দশমীর দিনেই বলাই চন্ডী রূপী দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠেছে খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই
1 min readদশমীর দিনেই বলাই চন্ডী রূপী দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠেছে খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই
আর পাঁচজন বাঙালি যেমন বছরের প্রথম থেকেই দুর্গাপূজার প্রতীক্ষায় থাকেন। ঠিক তেমনই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা দূগাপূজা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন । বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে যখন বিষাদের ছায়া।তার ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ সংলগ্ন খাদিমপুর গ্রামে। দশমীর দিন গোটা গ্রাম জুড়ে উৎসবের আমেজ। দশমীর দিনেই বলাই চন্ডী রূপী দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠেছে খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। সপ্তাহ ব্যপি চলে পুজা, মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান।হেমতাবাদের কমলাবাড়ি হাট ছাড়িয়ে দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার গেলেই এই খাদিমপুর গ্রাম। রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রামে প্রায় চার বিঘা জমির মধ্যে প্রাচীন একটি গাছের তলায় ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দেওয়া একটি ছোট্ট মন্দিরে দেবীর পুজো হত। বর্তমানে সেখানে সুন্দর মন্দির তৈরী হয়েছে।প্রতি বছরের মতো এবারও দশমীর দিন বুধবার রাতে দেবীর পূজা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর চলে পূজা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দূর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। পূজার দিন দেবীকে সোনা ও রুপার গয়না দিয়ে সাজানো হয়।
আর পাঁচজন বাঙালি যেমন বছরের প্রথম থেকেই দুর্গাপূজার প্রতীক্ষায় থাকেন। ঠিক তেমনই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা দূগাপূজা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। কারণ দশমীর দিন থেকে এই গ্রামে শুরু হয় মা বালাইচন্ডী রূপী দুর্গার পূজা। পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য পুজোর দিনে খাদিমপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চলে নিরামিষ খাওয়া দাওয়া।পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, দেবী দুর্গা এখানে মা চন্ডী রূপে পুজিতা হন। দুর্গার সঙ্গে এখানে মহিষ, অসুর কেউই থাকেনা। এছাড়াও দূর্গার দশ হাতের জায়গায়আ চন্ডীর চার হাত।পুজো দেখতে এই চারদিন দূরদূরান্তের মানুষ এখানে ভিড় জমান। মা বলাইচন্ডী রূপী দুর্গার কাছে ভক্তরা নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো দিলে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় এমনই এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস।পুজো উদ্যোক্তারা আরও জানান, আনুমানিক ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে মা বলাইচন্ডী রূপে এখানে দেবী দুর্গা পূজা হয়ে আসছে।দশমীর দিন রাতে পূজা হয়। এরপর সারা বছর মন্দিরে মূর্তি রেখে মায়ের পূজা চলে। বলাইচন্ডী রূপী মা দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।