October 27, 2024

কেন্দ্রের বস্ত্র মন্ত্রকের তুঘলুকি নির্দেশে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা হাটে পাট কিনতে যেতে না পারায় চরম সমস্যায়

1 min read

কেন্দ্রের বস্ত্র মন্ত্রকের তুঘলুকি নির্দেশে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা হাটে পাট কিনতে যেতে না পারায় চরম সমস্যায়

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৬ডিসেম্বর: কেন্দ্রের বস্ত্র মন্ত্রক হাট বাজার থেকে পাট ক্রয়ের ব্যাপারে সম্প্রতি একটি তুঘলকি নির্দেশ জারি করেছে। ফলে কালিয়াগঞ্জ সহ উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার ক্ষুদ্র পাট ব্যাবসায়ীরা যারা হাট ঘাটে পাটের ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবার ফলে চরম সমস্যায়। জানা যায় গত ১০/১১/৩০২১ তারিখে ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক তথা জুট কমিশনার (এম কেটিজি),১০৬/২০১৮ এক নির্দেশ নামায বলা হয়েছে যারা হাট ঘাটে গিয়ে পাটের ব্যবসা করবে তাদের প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

কিন্তূ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা জানতে পারেনি কবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং রেজিস্ট্রেশন করবার তারিখ কবে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাট থেকে পাট কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যারা এই নির্দেশের অজান্তে সামান্য পাট হাট থেকে ক্রয় করেছে কালিয়াগঞ্জের এমন ১৬ জন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীর নামে থানায় এফ আই আর দায়ের করা হলে কোর্ট থেকে তারা জামিনে মুক্ত হয় ।উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির কালিয়াগঞ্জ শাখার সম্পাদক পরিতোষ কুন্ডু বলেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের ভাতে মারার জন্য কেন্দ্রের বস্ত্র মন্ত্রক তিন ধরনের ব্যবসায়ী নির্ধারণ করেছে। তারা কে কত পাট ক্রয় করতে পারবে তাও নির্ধারণ করে একটি নির্দেশ জারি করেছে। যা ক্ষুদ্র পাট চাষিদের ভাতে মারার ব্যবস্থ্যা পাকাপাকিভাবে করে।যার ফলে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা হাটে গিয়ে পাট ক্রয় করতে পারছেনা।কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক ১৫০০ শো কুইন্টাল,৫০০কুইন্টাল,৩০০কুইন্টাল এবং ৫ কুইন্টাল এই চার ধরনের পাট ব্যবসায়ীকে ভাগ করে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির কালিয়াগঞ্জ শাখার সম্পাদক পরিতোষ কুন্ডু বলেন তারা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর যৌথ শাখার উদ্যোগে গত ২৩শে নভেম্বর বালুরঘাটের মহকুমা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে দাবি জানান কাঁচা পাটকে কোন ভাবেই ইসি এক্টের আওতায় আনা চলবেনা।যা আনা হয়েছে।পাট কমিশনারের আদেশ অনুসারে পাট ব্যবসায়ীদের রেজিস্ট্রেশন করার যে সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত তার সময় সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়নি এমন পাট ব্যবসায়ীদের পাট কেনার সীমা ৫ কুইন্টালের পরিবর্তে ৫০ কুইন্টাল করতে হবে।পাটের উপর মার্কেটিং চার্জ ০৫% করতে হবে। সম্পাদক পরিতোষ কুন্ডু বলেন অবিলম্বে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের পাট কেনার সুযোগ করে দিতে হবে।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের পার্শ্ববর্তী হাট গুলোতে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা পুলিশি আতঙ্কে পাট কিনতে যেতে ভয় পাচ্ছে। হাটে পাট কিনতে গেলেই তাদের উপর পুলিশি জুলুম চলছে।এর ফলে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে,বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে,রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধরিকে এবং কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়কে জানিয়েছেন যাতে করে তারা হাট থেকে পাট কিনে পাট বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে আসছেন প্রশাসনিক বৈঠক করতে।সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়ে যাতে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা পুনরায় পাটের ব্যবসা করতে পারে তার জন একটি স্মারক লিপি দেবার কথা আছে বলে জানা যায়।উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে তাদের জন্য যে রেজিস্ট্রেশন করবার নির্দেশ এসেছে তার মেয়াদ যাতে বৃদ্ধি করা যায় তার জন্যও আবেদন করা হবে।কিন্তু ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের পাট কেনার পরিমান ৫ কুইন্টাল থেকে বৃদ্ধি করে তাকে ৫০কুইন্টাল করতে হবে।কেননা অনেক ক্ষুদ্র পাট চাষি পার্টনারশিপ পদ্বতিতেও পাট ব্যবসা করে থাকে।ফলে ৫কুইন্টাল পাট কিনে পার্টনারশিপ ব্যবসা কোন মতেই সম্ভব নয় বলে পাট ব্যবসায়ীরা জানান।যদি দুই এক দিনের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে তাদেরকে বাধ্য করা হবে বলে উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *