October 28, 2024

দুর্গা পূজার আগেই কার্তিক বন্দনায় মেতেছে কালিয়াগঞ্জ বাসি।এখন কি শুধু সময় এর অপেক্ষা প্রশ্ন শহরবাসীর ? 

1 min read

দুর্গা পূজার আগেই কার্তিক বন্দনায় মেতেছে কালিয়াগঞ্জ বাসি।এখন কি শুধু সময় এর অপেক্ষা প্রশ্ন শহরবাসীর ? 

তন্ময় চক্রবর্তী।।।।রাজনীতিতে কোন কিছুই অসম্ভব বলে কিছু হয় না।আর রাজনীতিতে কাহারো সময় সমান নাহি যায়।এই প্রবাদ বাক্য বহুদিন এর।তাই আজকের দিনে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামী দিনে একই থাকবে কেউ বলতে পারবে না ।তবে যাই হোক না কেন ।গত কালকে কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় সাংবাদিকদের সামনে যে মন্তব্য করছেন যে কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপির মাত্র দুইজন বাদে সবাই তৃণমূলে যোগ দিবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর।আর বিধায়কের এই মন্তব্যের পর শহর জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাহলে কি আগামী দিনে আবারো কালিয়াগঞ্জ তৃণমূলে কোন পট পরিবর্তন হতে চলছে। এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে কালিয়াগঞ্জ শহরজুড়ে। বিধায়ক মন্তব্য করেছেন গতকাল যে,  কালিয়াগঞ্জে বিজেপির দুই জন বাদে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। কে সেই দু’জন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় সেই দুজনের মধ্যে একজন হলেন কালিয়াগঞ্জ বিজেপি শহর মন্ডল এর সভাপতি ভবানী চরণ সিংহ এবং যুব মোর্চার জেলা সভাপতি গৌতম বিশ্বাস। এখন প্রশ্ন এই দুইজন বাদ দিয়ে তাহলে সবাই যদি বিজেপির কার্য কর্তারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেয় তাহলে তার মধ্যে পড়তেই পারে  কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। আর এই কার্তিক চন্দ্র পালের নাম কে  ঘিরেই এখন জোর জল্পনা-কল্পনা চলছে কালিয়াগঞ্জ শহরের আনাচে-কানাচে তে।

কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ চায় আবারও পূর্বতন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌর পতি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা দায়িত্বে আসুক। পূর্বে যেভাবে তার হাত ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শহরের উন্নয়নমূলক কাজ গুলো হচ্ছিল আবারও সে কাজগুলো শুরু হোক। অন্যদিকে প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের তৃণমূলে আসা কে কেন্দ্র করে যে জল্পনা-কল্পনা চলছে সেটিকে আবারো উসকে দিয়েছেন সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ এর একটি ওয়ার্ড এ  তৃণমূলের একটি সভায় বর্তমান পৌর প্রশাসক শচীন সিংহ রায় এর মন্তব্য । তিনি সেখানে নিজের আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে মন্তব্য করে ফেলেন, আমি নকুল সিংহ বলছি,  কে আমাকে আমার জায়গা থেকে সরায় । আমি দেখে নিব। কিন্তু প্রশ্ন এখানে একটাই প্রশাসক পদে কে বসবেন । কে বসবেন না । সেটা ঠিক করে তৃণমূলের উচ্চতম নেতৃত্ব। আর সেখানে বর্তমান প্রশাসকের এহেন মন্তব্য করাটা   কতটা যুক্তিসঙ্গত তা কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যেতে পারে। তাহলে কি তিনি দলের ঊর্ধ্বে। তৃণমূল কংগ্রেসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন , আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। দল যাকে দায়িত্ব দিবে তাকে মেনেই আমরা আগামী দিনে লড়াই করব।

 

এখানে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমরা চাই কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়ন হোক একদিকে যেমন বিধায়কের মাধ্যম দিয়ে অপরদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তে যদি কোন পট পরিবর্তন হয় । সে ক্ষেত্রে যেই প্রশাসক পদে আসুক না কেন আমরা তাকে নিয়ে চলবো আগামী দিনে। তিনি বলেন প্রশাসক শচীন সিংহ রায়ের এহেন মন্তব্য করা ঠিক হয় নি একটি কর্মীসভায়যে আমি নকুল সিংহ বলছি কে আমাকে সরায় আমি দেখে নিব । এটা দলীয় মিটিংয়ে তিনি বলতে পারেন তিনি কিন্তু একটি ওয়ার্ডে দলীয় সভা হচ্ছে প্রকাশ্যে তখন এ ধরনের মন্তব্য আদৌ কি যুক্তিসংগত তার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মুখ থেকে। তাহলে কি তিনি দলের ঊর্ধ্বে উঠে সব কাজ করেন।

এত অহংকার এত দাম্ভি কথা  মানুষ কি পছন্দ করেন ?  অনেক কর্মীরা বলেন এত অহংকার দম্ভ ভালো না। এতে দলেরই ক্ষতি হয়। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ গুলো হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ শহরে সেগুলো যদি তুলে ধরা হয় সাধারণ মানুষের কাছে তাহলেই সাধারন মানুষরা খুশি হবেন। কিন্তু সেটা না করে আমি নকুল সিংহ বলছি আমাকে কে সরায় আমি দেখে নেব।এই মন্তব্য কোনভাবেই মানানসই নয় তার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মুখে থেকে।

 

তৃণমূলের ওই ব্যক্তি বলেন এতে সাধারন মানুষদের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে যে দলের মধ্যে পদ নিয়ে এখন কাজিয়া তৈরি হয়েছে। সামনে পৌরসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা যাতে তৃণমূল কংগ্রেস দখল করতে পারে তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলের মধ্যে যদি কোন বিভেদ থাকে তাহলে তার প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। এদিকে পৌর প্রশাসকের এ হেন মন্তব্যের একদিন পরেই কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় কে এক সম্বর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আর সেখানেই জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন সকল তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে যে উচ্চতম নেতৃত্বে নির্দেশ দলের মধ্যে কোন কাজিয়া করা চলবে না । ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে চলতে হবে। দলের উর্ধ্বে কেউ নয়।

 

তাই কোন সমস্যা হলে তর্ক বিতর্ক না করে বসেই তার সমস্যার সমাধান করতে হবে। এখানে দলের মধ্যে কোন কাজিয়া বরদাস্ত  করা হবে না। তাই আগামী দিনে কি হয় কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসে নতুন কোন পট পরিবর্তন হয় নাকি যেমন ছিল তেমনই থাকবে সেটাই এখন দেখার। তবে একটা কথা ঠিক আগামী ১৬  ই সেপ্টেম্বর যত এগিয়ে আসছে  ততই যেন কালিয়াগঞ্জ শহরে শুরু হয়েছে আলোচনার টেবিলে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের মহা যোগদান সভায় কে কে যোগ দিচ্ছে বিজেপির কোন কোন নেতা।  সেটাই এখন দেখার । অনেকের মনে প্রশ্ন এবার কি তাহলে প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল যিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি কি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসছেন ?  এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *