October 28, 2024

মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে সুসংহত পদ্বতিতে মাছ চাষের সাথে হাস চাষ করে মৎসজীবীরা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান-

1 min read

মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে সুসংহত পদ্বতিতে মাছ চাষের সাথে হাস চাষ করে মৎসজীবীরা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান

তপন চক্রবর্তী-দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে সুসংহত পদ্বতিতে মাছ চাষের সাথে হাস পালন করে জেলার মৎস চাষিরা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছে বলে জানালেন মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ,মৎসবিজ্ঞান বিশ্বজিৎ গোস্বামী।বিশ্বজিৎ বাবু বলেন এই পদ্বতিতে পুকুরের মাটির প্রকৃতি দোয়াশ, এটেল বা পলিযুক্ত হলে মাছ চাষের পক্ষে খুব ভালো হয়।তিনি বলেন এই সুসংহত পদ্বতিতে মাছ চাষ করতে হলে মাটির পি এইচ সাড়ে ছয় থেকে সরে সাত থাকা বিশেষ প্রয়োজন।পুকুরের ধারে বা নিকটবর্তী স্থানে হাঁসের ঘর রাখতে হবে।

মাছ চাষ করার পূর্বে পুকুরের পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে অবশ্যই।পুকুরে যদি কোন বিশেষ ধরনের জলজ আগাছা থাকে তা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করতে হবে।হাত দিয়ে বা জাল টেনে বা কোন রাসায়নিক ঔষুধ দিয়ে।যদি বোঝা যায় পুকুরে রাক্ষুসে মাছ আছে সেক্ষেত্রে বিষ প্ৰয়োগ করে মেরে ফেলতে হএ ছাড়া প্রতিবিঘা জলে ৩০০থেকে ৩৫০ কেজি মহুয়া খোল অথবা ব্লিচিং পাউডার ও ইউরিয়া ২০ কিলোগ্রাম এবং ২০কিলোগ্রাম করে ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে প্রয়োগ করতে হবে।এ সব ছাড়াও পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে পিএইচ মেপে।এ ছাড়াও সাধারণ ভাবে ৪০-৬০কিলোগ্রাম চুন পুকুরে দেওয়া যেতে পারে।এসব ছাড়াও মাছ চাষের পুকুরে বিঘা প্ৰতি ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোগ্রাম গোবর সার ফেললে এর উপকারিতা ভীষণভাবে পাওয়া যাবে বলে মৎস বিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ গোস্বামী জানান।তিনি বলেন মাছের পুকুরে সাধারণত তিন থেকে ছয় ধরনের মাছ ছাড়া যেতে পারে।

তিনি বলেন চার ইঞ্চি পোনা মাছ বিঘা প্ৰতি একহাজার থেকে পনেরোশো ছাড়তে হবে।প্রয়োজনে পুকুরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে বলে জানান।মৎসবিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন সুসংহত মৎসচাষের মাধ্যমে ছয় ধরনের মাছ চাষ করা যেতে পারে।উপরের স্তর, মাঝের স্তর এবং নিচের এই তিন স্তরে।উপরের স্তরে সাধারণত কাতলা ও সিলভার কাফ,মাঝের স্তরে রুই ও গ্রাস কাফ এবং সবশেষে নীচের স্তরে মৃগেল ও আমেরিকান রুই চাষ করা হয়।কাতলা,লক্ষ রাখতে হবে সিলভার কাপ মাবহের7 পোনা অন্য মাছ ছাড়ার দুই মাস পরে ছাড়া হয়।কারন খাবার নিয়ে প্রচন্ড গন্ডগোল বাদে কাতলা মাছের সাথে সিলভার কাপ মাছের।মাছ মজুত করার পদ্বতি নিয়ে মৎস বিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন মাছ মজুত করার পূর্বে মাছ চাষিদের কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা বিশেষ ভাবে।প্রয়োজন হয়ে থাকে।যেমন যে পাত্রে মাছ আনা হয় সেই পাত্রটি পুকুরের জলের মধ্যে ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

তাপ মাত্রার সমতা আসার পর মাছ গুলিকে ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে।শোধন করার পরেই মাছ গুলিকে ধীরে ধীরে জলে ছাড়তে হবে।লবন ও পটাশিয়াম পারমঙ্গনেট দিয়ে শোধন করা হয়ে থাকে।মাছ ও হাঁসের চাষে কি ধরনের নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে মৎস বিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন পুকুরে নিয়মিত চুন দিতে হবে এবং আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিমাসে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সাথে সাথে।পুকুরের পাড় খুব ভালো ভাবে বাঁধতে হবে।

 

যাতে পুকুরের মধ্যে দূষিত জল কোন রকম বিষ জাতীয় কোন দ্রব্য পুকুরের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারেমাছের সাথে হাঁস পালন করতে গেলে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে।হাঁসের বাসস্থান সবসময়র।জন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।হাঁসের।খাবার জন্য বিশুদ্ধ জল।ও সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা অত্যন্ত।প্রয়োজন।হাঁসের ঘর আলো বাতাস যুক্ত হতেই হবেহাঁসের ঘরের মেঝে শুকনো থাকা বাঞ্চনীয়।হাঁসের জল ও খাবার পাত্র শোধন করে অবশ্যই নিতে হবে বলে বিশ্বজিৎ গোস্বামী।

 

জানান।হাঁসকে কোন ভাবেই বাশি খাবার।কোন ভাবেই দেওয়া চলবেনা।সংক্রামক রোগের জন্য।টিকাকরন অত্যন্ত জরূরী। হাঁসের কোন রোগ হলে বিশেষজ্ঞ।চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।বিশেষ প্রয়োজন বলেই মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ মৎস,বিশ্বজিৎ গোস্বামী জানান। বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র জেলার মৎসচাধীদের নিয়মিত সুসংহত মৎস চাষ চাষ ও হাস চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *