পৌর ভোটের সবুজ সংকেত না মিললেও কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা দখল নিতে শাসক ও বিরোধী শিবিরে শুরু জোর প্রস্তুতি
1 min readপৌর ভোটের সবুজ সংকেত না মিললেও কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা দখল নিতে শাসক ও বিরোধী শিবিরে শুরু জোর প্রস্তুতি
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ ২২, অক্টোবর:ভোট বড় বালাই। তাই বিধান সভা নির্বাচন হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে চলছে একটার পর একটা উপনির্বাচন।আগামী ৩০ শে অক্টোবর রাজ্যের বিধান সভার উপ-নির্বাচনের দ্বিতীয় তথা শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্চে। না এখানেই নির্বাচনের ইতি নয়।সম্ভবত এই উপ নির্বাচন শেষ হলেই পশ্চিমবঙ্গে আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে রাজ্যের শতাধিক পৌর সভার নির্বাচন হবার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিতে চলেছে।গত ২০২০ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াভঞ্জ পৌর সভার নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনীত পৌর প্রসাশক মন্ডলীর বোর্ড চলছে।কোভিড আবহের কারনে কালিয়াগঞ্জ সহ রাজ্যের শতাধিক পৌর সভা মনোনীতদের মাধ্যমেই চলছে।পৌরসভা সূত্রের খবর থেকে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় ২০২০ সালে পৌর বোর্ডের নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭ টি ওয়ার্ডের জন্য আসন সংরক্ষনের চূড়ান্ত রোস্টার প্রকাশ করা হয়েছিল।
[এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে জানা যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত রোস্টার অনুযায়ীই পৌর ভোট হবে।জানা যায় প্রকাশিত রোস্টারের ১৭ টি পৌর ওয়ার্ডের মধ্যে ৬ টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।যার মধ্যে রয়েছে ১,৩,৬, ৭,১১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। তপশিলিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে ১,৬,১০ ও ১৭নম্বর ওয়ার্ড।সর্ব সাধারণে র জন্য রাখা হয়েছে ২,৪,৫,৮,৯,১২,১৩,১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড।তবে এবার অসুবিধার মধ্যে পড়ে গেছে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পৌর তৃণমূল কমিশনার।যেহেতু তাদের ওয়ার্ড সংরক্ষনেন আওতায় পড়ে গেছে।তবে এসবের মধ্যেইদুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কয়েক জন প্রাক্তন তৃণমূলের কমিশনার।সংরক্ষণের আওতার মধ্যে পড়ে মহিলা সংরক্ষিত হবার ফলে সেখানে যদি তার স্ত্রীকে টিকিট পাইয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টার খামতি নেই।যাতে সেই কমিশনারেরতবে সাশক দলকে এবার জনগনের প্ৰকৃত রায় নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা দখল করতে হবে এটা মাথায় রেখেই কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের শহর তৃণমূল সভাপতি সুজিত সরকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত গ্রুপ মিটিং,ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়।
বিগত ২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি আসন তৃণমূল প্রার্থী দিয়েও একটি আসনও জিততে পারেনি।প্রয়াত প্রাক্তন পৌর পিতা অরুণ দে সরকারের নেতৃত্বে ১৭টি আসনের মধ্যে ১৬ টি আসনে জয়ী হন।শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রথম নির্বাচন থেকে প্রয়াত অরুণ দে সরকার ২০১৫ সালে জিতে পৌর পিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।কিন্তু অরুণ দে সরকার ২০২০ পর্যন্ত পৌর পিতা হিসাবে থাকতে পারেনি পৌর সভায়। ১২জন কংগ্রেস কমিশনার কংগ্রেস থেকে তৃণমূল দলে চলে যাবার ফলে কংগ্রেস পরিচালিত ২২ বছরের পৌর সভা ভেঙে গিয়ে তৃণমূলের দখলে চলে যায় ২০১৭ সালে।যদিও অন্যদিকে বিজেপি দল উঠে পরে লেগেছে যেমন করেই হোক কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা এবার তাদের দখলে আনতেই হবে।বসে নেই কংগ্রেস।কংগ্রেসের প্ৰতি মানুষের একটা দুর্বলতা আছে ।কেননা সুদীর্ঘ২২বছর একটানা তারা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার দায়িত্বে ছিলেন।কমিশনাররা তাদের সাথে বেইমানি করলেও জনগন তাদের দিকেই আছে বলে জানান কগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুজিৎ দত্ত।