October 28, 2024

বন্যা রোধে একাধিক মাস্টারপ্ল্যান হলেও আজও তার বাস্তবায়িত হয়নি উত্তর দিনাজপুরে

1 min read

বন্যা রোধে একাধিক মাস্টারপ্ল্যান হলেও আজও তার বাস্তবায়িত হয়নি উত্তর দিনাজপুরে

তনময় চক্রবর্তী সেই আশির দশকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমল থেকে পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু আজও তাঁর বাস্তবায়িত হয়নি।বন্যা রোদে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের।  মাস্টারপ্ল্যান না থাকায় প্রতিবছরই বর্ষাতেই জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে। দুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন ত্রাণ শিবিরে । ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। চাষিরা সর্বস্বান্ত হন। আদৌ কি মাস্টারপ্ল্যান কোনদিনও বাস্তবায়িত হবে সেই প্রশ্নই ঘুরছে। ইটাহারের বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনের বক্তব্য, বন্যা রোধে  মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা রয়েছে । তা বাস্তবায়িত হবে। কিছু কাজও চলছে। সেচ দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের নদী গুলিতে জল বাড়লেই প্লাবিত হয় সংলগ্ন এলাকা। কালিয়াগঞ্জ এ টাঙ্গন শ্রীমতি, হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জের কুলিক করণদিঘিতে নাগর মহানন্দা ইটাহারের মহানন্দা সুই গামারি নাগর চাকুলিয়ায় নাগর পিতানু, চোপড়ায় মহানন্দা ডাউক করতোয়া নদ-নদী উত্তর দিনাজপুর জেলায় বন্যার কারণ। এবার তো প্রাক  বর্ষাতেই জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। ভরা বর্ষায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তবে নেতা-নেত্রীরা যাই বলুন না কেন, বাস্তবে বন্যা রোধে তৃণমূল স্তরে কাজ হয়নি। যা কাজ হয়েছে সেটা প্রচার হয়েছে।

ফলে বন্যা প্রতি বছর আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক  সেচ কর্তা জানান , নদী গুলিতে অবৈধ বালি ও পাথর খাদান চলছে। যা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। এর জেরে প্লাবন আরো বাড়ে। বন্যা রোদে জেলার সর্বত্র পুকুর খননের উপর জোর দিতে হবে। পুকুরের জল জমলে নদীতে স্রোত  বাড়বে না। হুগলি ,উত্তর 24 পরগনা নদীয়া জেলায় গঙ্গা ভাগিরতি রয়েছে। সেখানের নদীতে স্রোত বাল্য প্লাবন হয় না। কারণ পুকুরের সংখ্যা অনেক। নদীতে শুধু জোয়ার হয়। এছাড়া বন্যা রোগে এই জেলায় নদী পাড় সংলগ্ন শাল বা  ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো বন্ধ করতে হবে। দুটি গাছের ই মাটি কে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। নদী পার সংলগ্ন এলাকায় ফল জাতীয় গাছ লাগাতে হবে ।কোথাও গাছ কাটলে গোড়া উপড়ে নেওয়া যাবে না । বনদপ্তর এর   নিয়মানুযায়ী গোড়া রেখে গাছ কাটতে হবে।নিয়ম অনুযায়ী একটি গাছ কাটলে পাঁচটা গাছের চারা রোপন করতে হবে। তা কার্যক্ষেত্রে হয়না। কয়েক বছর আগে কুলিক নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় সেচ  দপ্তরের তরফে ৫৫০ টি গাছ লাগানো হয়েছিল।

সেগুলির মধ্যে আজ কয়েকটি  মাত্র  আজ বেঁচে আছে। বন বিভাগ সেচ দপ্তরের লাগানো গাছ গুলির রক্ষণাবেক্ষণে নজর দেয় না বলে অভিযোগ। সেচ দপ্তরে কর্তারা বলেন নদীতে বিভিন্ন পার্বণে কলাগাছ প্লাস্টিক সহ নানান বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয়। সেই কাজ থেকে বিরত করতে হবে সাধারণ মানুষকে। বর্জ্য পদার্থ থেকে অন্য কিছু উৎপাদন করা যায় কিনা তা দেখতে হবে পুরসভাও পঞ্চায়েতগুলি কে। সুইস গেটের সংখ্যা বাড়াতে হবে যাতে নদীতে স্রোত বাড়ার আগেই জমা জল নেমে যায়। যদিও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় বন্যা রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জন্য।

তৎকালীন রায়গঞ্জের সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিলেন। পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত করেন এই বিজেপি সরকার। সিপিএমের জেলা সভাপতি অপূর্ব পাল বলেন বন্যার্তদের উত্তর দিনাজপুর জেলায় মাস্টারপ্ল্যান না হওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার দায়ী। আমাদের প্রাক্তন সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম  একাধিকবার সোচ্চার একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু একবারের জন্যও কর্ণপাত করেনি বিজেপি সরকার। তার দায় নিতে হবে বিজেপিকে ।

বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন কেন্দ্রে পরপর দুইবার মন্ত্রী হয়েছিলেন রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তিনি কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রী হয়েছিলেন। এই জেলার জন্য তিনি কি করেছেন। বিজেপিকে দোষ দিয়ে কি লাভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *