October 28, 2024

কালিয়াগঞ্জের কুমারটুলির মৃৎশিল্পী সুধাংশু,নেপাল ফিরোজ পালেদের আতঙ্ক পূজার মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউযের আশঙ্কা

1 min read

কালিয়াগঞ্জের কুমারটুলির মৃৎশিল্পী সুধাংশু,নেপাল ফিরোজ পালেদের আতঙ্ক পূজার মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউযের আশঙ্কা

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৩১আগস্ট: গত বছর পূজা এসেছে আবার চলেও গেছে কিন্তূ তাদের কাছে গোটা পূজাটাই ছিল নিরানন্দে ভরা কয়েকটা দিন।এবারও কোন ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা টিভি রেডিও সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে আতঙ্ক বাড়ছে শুধু আমাদেরই। এখনো পূজার বরাত নেই।কালিয়াগঞ্জ শহরের ক্লাবগুলো বলছে এবার সরকার থেকে পূজার অনুদান না দিলে কোন পূজাই হবেনা।কালিয়াগঞ্জের।কুমার টুলি পাড়ার সুধাংশু পাল, নেপাল পাল মঙ্গলবার তাদের পালপাড়ার বাড়িতে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন যত করোনা পূজার সময় দেখা যায়।এইতো দেখেন এখনো করোনার কারনে কোন ক্লাব থেকে দুর্গা বানানোর কোন।বরাত মেলেনি।অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নিজের গ্যাটের পয়সা খরচ করে দুই একটা প্রতিমা।বানাচ্ছি।তবে তার দামের রেঞ্জ শুনলে আপনারই মন খারাপ হয়ে যাবে।যেখানে এক প্রতিমা বিক্রি করতাম ১৫-২০হাজার টাকা।সেখানে আবার ৫-৮হাজার সর্বোচ্চ দামের প্রতিমা বানাচ্ছি।

মৃৎশিল্পী সুধাংশু পাল বলেন সত্যি কথা বলতে কি বাজারে নাই করোনা,রাজনৈতিক দলের বড় বড় মিটিং কালিয়াগঞ্জে হচ্ছে সারাদিন ধরে কয়েক হাজার মানুষদের নিয়ে সেখানে করোনা নাই,দুয়ারে সরকারে গ্রামে যেমন কয়েক হাজার মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করছে,শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মাস্ক ছাড়া,দূরত্ব বজায় না রেখেই কাজ হচ্ছে সেখানে কিন্তূ করোনা নেই।মৃৎশিল্পী নেপাল পাল বলেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক না দেখিয়ে মানুষ এবার একটু প্ৰকৃত পূজার আনন্দে মাতোয়ারা হোক না কেন।

সরকারী প্রকল্প গুলিতে যদি হাজার হাজার মানুষ লাইন দিয়ে দুয়ারে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেখানে দুর্গাপূজায় প্রতিক্ষেত্রে কেন বাধা?করোনার দোহাই দিয়ে আমাদের মত গরিব মৃৎশিল্পী রা দুর্গাপূজায় কিছু ব্যবসা করে সারা বছর চলবো ভাবি।কিন্তূ তা হবার নয়। ফিরোজ পাল বলেন গত দুই বছর থেকে যেমন ইস্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে পড়াশোনার সেই পরিবেশ আর দেখা যায়না।

আমাদের পূজা পার্বনের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিবেশের অভাব হয়ে পড়েছে।পূজার কাউন্ট ডাউন টিভিতে দেখা গেলেও গ্রামে গঞ্জে পূজার কোন পরিবেশ নেই।সেই পূজা পূজা গন্ধ আর নেই।পুজা আসবে,পূজা হবে,কিছু সরকারি কর্মচারী আছে তারা পূজার পরিবেশ না থাকলেও জোর করেই পরিবেশ চারটা দিন তৈরি করে নেবে নিজেদের মত করে।কিন্তূ আমরা মৃৎশিল্পীরা যেখানে ছিলাম তার থেকেও দূরে সরে যাচ্ছি বুঝতে পারছি কিন্তূ কিছু করতে পারছিনা।

পরিতোষ পাল এবং পলাশ পাল বলেন সরকার সবাইকে সাহায্য করছে।কিন্তূ মৃৎশিল্পীদের দুঃখ কষ্টের দিকে কেন নজর দিচ্ছেন বুঝতে পারছিনা।আমাদের জাত ব্যবসাকে ধরে রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।অথচ এই প্রতিমা ব্যবসা করার জন্য সরকারের ব্যাঙ্ক থেকে আমরা কেন ঋণ পাবনা।সরকার থেকে আমাদের ঋণের।

ব্যবস্থা করলে আমরা আমাদের জাত ব্যবসাটা কোন ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম।কিন্তূ পূজা এলে এসব কথা আলোচনা হয় আবার তা শেষও হয়ে যায়।আমরা মৃৎশিল্পীরা যেমন ছিলাম তেমনি আছি।নেই কোন পরিবর্তন। পূজা আসলে আমাদের জন্য নয়।আমরা মৃৎশিল্পীরা দুই চারটা প্রতিমা তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের মুখে প্রতিবার পূজার সময় যে হাসি ফুটা তাম সেই ব্যবসা আমাদের হাত থেকে তা কেড়ে নিয়েছে নিয়েছে করোনার আতঙ্ক নামক তৃতীয় ঢেউ।

7 thoughts on “কালিয়াগঞ্জের কুমারটুলির মৃৎশিল্পী সুধাংশু,নেপাল ফিরোজ পালেদের আতঙ্ক পূজার মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউযের আশঙ্কা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *