October 28, 2024

কালিয়াগঞ্জ এ লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে শাশুড়ি বৌমার ঠোকাঠুকি। পৃথক আবেদনের হিড়িক।

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এ লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে শাশুড়ি বৌমার ঠোকাঠুকি। পৃথক আবেদনের হিড়িক।

তন্ময় চক্রবর্তী ।।পরিবারের গৃহকর্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলেই পরিবারের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি প্রত্যেক মহিলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, স্থানীয় স্তরে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এ কি শহরে কি গ্রামে একই পরিবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়ছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পুরোপুরি পরিবারকেন্দ্রিক। পরিবারের গৃহকর্ত্রীর নামে ওই কার্ড হলেও তাতে অন্যান্য সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকছে। কিন্তু, তারপরও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না অনেকেই। আবার অনেক পরিবারে শাশুড়ি-বউমা এবং জায়েদের মধ্যে ঠোকাঠুকিতে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আলাদা ফর্ম জমা পড়ছে। পারিবারিক সম্পর্কের জের গড়াচ্ছে সরকারি প্রকল্পের আবেদনেও।কালিয়াগঞ্জ শহরে স্বাস্থ্যসাথী সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মী বলেন, মাত্র আট দিনে স্বাস্থ্যসাথীর নতুন কার্ডের জন্য কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এটা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। কারণ, আগেই প্রচুর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।

একই পরিবার থেকে একাধিক আবেদন জমা পড়ছে। কিন্তু, একই পরিবারের জন্য একটি কার্ড ইস্যু করা হবে। সেই পরিবারের অন্য আবেদন বাতিল হবে। একই পরিবারে একাধিক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার নিয়ম নেই।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে আবেদনের জন্য আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্কের নিজের পাসবইয়ের কপির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরিবারকেন্দ্রিক। তাই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঘোষণা করেছেন, পরিবারের একজনের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সেই পরিবারের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি প্রত্যেক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু, সেসব কথা অনেকেই কানে তুলছেন না। তাঁদের ধারণা, আলাদা করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে একই পরিবারের একাধিক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন না। যেকারণে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য হামলে পড়ছেন অনেকেই। এজন্য ছবি তুলতে ও বায়োমেট্রিক ছাপ নিতে হয়। সেই লাইনেও মারাত্মক ভিড় জমছে।জানা যায়, একই পরিবারের চার ভা‌ই।

একই হাঁড়িতে রান্না হলেও স্বাস্থ্যসাথীর জন্য প্রত্যেকে আলাদা আবেদন করছেন এমন ও অনেক পরিবার রয়েছেন ।আবার শাশুড়ি-বউমা কিংবা দুই জায়ের সম্পর্ক খারাপ হলে সেক্ষেত্রে পৃথক আবেদনের ঘটনাও নজরে আসছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরিবারকেন্দ্রিক। বাড়ির একজনের নামে থাকলেও প্রত্যেকে তার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে পারবে। এটা সর্বত্র বোঝানো চলছে।আজ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ছিল।

 

ওই ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েই উৎসাহ বেশি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের এক পঞ্চায়েতে আধিকারিক জানান আমরা অনেক গ্রামে গ্রামে গিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করছি। একটি কার্ড থাকলে বাড়ির ২৫-৬০বছর বয়সি প্রত্যেক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের যোগ্য। একথা বোঝানোর পর একই পরিবার থেকে একাধিক স্বাস্থ্যসাথীর আবেদন কমেছে। ক্যাম্পেও এটা নিয়ে বোঝানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *