October 28, 2024

অসুস্থ হতদরিদ্র কন্যাশ্রী কৃষা রায়ের পাশে মানবিক মুখ হয়ে দাঁড়ালো কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক সৌমেন

1 min read

অসুস্থ হতদরিদ্র কন্যাশ্রী কৃষা রায়ের পাশে মানবিক মুখ হয়ে দাঁড়ালো কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক সৌমেন

তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ২১,সেপ্টেম্বর: যার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল আর পাঁচজনের মত পড়াশোনা করে ভালো একটা চাকরি করে পরিবারের হাল নিজে হাতে ধরার। যার স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের কষ্ট কে দূরে সরিয়ে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফেরানো। এমন।প্রতিজ্ঞার উপর ভর করে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একের পর এক গণ্ডি পার করে এম এ পড়ছিল কালিয়াগঞ্জের কুনরের কন্যাশ্রী কৃষ্ণা রায়।কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে হঠাৎ করে কৃষ্ণা রাযের পড়াশোনায় ছন্দপতন ঘটলো। মাত্র 4 দিন বাকি ছিল এমএ পরীক্ষার। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেই পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ঘটে গেল এই হতদরিদ্র ঘরের কন্যাশ্রী কৃষ্ণের জীবনের ছন্দপতন। বহু চিকিৎসা করলেও এখনো ভালো হয়নি কৃষ্ণা। যত দিন যাচ্ছে শারীরিক অবনতি ঘটে চলছে। বর্তমানে কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে উঠছে যে অবিলম্বে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে কলকাতার পিজি হাসপাতালে। কিন্তু এখানেও সমস্যা কৃষ্ণার পরিবারের। কলকাতার মতো জায়গায় থেকে পিজি হাসপাতালের কৃষ্ণার চিকিৎসার খরচ চালানো মত আর্থিক সঙ্গতি নেই কৃষ্ণার পরিবারের। এমন অবস্থায় এক মানবিক মুখের পরিচয় দিয়ে কৃষ্ণা কে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায়। বিধায়কের নির্দেশে কৃষ্ণার বাড়িতে গিয়ে কৃষ্ণার চিকিৎসার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা ও খরচ দেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিধায়কের প্রতিনিধি কুমুদ রায়। 

এদিকে বিধায়কের কাছ থেকে এমন মুমূর্ষ সময়ে এমন সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে খুবই খুশি কৃষ্ণার পরিবার। তাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় বিধায়ক সৌমেন রায় কে।উল্লেখ্য ছোটবেলা থেকেই কৃষ্ণা রায় মানুষ হচ্ছিল তা মাসি ও মেসোর কাছে। কৃষ্ণার বয়স যখন তিন মাস তখনই কৃষ্ণার মায়ের কাছ থেকে দত্তক নিয়ে নেন কৃষ্ণাকে তার মেসো বিষ্ণুপদ রায়। সামান্য জমি থাকায় সেই জমিতে চাষাবাদ করে যে ফসল ঘরের আন্ত বিষ্ণু বাবু।

সেই ফসল বাজারে বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন হত সেই টাকা দিয়ে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি কৃষ্ণাকে মানুষ করে তুলছিলেন আর পাঁচজনের মতো করেই। কষ্ট করে লড়াই চালিয়ে কৃষ্ণা এমএ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছিলেন। মাত্র 4 দিন ছিল পরীক্ষা। কিন্তু সেই সময় জীবনের ছন্দপতন ঘটে যায় কৃষ্ণার জীবনে। এখন একটাই লক্ষ্য তার পরিবারের কৃষ্ণাকে যেকোনোভাবেই হোক বাঁচাতেই হবে। তাই যেভাবে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় তাদের পাশে এগিয়ে এসে যেভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন সেটা নিঃসন্দেহে একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। একটা চাকরি করে পরিবারের হাল নিজে হাতে ধরার।

যার স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের কষ্ট কে দূরে সরিয়ে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফেরানো। আর এমন প্রতিজ্ঞার উপর ভর করে কৃষ্ণা পড়াশোনায় একের পর এক গণ্ডি পার করছিলেন খুব ভালো ফলাফল করেই।কিন্তূ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের পূর্ব কুনোরের এই কন্যাশ্রী কৃষ্ণা রাযের স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে গেল।নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে হঠাৎ কন্যাশ্রী কৃষ্ণা দুরারোগ্য এক অসুখে তাকে নিয়ে জীবন মরন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র ৪ দিন বাকি ছিল এমএ পরীক্ষার।

কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেই পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ঘটে গেল এই হতদরিদ্র ঘরের কন্যাশ্রী কৃষ্ণের জীবনের ছন্দপতন। স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল কৃষ্ণার শরীরে বড় ধরনের রোগ বাসা বাধায়। যত দিন যাচ্ছে শারীরিক অবনতি ততই ঘটে চলছে বলে জানা যায়।কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে উঠছে যে অবিলম্বে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে কলকাতার পিজি হাসপাতালে।কালিয়াগঞ্জের পূর্ব কুনরের কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থার কথা তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন রায় শুনতে পেয়েই বিধায়ক কলকাতায় থাকায় তার প্রতিনিধিকে পূর্ব কুনরের বাড়িতে পাঠিয়ে বলা হয় কৃষ্ণার চিকিৎসার খরচ বিধায়ক হিসাবে সৌমেন রায় খরচ করবেন। বুধবার কৃষাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য মঙ্গলবার তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়। কলকাতার পিজি হাসপাতালের কৃষ্ণার চিকিৎসার এমন এক মানবিক মুখ হিসাবে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক সৌমেন রায় সামনে আসায় কালিয়াগঞ্জের মানুষ বিধায়ক সৌমেন রায়কে অভিনন্দন জানানো হয়।উল্লেখ্য ছোটবেলা থেকেই কৃষ্ণা রায় মানুষ হচ্ছিল তার মাসি ও মেসো কাছে। কৃষ্ণার বয়স যখন তিন মাস তখনই কৃষ্ণার মায়ের কাছ থেকে দত্তক নিয়ে নেন কৃষ্ণাকে তার মেসো বিষ্ণুপদ রায।কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বিধায়ক হিসাবে আমি মনে করি আমার এ ব্যাপারে দরিদ্র মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সহযোগিতা করা উচিৎ।তাই চেষ্টা করছি কি ভাবে তাকে সুস্থ্য করে তোলা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *