ঝাড়খন্ডের দলছুট এক আদিবাসী মহিলা পরিযায়ী শ্রমিককে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল
1 min readঝাড়খন্ডের দলছুট এক আদিবাসী মহিলা পরিযায়ী শ্রমিককে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল
দলছুট এক আদিবাসী পরিযায়ী মহিলা শ্রমিককে আজ রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা পরিবারের হাতে তুলে দিল।এদিন রায়গঞ্জ থানায় ওই আদিবাসী মহিলা পরিযায়ী শ্রমিককে দাদার হাতে তুলে দেয় পুলিশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ডের আমতাবাদের বাসিন্দা কবিতা মারান্ডি(২০) তামিলনাড়ুর একটি সুতো কারখানায় কাজ করত।প্রায় ৩ মাস আগে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল কবিতা । গত ১ অক্টোবর পুজোর জন্য অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে।বাড়ি ফেরার পথে দলছুট হয়ে মালদা থেকে রায়গঞ্জের ঘুঘুডাঙ্গায় চলে আসে। ঘুঘুডাঙ্গায় এসে কবিতা এলাকার মানুষের সহযোগিতা চায়।তার আবেদনে সাড়া দিয়ে এক আদিবাসী পরিবার তাকে এক রাত আশ্রয় দেন।
এরপর রায়গঞ্জ থানা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকার মানুষ।রায়গঞ্জ থানার পুলিশের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা তাকে রায়গঞ্জে নিয়ে আসেন।যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে।রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে দাদা সুমাই মারান্ডি রওনা দেয়।সকালে রায়গঞ্জে এসে পৌঁছান তিনি।এদিন দুপুরে রায়গঞ্জ থানায় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে কবিতাকে তুলে দেওয়া হয়।কবিতা জানায়,তিন মাস আগে তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়েছিলাম।বাড়ি ফেরার পথে দলছুট হয়ে যাই।
ভুল করে মালদা হয়ে রায়গঞ্জে চলে আসি।দাদাকে পেয়ে ভালো লাগছে। বোনকে ফিরে পেয়ে খুশি দাদা সুমাই।তিনি জানান,পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা না থাকলে আজ বাড়ি ফিরতে পারতাম না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যা ঝুমকি পাল জানায়,যেহেতু তার বয়স ১৮ বছরের বেশি বয়স তাই চাউল্ড লাইন কবিতার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন।তাই রায়গঞ্জ মহিলা থানায় তাকে রাখা হয়।আমরা ঝাড়খন্ডের পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ করিয়ে দিই।আজ কবিতার দাদা সুমাই আসলে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।