December 22, 2024

বিহারের আবাদপুরে কালীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়,এলাকায় তৈরি হয় এক সম্প্রীতির আবহ

1 min read

বিহারের আবাদপুরে কালীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়,এলাকায় তৈরি হয় এক সম্প্রীতির আবহ

রায়গঞ্জ,  রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে রয়েছে বিহারের বারসই জেলার আবাদপুর গ্রাম।চৌধুরী বাড়ির শতাধিক বছরের  পুরোনো কালীপূজাকে ঘিরে তৈরি হয় এক সম্প্রীতির আবহ।এলাকার হিন্দু – মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষ পূজায় এবং বিসর্জনে অংশ নেন।বুধবার রাতে  প্রতিমার বিসর্জনকে ঘিরে সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।গ্রামের ছেলেরা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকেকালীকে কাঁধে নিয়ে দৌড় দেয়। পেছন পেছন ছুটতে থাকে হাজার হাজার মানুষ।  কালীদৌড় প ঘিরে তৈরি হয় সম্প্রীতির এক আশ্চর্য আবহ।

জানা গিয়েছে, আজ থেকে শতাধিক বছর আগে আবাদপুর গ্রামের চৌধুরী বংশধরেরা চালু করেছিলেন এই পূজা।গ্রামের সকলে এই পূজায় সামিল হতেন।আজও গ্রামের মানুষ এক সঙ্গে এই পূজা করেন।পূজার সময় চৌধুরী পরিবারের  আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন।তবেবিসর্জনের দিনে কালীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়কে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি।চৌধুরী বংশধরদের অন্যতম সদস্য মহাদেব কুমার চৌধুরী গ্রামেই থাকেন।

 

তিনি বলেন,এই পূজা সম্প্রীতির  পূজা।সেই সময় গ্রামে অনেক পূজা হতো,কিন্তু পুকুর ছিল একটি।তাই প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে হুড়োহুড়ি হতো। সেই সময় গ্রামের বিশিষ্টজনেরা প্রতিমা বিসর্জনের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

আজও সেই রীতি বজায় আছে।তবে এই প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল দৌড়ে যাদের কালী প্রতিমা অক্ষুণ্ণ থাকবে, সেই প্রতিমাই প্রথম বিসর্জন দেওয়া হবে পুকুরে ।যদিও বর্তমানে নেই রাজা, নেই সেই রাজবৈভব। কিন্তু রাজার প্রচলিত রীতিনীতি আজও অব্যাহত আবাদপুরে। 

পুজো কমিটি ও এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে কালী প্রতিমা কাঁধে নিয়ে ছুট দেন। আর সেই দৌড় দেখতে হাজির হন গ্রামবাসী। ঢাক-বাজনার সঙ্গে প্রতিমা ঘাড়ে করে সেই দৌড় দেখার মতো।মন্দির থেকে কাঁধে করে কালীকে নিয়ে  আবাদপুর এলাকা পরিক্রমা করার পর  কালীবাড়ি লাগোয়া দিঘিতে। সেখানেই নিরঞ্জন পর্ব সারা হয়।চৌধুরী পরিবারের সদস্য মধুরিমা চৌধুরী, মধুকল্পিতা চৌধুরী সহ আরো অনেকেই সামিল হয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *