October 28, 2024

কালিয়াগঞ্জে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পুরন করছে কন্যাশ্রীরা। এখনো অব্দি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন পড়েছে ৩৬৫৬ জনের

1 min read

কালিয়াগঞ্জে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পুরন করছে কন্যাশ্রীরা। এখনো অব্দি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন পড়েছে ৩৬৫৬ জনের

তনময় চক্রবর্তী। রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। জেলার সব প্রান্তেই সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্যাম্পগুলিতে। সেখানে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে সদা তৎপর পুলিস প্রশাসন। কিন্তু ক্যাম্পে সাধারণ মানুষের হয়রানি ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা । তাদের উদ্যোগে শহরের সমস্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র পূরণের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে কন্যাশ্রীদের। পৌরসভার এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সাধারণ মানুষ।অন্যদিকে, সরকারের প্রশাসনিক কাজে নিজেদের যুক্ত করতে পেরে খুশি কন্যাশ্রী মেয়েরাও।

কন্যাশ্রী মেয়েরা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প গ্রহন করেছেন তাতে তারা খুব খুশি। তারা ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা। যেটা তারা কোনদিনও ভাবতে পারিনি।

তাই মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে সাধারন মানুষ কে সাহায্য করতে নিজেরাই এগিয়ে এসে লক্ষী ভান্ডার এর ফর্ম পুরন করে দিচ্ছেন সাধারণ  মানুষকে ।আজ কালিয়াগঞ্জ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত মনমোহন বালিকা বিদ্যালয় দেখা গেল এমন একটি চিত্র। যেখানে কন্যাশ্রী মেয়েরা সারিবদ্ধ ভাবে বসে একের পর এক সাধারণ গরিব পরিবারের মেয়েদের লক্ষী ভান্ডার এর ফর্ম পূরণ  করে দিচ্ছেন ।

শুধু ফর্ম পূরণ নয়, কোন কাউন্টারে কী ধরনের পরিষেবা মিলবে, সেব্যাপারেও সকলকে অবগত করতে সেই কন্যাশ্রী মেয়েরা এগিয়ে এসে সাধারন মহিলাদের সাহায্য করছেন।। কন্যাশ্রী মেয়েরা বলেন শুধু অশিক্ষিত মানুষই নয়, শিক্ষিত মানুষরা অনেক ক্ষেত্রেই ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার মুখে পড়ছেন। তাদের পাশে আমরা দাঁড়াচ্ছি, সাহায্য করছি। তারজন্য কোনও টাকা পয়সা নেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের যাতে পড়াশোনা চালানোর ক্ষেত্রে অর্থ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। অর্থের অভাবে কোনও পরিবারের মেয়েরা যাতে পড়াশোনা ছেড়ে বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে রাজি না হয় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় থাকা ছাত্রীরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই সুবিধা পেয়ে আসছে।

পাশাপাশি বাল্যবিবাহের হারও কমানো সম্ভব হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এ বহু ছাত্রী ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে। তাদেরকেই এবার দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে পৌর প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ এ চলা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে অসংখ্য মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি কর্মীদের দিয়ে সকলকে সাহায্য করতে না পারার সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করছে। এনিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সেকারণেই পৌরসভা এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে আজকে কালিয়াগঞ্জ এর মনমোহন বালিকা বিদ্যালয় এ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসে ছিল। সেখানে কন্যাশ্রী মেয়েরা সাধারণ মানুষের স্বার্থে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমর গুপ্তা। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত প্রকল্পগুলি নিয়েছে তার সবটাই স্বপ্নের প্রকল্প।

আর এই প্রকল্প গুলির সুবিধা সাধারণ মানুষ বেশি বেশি করে এখন পাচ্ছেন দুয়ারে সরকারে এসে। তিনি কন্যাশ্রী মেয়েদের এগিয়ে আসার জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী দিনেও এইভাবে যাতে কন্যাশ্রী মেয়েরা এগিয়ে এসে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় তার আবেদন করেন তিনি তাদের কাছে।

এর পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ এর  ১০নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি বঙ্কিম সরকার জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে সরকার আজ সত্যি সাধারণ মানুষের হৃদয় এ জায়গা করে নিয়েছে। আর তার জন্য সাধারন মানুষরা এখন বেশি বেশি করে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প গুলিতে আসছে তাদের প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধান করে নেওয়ার জন্য। প্রচুর মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান এখনো অব্দি কালিয়াগঞ্জ শহরে দুয়ারে সরকারে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে৩৬৫৬ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য ৯৯৩  জন আবেদন করেছে জন্ম সার্টিফিকেট এর জন্য ৫৩৪  জন আবেদন করেছে খাদ্যসাথী প্রকল্পের ২০৭  জন আবেদন করেছে এবং বিনামূল্যে শ্রমিক যোজনা প্রকল্পে ৩৮৬  জন আবেদন করেছে। তিনি বলেন দুয়ারের সরকার প্রকল্প সাড়া ফেলে দিয়েছে শহর থেকে গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *