যেন যাদু রয়েছে। কখনও তাঁর কন্ঠে শোনা যায় কোকিল, ময়ূর, চড়ুই বা বকের ডাক। আবার কখনও ঝড়ের ভয়াল শব্দ। অসাধারণ এক প্রতিভা! তাঁর গলায় যেন যাদু রয়েছে। কখনও তাঁর কন্ঠে শোনা যায় কোকিল, ময়ূর, চড়ুই বা বকের ডাক। আবার কখনও ঝড়ের ভয়াল শব্দ। এছাড়াও শিস বাজিয়ে তবলার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গান নিমিষেই করে ফেলতে পারেন। এরকমই এক বিরল প্রতিভার অধিকারী উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় এর পদার্থবিদ্যার অস্থায়ী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কৃশানু কুন্ডুর।কৃশানু কুন্ডুর বয়স ৫৬ বছর। তার ছোট থেকেই শখ গান বাজনা সেটাও আবার সকলের থেকে অন্যরকম ভাবে। শিল্পী নিজেই দাঁতে জিভ ঠেকিয়ে স্কেল বদল করেন সমান তালে বাজান তবলা ও। দাঁতে জিভ ঠেকিয়ে শিস দিয়ে তিনি গানও করেন।

যাকে ইংরেজিতে বলে “সিঙ্গিং হুইসলিং” । বাংলায় যাকে কটাক্ষ করে অনেকে বলেন টিটকারি কাটা। শিল্পী কৃশান কুন্ডু জানান, এখানে শিস দাওয়া মানে কাউকে টিটকারি কাটা । কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সিঙ্গিং হুইসলিং অত্যন্ত জনপ্রিয়।কলেজে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে কলেজের সমস্ত নন টিচিংদের নিয়ে একটি নাটকের আয়োজন করেছিলাম। নাটকে বনের পরিবেশ তৈরি করতে কৃষাণু বাবু বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির ডাক শিস দিয়ে করে ছিলেন। এটা সত্যি এক বিরল প্রতিভা। পশু পাখিদের ডাক হোক কিংবা কোন গান শিস দিয়েই অনর্গল গেয়ে ফেলেন এই শিল্পী যে সকলের কাছেই বেশ অবাক করে।এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ চন্দন রায় বলেন এই কলেজে অনেক শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ রয়েছে যারা তাদের কাজের বাইরে ও তাদের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। এর মধ্যে একজন হলেন কৃষানু কুন্ডু। তার মধ্যে এমন প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে যে বলার আর অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি নিজে তবলা বাজান এবং শিস দিয়ে গান করেন পাশাপাশি তিনি তার দাঁতে জিভ ঠেকিয়ে শিস দিয়ে একদিকে যেমন গান করেন যাকে ইংরেজিতে বলে সিংগিং হুইসিল। সচারচর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সিঙ্গিং হুইসিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু তাদের কলেজের পদার্থবিদ্যার বিভাগের ল্যাব এসিস্ট্যান্ট কৃশানু কুন্ডুর এই প্রতিবার রয়েছে। তিনি কখনো সিজ দিয়ে পাখির ডাক দেন কখনো জঙ্গলের আবহাওয়া পরিবেশ তুলে ধরেন কখনো বা আবার শিস দিয়ে দেশাত্মবোধক গানও করেন। যা এক অনবদ্য সৃষ্টি তার প্রতিভার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *