October 27, 2024

ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রতীক্ষালয় দখল করে চলছে রান্না ও খাওয়াদাওয়া।

1 min read

ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রতীক্ষালয় দখল করে চলছে রান্না ও খাওয়াদাওয়া।

ইসলামপুর থেকে সুব্রত কান্তি বিশ্বাস এর রিপোর্ট ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রতীক্ষালয় দখল করে চলছে রান্না ও খাওয়াদাওয়া। ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীদের ঘুমানোর ব্যবস্থাও হয়েছে প্রতীক্ষালয়ে। তাঁরা কার্যত এক প্রকার সংসার গুছিয়ে বসেছে। সরকারি উদ্যোগে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের জন্য তৈরি এই প্রতীক্ষালয়টির অপব্যবহার দেখে মানুষ ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন সমস্ত কিছু জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জলের পাম্প বসানো হবে।

তারই কিছু কাজ চলছে। ঠিকাদারি সংস্থার মেশিনের কিছু যন্ত্রাংশ মজুত করা হয়েছে প্রতীক্ষালয়ে। সংস্থার কর্মীদের ঘুমানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানেই। ওই ঘরেই রান্না, খাওয়াদাওয়া চলছে। সংস্থার এক কর্মী রানাঘাটের বাসিন্দা রমেন বিশ্বাস বলেন, আমাদের থাকা খাওয়ার সমস্ত খরচই বহন করেন মালিক। মালিক এখানে থাকার ব্যবস্থা করেছে, তাই থাকছি। আমি এখানে চার দিন থেকে আছি। আর এক কর্মী বাসুদেব সরকার তিনি নদীয়া জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমি এক মাস থেকে এখানে থাকছি।ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার সুরজ সিংহ বলেন, প্রতীক্ষালয়ে কেউ থাকে না, ফাঁকাই পড়ে থাকে। পাশেই কাজ চলছে। শ্রমিকদের থাকার জায়গা নেই তাই প্রতীক্ষালয়ে থাকছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকার জন্য অনুমতি দেয়নি।

হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একবছর আগে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রতীক্ষালয়টি তৈরি হয়। ইসলামপুর পুরসভার সৌজন্যে প্রতীক্ষালয়টি নির্মাণ হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগী আসেন। এই হাসপাতালেই রয়েছে মর্গ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এর আগে রোগীর পরিজনদের জন্য প্রতীক্ষালয় ছিল না।

চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ডালখোলা সমস্ত এলাকা থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য এই হাসপাতালের মর্গে আসে। প্রতিদিনই অনেক মানুষ মৃতদেহ নিতে আসে। তাদেরও প্রতীক্ষার জন্য জায়গা ছিল না। ফলে পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে এই প্রতীক্ষালয়টি তৈরি করেছিল। যাতে রোগীর পরিজন কিংবা মৃতদেহ নিতে আসা মানুষ রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে ছাদের নিচে বসে প্রতীক্ষা করতে পারে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ওই ঘরে রোগীর পরিজন কিংবা দেহ নিতে আসা মানুষ নয়, ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা থাকছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *