October 24, 2024

বর্তমানের কথার খবরের জেরে মানবিক হৃদয় নিয়ে এগিয়ে এলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। দুস্থ শিল্পী অতুল রায় কে দিলেন আধুনিক মিউজিক সিস্টেম

1 min read

বর্তমানের কথার খবরের জেরে মানবিক হৃদয় নিয়ে এগিয়ে এলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। দুস্থ শিল্পী অতুল রায় কে দিলেন আধুনিক মিউজিক সিস্টেম

তন্ময় চক্রবর্তী মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে এক মানবিক মুখের পরিচয় দিলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায়। সম্প্রতি আমাদের বর্তমানের কথায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার অন্তর্গত ফটক পাড়ার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী অতুল রায়ের সংগীত সহ একটি সাক্ষাৎকার প্রচার হয়েছিল। সেটি ভাইরাল ও হয়।এরপর বর্তমানের কথায় সেই খবর সম্প্রচার হওয়ার পর অতুল রায়ের গানের প্রতি মনোমুগ্ধ হয়ে তার গানের প্রতিভাকে আরো বিকশিত করার জন্য একগুচ্ছ সাহায্যের ডালি নিয়ে আজ এগিয়ে এলেন বিধায়ক সৌমেন রায় অতুল রায়ের কাছে। আজ বিধায়ক তার বাড়িতেই সুন্দর একটি পরিবেশের মাধ্যমে অতুল রায়ের কন্ঠে কিছু গান শুনেন এবং তাকে তার সঙ্গীতকে সুদূরপ্রসারিত করার লক্ষ্যে একটি অত্যাধুনিক মিউজিক সিস্টেম সহ পূজার পোশাক নিজের হাতে অতুল রায়ের হতে তুলে দেন বিধায়ক নিজেই। যা পেয়ে অত্যন্ত খুশি অতুল রায়। উল্লেখ্য অতুল রায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার অন্তর্গত ফটিক পাড়ার এক হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। বাবা গত আট বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারের হাল অতুল নিজেই কাঁধে তুলে নেয়। কোন সময়ের দিনমজুর খেটে কোন সময় আবার পরের বাড়িতে কাজ করে যা উপার্জন হয় অতুলের তা দিয়েই মাকে সঙ্গে নিয়েই দিন গুজরাং করতে হয়।

কিন্তু প্রতিভা কারক থেমে থাকে না তবে সেক্ষেত্রে বাধ সাধে অর্থ। দিনমজুর করে যা পারিশ্রমিক পায় অতুল তা দিয়ে কোনরকমে না কে সঙ্গে নিয়ে সংসার টুকু চললেও সংগীত চর্চা করার জন্য যা যা দরকার তা তার পক্ষে আর কেনা সম্ভব হয়নি অর্থের অভাবের জন্য। কোন কোন সময় বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে গিয়ে একটু গানের চর্চা করলেও সব সময় তার সেই জায়গায় সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবুও থেমে থাকে নি অতুল। সম্প্রতি বর্তমানের কথার স্টুডিওতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে সে তার নিজের জায়গা থেকে সরাসরি চলে আসেন কালিয়াগঞ্জে। এরপর তার জীবনের বিভিন্ন সংগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন কথা বলার মাঝে মাঝে তার কিছু গান অর্থাৎ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি অনুষ্ঠান বর্তমানে কথায় সম্প্রচারিত হয়।

এর পরেই কেল্লাফতে। যেন মা সরস্বতী তার ডাকে সাড়া দিয়ে ফেলেছে। হঠাৎই বর্তমানের কথার সেই অনুষ্ঠান শুনে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক বর্তমানের কথার সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই অতুল রায় কে তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করলে আজ অতুল রায় সশরীরে কালিয়াগঞ্জে বিধায়কের বাসভবনে গিয়ে বিধায়ক সৌমেন রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর খানিকটা আলাপচারিতা হওয়ার পর আবেগ তাড়িত হয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক অতুল রায়ের কাছে তার বাসভবনেই দু একটি গান করার অনুরোধ করলে তৎক্ষণাৎ অতুল সেখানেই তার কিছু গান গেয়ে ফেলেন। এরপর বিধায়ক এতটাই তার প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে পড়ে যে তৎক্ষণাৎ অতুল রায়কে একটি মিউজিক সিস্টেম উপহার দিয়ে দেন। শুধু তাই নয় যেহেতু আজ মহালয়া পিতৃপক্ষের অবসান মাতৃপক্ষের সূচনা তাই এই পুণ্য লগ্নে যখন অতুল তার বাড়িতে এসেছেন তখন পুজোর পোশাকও সাথে সাথে বিধায়ক তার হাতে তুলে দেন।।

 

সভাবতই বিধায়কের এমন মানবিক উদ্যোগে যারপর নাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন অতুল রায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই বলে ফেলেন সত্যিই আজ আমার কাছে এই দিনটি স্মরণে হয়ে থাকবে। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক যেভাবে তার পাশে দাঁড়ালেন মানবিক মুখ দিয়ে তা তিনি কখনোই ভুলতে পারবেন না। সারা জীবন বিধায়কের প্রতি ঋণী থাকবেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন তার প্রচেষ্টা থাকবে সংগীতের উপর আরো চর্চা করে ভালো একটা জায়গায় পৌঁছানোর। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন তিনি বর্তমানের কথার মাধ্যমেই অতুল রায়ের গান শুনেছেন। সত্যি খুবই সুন্দর তার গলা। তার গানে আমি মন্ত্রমুগ্ধ। তাই আমি তার গানকে আরো উৎসাহিত করার জন্য এবং একজন দরিদ্র পরিবারের প্রতিভাবান এমন শিল্পীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আজ তাকে মিউজিক সিস্টেম উপহার দিলেন। বিধায়ক বলেন আগামী দিনে অতুলের পাশে সব সময় তিনি থাকবেন। এদিনের সকালটা যেন অতুলের কন্ঠে বিধায়কের বাড়ি সংগীত ময় হয়ে উঠেছিল আজ। অন্যান্য দিনের মতো দরবার সভায় অন্যান্য কাজ খানিকটা কমিয়ে দিয়ে আজ গানেই ভেসে গিয়েছিলেন বিধায়ক সৌমেন রায়। পাশাপাশি অতুলরায় আজ যখন গান করছিলেন বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে আসা বহু মানুষ তার গানের মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মাঝে মাঝে হাততালিও দিচ্ছিলেন সেখানে।পরিশেষে বিধায়ক বর্তমানের কথা কেউ ধন্যবাদ জানান এমন ধরনের প্রতিভাবান হত দরিদ্র ঘরের শিল্পী কে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য।।এদিকে কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের এহেন ও মানবিক উদ্যোগে খুশি শিল্পী সমাজ .

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *