৭৫ মাইক্রোনের ক্যারিব্যাগ বন্ধের ফলে কাগজের ঠোঙ্গা বানানো আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিত্রা দেবী ও লিটনের কাছে-
1 min read৭৫ মাইক্রোনের ক্যারিব্যাগ বন্ধের ফলে কাগজের ঠোঙ্গা বানানো আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিত্রা দেবী ও লিটনের কাছে-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ২২জুলাই: সম্প্রতি প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগ ও থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। মাঝে মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আইন করছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। ক্যারি ব্যাগ বন্ধের হলে কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারের দোকান গুলিতে তাই চাহিদা বেড়েছে কাগজের ঠোঙ্গার।আর এই ক্যারিব্যাগের পরিবর্তে ঠোঙ্গা কালিয়াগঞ্জের পিছিয়ে পড়া অনেক পরিবারের কাছেই আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঠোঙ্গা বানানোর কাজ। তাই কালিয়াগঞ্জ শহরের নুতন পাড়ার চিত্রা মোদক, লিটন মোদকের মত সাহা পাড়া হাসপাতাল পাড়াতেও এই কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কাজের সাথে যুক্ত হতে পারে নিজেদের ভাগ্য বান মনে করছে।কালিয়াগঞ্জ শহরের নুতন পাড়ার ৫২বছরের চিত্রা মোদকের বাড়ি।
তিনি এবং তার ছেলে লিটন মোদক দীর্ঘদিন ধরেই কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কাজ করলেও ক্যারিব্যাগ তাদের ঠোঙ্গা বানানোর কাজকে পিছিয়ে রাখতো।কারন ক্যারিব্যাগ বাজারে চলার ফলে সেই ভাবে অর্থাৎ বেশি পরিমাণ ঠোঙ্গা বানাতে তারা পারতোনা। কিন্তূ গত ১লা জুলাই থেকে রাজ্য সরকারের আদেশ ও কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নির্দেশে কালিয়াগঞ্জ শহরে সর্বত্র কারী ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় দোকানদার এবং বিক্রেতাদের মধ্যে কাগজের ঠোঙার চাহিদা ইতিমধ্যেই অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ফলে নুতন পাড়ার চিত্রা মোদক ও তার পুত্র লিটন মোদকের কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানালেন লিটন মোদক।লিটন মোদক এক সাক্ষাৎকারে বলেন এক কেজি পেপারের দাম ৪০ টাকা।পেপার কিনে ময়দা জাল দিয়ে এবং একরকম পিজবোর্ড এই সব মিলে ঠোঙ্গা বানানোর পর এক কেজি ঠোঙ্গা বিক্রি করি মাত্রা ৪৫- টাকা থেকে ৪৬টাকা।
প্রতি কেজি ঠোঙ্গা বিক্রি করে লাভ হয় পাঁচ থেকে ছয় টাকা। চিত্রা দেবী বলেন একদিনে ১০ কেজি ঠোঙ্গা বানানো কোন সম্ভবপর ব্যাপার নয়। তবে এখন যেহেতু বাজারে এখনো ঠোঙ্গার চাহিদা তেমন ভাবে বাড়েনি।তাই এখন প্রতিদিন ৭/৮কেজি ঠোঙ্গা বিক্রি করে থাকি।বাজারে ঠোঙ্গার চাহিদা যত বাড়বে ততই আমাদের লাভ। আগে ক্যারিব্যাগ আমাদের ঠোঙ্গা শিল্পকে একদম বন্ধ করে রেখেছিল। ক্যারি ব্যাগ বন্ধ হবার ফলে আমরা নতুন করে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছি। ঠিক একই কথা বললেন চিরাইল পাড়ার আরতি বর্মন, জয়া দেবশর্মা এবং জয়ন্তী সরকার।তারা বলেন আমরা ঘরের বউ।সংসারের সব কাজ করার পর আগে যেমন শুয়ে বসে আড্ডা মেরে কাটাতাম।এখন সেই আড্ডা মারার কোন সময় আমাদের কাছে নেই তাদের বক্তব্য এখন যেহেতু ক্যারি ব্যাগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে ।সেই কারণে পূর্বের ঠোঙ্গা শিল্প পুনরায় কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়ছে।তাই যারা ঠোঙ্গা শিল্পের সাথে যুক্ত থেকে নিয়মিত ঠোঙ্গা বানাবে তাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন মুলধন।তাই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা থেকে যদি ঠোঙ্গা শিল্পীদের কাজের জন্য সামান্য কিছু করে ঋণের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে ঠোঙা শিল্পীদের ভীষণভাবে উপকার হত।