October 29, 2024

আগামী পৌর নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় তৃণমূল নিজের পায়ে দাঁড়াতে মরিয়া

1 min read

আগামী পৌর নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় তৃণমূল নিজের পায়ে দাঁড়াতে মরিয়া

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১০ আগস্ট:দীর্ঘ একটানা ২২ বছর কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা ছিল জাতীয় কংগ্রেসের দখলে। গত ১৬ সালের পৌর নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭ টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসন কংগ্রেস ছিনিয়ে নিয়েছিল।১ টি মাত্র আসন দখল করেছিল সিপিআইএম। পরবর্তীতে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে।সেই সময় কংগ্রেসের উপ-পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল ২০১৭ সালের ২১শে জুলাই কংগ্রেসের নির্বাচিত ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন সদস্যকে নিয়ে উপ-পৌর পিতা কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলে ২০১৭সাল থেকে তৃণমূলে কেও না জিতেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা বর্তমানে তৃণমূলের দখলেই আছে।তৃণমূল দল খুব ভালো করেই জানে কালিয়াগঞ্জের মানুষ কংগ্রেস প্রার্থীদের পৌরনির্বাচনে জিতিয়ে ছিলেন।তাই তৃণমূল কংগ্রেস কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পারলেও এবার যে তা কোন ভাবেই কংগ্রেসের ঘাড়ে বন্দুক রেখে পার পাওয়া যাবেনা তা তৃণমূল হারে হারে বুঝতে পেরেছে।

 

২০১৬র পর আর নির্বাচনে লড়তে হয়নি তৃণমূল দলকে।নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবার পর কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রশাষকের দায়িত্ব পান কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার মূল চালিকাশক্তি কার্তিক চন্দ্র পাল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে বাধ্য হয়ে বিজেপি দলে যোগ দেন।পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা নির্বাচনে কার্তিক চন্দ্র পাল তার অপমানের বদলা তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার প্রার্থী তপন দেব সিংহকে হারিয়ে বিজেপির সৌমেন রায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করে কার্তিক পাল দেখিয়ে দিয়েছেন তিনিই আসলে কিং মেকার।।

সেই কার্তিক পাল বর্তমান ২০১৫ র পর আর নির্বাচনে লড়তে হয়নি তৃণমূল দলকে।নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবার পর কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রশাষকের দায়িত্ব পান কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার মূল চালিকাশক্তি কার্তিক চন্দ্র পাল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে বাধ্য হয়ে বিজেপি দলে যোগ দেন।পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা নির্বাচনে কার্তিক চন্দ্র পাল তার অপমানের বদলা তুলে নিয়েছেন। তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার প্রার্থী তপন দেব সিংহকে হারিয়ে বিজেপির সৌমেন রায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করে কার্তিক পাল দেখিয়ে দিয়েছেন তিনিই আসলে কিং মেকার।

 

কার্তিক পাল বর্তমানে বিজেপির উত্তরUও দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।পেয়েছেন।জানা যায় বিজেপি নেতা কার্তিক চন্দ্র পাল আসন্ন পৌর সভার নির্বাচনকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপিরস্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন।বর্তমানে নির্বাচিত কোন বোর্ড না থাকার ফলে শহরের পরিসেবামূলক কাজে মাঝে মধ্যেই সমস্যা হছে।রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের ১১২টি পৌর সভার নির্বাচন একসাথে করার একটা ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বলে জানা যায়।বিধান সভার ভোট মিট তে না মিটতেই পৌর ভোটের যে দামামা বাজতে শুরু করে দিয়েছেন।

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় এবার সরাসরি ভোটের লড়াই হবে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে।যদিও বাম কংগ্রেস জোট এবারের পৌর সভা ভোটে বিজেপিকে শায়েস্তা করতে তৃণমূলের হয়েও লড়তে পারে।বাম ও কংগ্রেস একত্রে কোন কর্মসূচি না নিলেও আলাদা আলাদা কর্মসূচি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ধারা বাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।তবে অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে যেহেতু কার্তিক পাল বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল তাই সৌমেন রায়ের বাড়ি ফালাকাট হলেও তাকে জিতিয়ে এনেছিলেন কিং মেকার কার্তিক পাল।

আর তার জন্য কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭টি ওয়ার্ডেই বিজেপি তৃণমূলকে পরাস্ত করেছিল।এবারের পৌর নির্বাচনেও কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষের মধ্যে চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে আর যাই হোক তৃণমূলের বোর্ড পাওয়া বড় কঠিন হতে পারে।সে ক্ষেত্রে নাকি বিজেপি এবার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ক্ষমতা দখল করলেও করতে পারে বলে বিজেপির যুব মোর্চার উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌতম বিশ্বাস এবং কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার বিজেপির অবসার্ভার রানা প্রতাপ ঘোষ মনে করে।

রানা প্রতাপ ঘোষ বলেন তৃণমূল যদি মনে করে থাকে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত নমিনেশন দিতে বাধা দিয়ে,গন্ডগোল।করে পৌর সভা দখল করবে তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করবে।অপর দিকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা যেদিন থেকে তৃণমূলের হাতে এসেছে

সেদিন থেকে কালিয়াগঞ্জের শহরের প্ৰকৃত উন্নয়ন যে ঘটেছে তা একটা শিশুও বলে দেবে।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তৃণমূলের হাতে আসার পর থেকে কালিয়াগঞ্জ শহরের একটার পর একটা উন্নয়নের কর্মকান্ড চলছে।যা কালিয়াগঞ্জের পৌর সভার ইতিহাসে এমন উন্নয়ন কেও দেখেনি।

কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ উন্নয়ন চায় আর তৃণমূল পৌর বোর্ড শহরের উন্নয়নে উন্নয়ন দেয়।এটাই অন্য দলের সাথে তৃণমূলের পার্থক্য বলে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন।তবে কালিয়াগঞ্জের মানুষ মনে করে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা ভোটের মাধ্যমে যদি দখল করতে পারে তাহলে বুঝতে হবে তৃণমূল দল কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *