October 29, 2024

মমতার দুষ্ট গরু-তোপ, ওই গোয়ালে কেউ থাকবে না, পাল্টা কটাক্ষ রাজীবের

1 min read

মমতার দুষ্ট গরু-তোপ, ওই গোয়ালে কেউ থাকবে না, পাল্টা কটাক্ষ রাজীবের

এত কিছু করল তোমাদের জন্য, আর তোমরা চলে গেলে। মা দরকারের সময় তোমাদের পাবে না! তোমরা বিট্রে করলে। তোমাদের ইচ্ছা হলে চলে যাও। আমার তাতে কিছু যায় আসে না। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ঢের ভাল। সবাই পাপ করেছ। যারা পাপ করেছে তারা চলে গেছে। এতে দলের ভাল হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে এভাবেই দলত্যাগীদের আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরের সভাতে তিনি আরও বলেন, এটা মুর্শিদাবাদ, নবাব সিরাজদ্দৌলার জেলা। মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাংলার মানুষ মীরজাফরদের জবাব দিয়ে দেবে। যারা গেছে জবাব পেয়ে যাবে। যারা অসাধু তারা দলকে বিক্রি করে।আমাকে ধমকে চমকে লাভ হবে না। যে দু’একজন গেছে ভাল হয়েছে। আরও যারা যারা বিজেপিতে যেতে চাও চলে যাও। আমার কিছু যায় আসে না। বলাবাহুল্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় মূলত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, যারা দলকে বিক্রি করে, তাদের দলে জায়গা নেই।

বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে চলে যাও। এভাবেই এদিন দুটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন দলত্যাগীদের। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাপীঠের চিলা মঠের সভা থেকে তিনি বলেন, দুষ্ট গরুর কথা বলছেন, একদিন দেখবেন আপনার গোয়ালটা শূন্য হয়ে গেছে। সেখানে আর একটাও গরু নেই। আমরা পুণ্য করেছি। যতদিন ছিলাম আপনার ভাল হয়েছে। এখন চলে এসেছি, আর দেখতে পাচ্ছি দলটা পাপে ভরে গেছে। বিধানসভা নির্বাচনে এর ফল পাবেন।এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন সদ্য প্রাক্তন বনমন্ত্রী। ইদানিং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বারবার বলছেন, খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। তাই অনুব্রতের জেলায় দাঁড়িয়ে রাজীব ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, আমরাও খেলতে জানি। খেলোয়াড় আমরা একই আছি। শুধু জার্সিটা বদলে গেছে। অর্থাত্‍ বিজেপি সভাপতি যেদিন রাজ্যে এলেন সেদিন দেখা গেল যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এদিকে মমতার সভায় হাজির থাকেননি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। বাবার চিকিত্‍সার জন্য কলকাতায় রয়েছেন তিনি, এটাই বলেছেন। কিন্তু তা সত্বেও তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছে। কারণ জেলা রাজনীতিতে মোশারফ বহুদিন ধরেই তত্‍কালীন তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের সেই সময়কার মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন।পরবর্তীকালে শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব এবং দল ছাড়ার পরেও মোশারফের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে মুর্শিদাবাদে কান পাতলেই শোনা যায়। কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেদিনের বৈঠকেও হাজির ছিলেন না মোশারফ। যদিও সেদিন ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলেন তিনি। অর্থাত্‍ তাঁকে নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই গেছে জোড়াফুল শিবিরে। তাই মমতাকে বহরমপুরে দাঁড়িয়ে জোরালো কন্ঠে বলতে শোনা গিয়েছে, যার মনে হবে সে বিজেপিতে চলে যাও। সবাইকে বলছি বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়তে পারে তৃণমূল। সিপিএম বা কংগ্রেস পারবে না। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। সেটা চাইলে ওদের ভোট দেবেন। নাহলে তৃণমূলকে বেছে নিন। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার মমতার দুষ্ট গরু তোপ নিয়ে চর্চা চলল দিনভর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *