October 27, 2024

১৯২৮ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন তৎকালীন দিনাজপুর জেলার হিলিতে

1 min read

১৯২৮ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন তৎকালীন দিনাজপুর জেলার হিলিতে

বালুরঘাট থেকে পিয়া দাস এর রিপোর্ট বর্তমানের কথা  ১৯২৮ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন তৎকালীন দিনাজপুর জেলার হিলিতে। সেখান থেকে এসে বালুরঘাটে জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছিলেন। যা প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে আত্রেয়ী নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সেই সময় বিভিন্ন সমাবেশ করে বালুরঘাটের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজ রঞ্জন চ্যাটার্জির বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছিলেন। কিন্তু প্রায় দশ বছর আগে

সেই বাড়ির অর্ধেক অংশ ভাঙা পড়েছে প্রমোটারদের চক্করে। এখন বাড়ির অর্ধেক অংশকে রক্ষা করে সেখানে হেরিটেজ ঘোষনা করার দাবি তুলেছে চ্যাটার্জি পরিবারের বংশধরদের একাংশ।জানা গিয়েছে, ১৯২৮ সালের ২৬শে মে হিলি থেকে সোজা বালুরঘাটে এসেছিলেন নেতাজি। বালুরঘাটে কংগ্রেস ঘাট এলাকায় জেলা কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস উদ্বোধন করে বিশাল জনসভা করেন তিনি। সেসময় বালুরঘাট থেকে দক্ষিণে বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত পত্নীতলা ও ধামোরহাটে দুর্ভিক্ষ চলছিল। যা নিয়ে বিট্রিশ সরকার উদাসীন ছিলেন। নেতাজি ওই এলাকায় গিয়ে সভা করেছিলেন।

এরপর ব্রিটিশ সরকার দুর্ভিক্ষগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রান পাঠাতে বাধ্য হয়। এরপরে বালুরঘাটের কংগ্রেস নেতা সরোজ রঞ্জন চ্যাটার্জির বাড়িতে রাত্রি যাপন করে পরের দিন অবিভক্ত দিনাজপুরের বর্তমানে বাংলাদেশের হিলি স্টেশন থেকে রেল ধরে ফিরে যান।প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের যে চ্যাটার্জি বাড়িতে নেতাজি রাত্রি যাপন করেছিলেন, পারিবারিক ভাবে সেই বাড়ির অর্ধেক অংশ ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িটি যাতে অক্ষত রেখে হেরিটেজ করা যায়, তা নিয়ে আদালত অবদিও যায় ওই পরিবারের কিছু সদস্যরা। তবে বাড়িটির অর্ধেক অংশ এখনও রয়েছে। যা হেরিটেজ ঘোষনা করবার দাবি জানাচ্ছেন পরিবারের একাংশ।বালুরঘাটের বাসিন্দা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড: সমিত ঘোষ বালুরঘাটে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আসার বিষয়টি জানান এবং সরোজ রঞ্জন চ্যাটার্জির বাড়িতে রাত্রি যাপনের বিষয়ে জানিয়ে, নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *