October 23, 2024

প্রায় আড়াই বছর পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের   ১০ তলা বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হল

1 min read

প্রায় আড়াই বছর পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের   ১০ তলা বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হল

শুভজিৎ দাস  ২০২০  সালে লকডাউন শুরু হতেই  টাকার অভাবে থমকে যায়  রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের দশতলা ভবনের কাজ।অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকে বিল্ডিংয়ের কাজ।  গত ৭ ডিসেম্বর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে বিষয়টি জানতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও ভবন নির্মাণকারী সংস্থা এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ভবনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের প্রায় আট মাস পর গত আগস্ট মাসে  উচ্চশিক্ষা দপ্তর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের দশতলা ভবনের সিভিল ওয়ার্কের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ।দুর্গা পূজা শেষ হতেই জোড় কদমে শুরু হয়েছে বিল্ডিংয়ের কাজ।

প্রায় আড়াই বছর পর আবার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি সকলে।তবে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কের জন্য আরো প্রয়োজন ১৭ কোটি টাকা।ওই টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঢুকে গেলে আগামী এক বছরের মধ্যে সুসজ্জিত ১০ তলা বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে গিয়ে দেখা কাজ চলছে জোড় কদমে।বিল্ডিংয়ের একেবারে ১০ তলায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা।মেঝের চিপিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। টাইলস ও মার্বেলের কাজের পর পাইপ ফিটিংস, ফলস সিলিং, জানালা – দরজা ও পট্রির কাজ শুরু হবে।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় জি+৯ বিল্ডিংয়ের  জন্যে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৪ টাকার গ্রান্ট পায়। ২৫০ টা শ্রেণি কক্ষ ,৫৪ টি শৌচাগার,  অডিটোরিয়াম, বিভাগীয় গ্রন্থাগার  , আধুনিক ইন্টারনেট  ব্যাবস্থা সহ  বিল্ডিংয়ের কাজের  ববরাদ্দকৃত  টাকা ২০২০ সালে শেষ হয়ে যাবার ফলে বন্ধ হয়ে যায় ।

 

দশতলা ভবনের  স্ট্রাকচার হয়ে দাড়িয়ে থাকে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দূর্লভ সরকার বলেন, ১০ তলা বিল্ডিংয়ের জন্য আমরা রিভাইসড এস্টিমেট পাঠিয়েছিলাম।শিক্ষা দপ্তর টাকা বরাদ্দ করায় কাজ শুরু হয়েছে।সিভিল ওয়ার্কের জন্য ১৮ কোটি টাকা মিলেছে।ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কের জন্য আরও ১৭ কোটি টাকা প্রয়োজন,ওই টাকা আসলেই আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন বিল্ডিংয়ের উপহার দিতে পারব।দীর্ঘদিন পর কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলেও পুরোনো ভবনেই চলছে পঠন-পাঠন। কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পঠন-পাঠন হয় এখানে। রয়েছে গবেষণাধর্মী বিভিন্ন কোর্স।

 

প্রায় ১৩  হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র-ছাত্রী ও কোর্সের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবনের সংখ্যা। সমস্যা সমাধানে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জায়গায় দশতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন।  ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল শিল্যানাস হয় নতুন ভবনের।  প্রথম কয়েক বছর কাজের গতি থাকলেও পরবর্তীতে টাকার অভাবেকাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।নির্মাণকারী সংস্থার সুপারভাইজার মোল্লা মনিরুল জামান জানান,১৫ দিন হল জোড় কদমে কাজ চলছে।১০ তলা ভবনের একেবারে উপরের তলে  কাজ শুরু হয়েছে।আপাতত ৩০-৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন,কালী পূজার পর শ্রমিক সংখ্যা বেড়ে যাবে।আমরা আশাবাদী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *