October 27, 2024

পৌষ সংক্রান্তিতে বাঙালীর ঘরে পিঠে পুলি।

1 min read

পৌষ সংক্রান্তিতে বাঙালীর ঘরে পিঠে পুলি।

লোকনাথ সরকার, কুশমন্ডি, ১৪ জানুয়ারী।বাঙালির এক অনন্য আদি কালের উৎসব-অনুষ্ঠান পৌষ সংক্রান্তি তথা পৌষ পার্বণ। যাকে ঘিরে আজকের দিনে সারা দিন চলছে এঘর থেকে ওঘরে জাবার পালা। অর্থাৎ কুটুম বাড়ি বা আত্মীয়ের বাড়ি। কেও সঙ্গে নিয়ে মিষ্টির হাড়ি। আবার কেও বা সঙ্গে নিয়ে বিশাল বড়ো বড়ো মাছ। এই পৌষ সংক্রান্তির দিনে বাঙালির ঘরে ঘরে তেলে ডুবছে আটার ঘোল। অর্থাৎ ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে পিঠা পুলি। যেমন রয়েছে জাকিয়ে ঠান্ডা। তেমনি সংক্রান্তির পিঠা পুলি পাতপেড়ে খাবার জন্য হাজির কুটুম বাড়ি।এই পিঠা তৈরী করতে গেলে প্রয়োজন আতপ চালের গুরো (আতপ চালের আটা)।

আর সেই আতপ চাল গুরো করতে, গ্রামের ঘরে ঘরে আগে শোনা যেতো ঢেকির শব্দ। বর্তমান সমাজে বিভিন্ন মেশিন চলে এসেছে। তাই প্রায় বিলুপ্তি হয়ে গেছে ঢেকি। আর শোনা যায় না ঢেকির শব্দ। ঢেকির সাথে সাথে হারিয়েছে বাড়ির কর্তী- কুচি কাচাদের আনন্দটাও।সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে ঘরে ঘরে ঠাকুরকে দেওয়া হয় পিঠা পুলির প্রসাদ।

তার সাথে দেওয়া হয় তীল বাড়িয়ে। যাকে বলে তীল বাড়ানো। এই তীল বাড়ানোর কারণ হলো। আজকের দিন থেকে তীলে তীলে দিন বড়ো হতে থাকবে। অর্থৎ একটু একটু করে দিন বড়ো হতে থাকবে। আর রাত ছোটো হতে থাকবে। তাই আদি কাল থেকে আজকের দিনে তীল বাড়ানো প্রথা রয়েছে।

 

আজ পৌষ সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে বাঙালীর ঘরে ঘরে যেমন তৈরী হচ্ছে পিঠা পুলি। তেমনি বাংলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে গঙ্গায় পুণ্য স্নান। আজকের দিনে গঙ্গায় স্নান করলে নাকি বলে শরীরের গ্রহ কেটে যায়। পূণ্য লাভ হয়। তাই চলছে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা স্নান।কোনো কোনো অঞ্চলে আবার আজকের দিনে রয়েছে ঘুড়ি উড়ানোর প্রথা। ছোটো থেকে বয়স্ক সকলেই মেতে উঠে ঘুড়ি উড়ানোয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *