October 29, 2024

ভোর হতে না হতে মাটির ভাঁড়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে চাপে চর্চা হল কালিয়াগঞ্জ মানুদার চায়ের দোকানে

1 min read

ভোর হতে না হতে মাটির ভাঁড়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে চাপে চর্চা হল কালিয়াগঞ্জ মানুদার চায়ের দোকানে

পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীর-মন ভালো লাগছে না? কিংবা এই শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন? সব কিছুর একটাই সমাধান গরমাগরম এক কাপ চা৷মুহৃর্ত যেমনই হোক না কেন, বাঙালিদের সকাল সকাল ঐ এক কাপ চা যেন পুরো দিনটাই বদলে দেয়। আর সেই চা যদি মাটির ভাঁড়ে হয় তবে তো সোনে পে সোহাগা। আর ভোর হতে না হতেই সেই মাটির ভাঁড়েরচা খেয়েই কিন্তু দিন শুরু হয় কালিয়াগঞ্জ বাসির।

হ্যাঁ কালিয়াগঞ্জ এর মা বয়রা কালী মন্দিরের সামনে স্বরূপ সাহা এখন সকলের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছে। আর পাঁচজন যখন সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে রাতে অঘর ঘুম ঘুমান ঠিক তখন স্বরূপ সাহা ভোর সাড়ে তিনটে ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকান খুলে দেয় ভোর বেলায় যারা একটু চায়ের জন্য হা পিত্তেষ করে তাদের জন্য।

স্বরূপ সাহার চা খেয়েই কিন্তু সকাল সকাল কালিয়াগঞ্জ এর সমস্ত বাস ড্রাইভার থেকে শুরু করে সমস্ত যাত্রী দের দিন শুরু হয়। শীত কিংবা বর্ষা ভোর হতে না হতেই চায়ের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন স্বরূপ বাবু।কালীবাড়ির রাস্তায় সকাল সকাল স্বরূপ বাবুর মাটির ভাঁড়ের মাত্র ৭ টাকা দিয়ে তন্দুরি চা খেতে কিন্তু ভিড় জমান বহু মানুষ। চা বিক্রেতা স্বরূপ সাহা বলেন, ‘কাগজ, প্লাস্টিক, কাঁচে সব সময় মানুষ চা খেতে পছন্দ করে না। তাই আমি চিন্তা করলাম মাটির ভাঁড়ের চা দিতে।

কারণ এই মাটির ভাঁড়ের চায়ে পোড়া মাটির একটি গন্ধ আছে।’উল্লেখ্য সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে আসছে , প্লাস্টিকের কাপে চা পানে নষ্ট হয় ভ্রূণ,সন্তান হতে পারে বিকলাঙ্গ।সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচলিত কাঁচ বা সিরামিকের চায়ের কাপের পরিবর্তে অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের কাপ। দামে সস্তা হওয়া আর ধোয়ার ঝামেলা এড়াতে দোকানিরা এসব প্লাস্টিকের চায়ের কাপ ব্যবহার করছেন।

গবেষকরা বলছেন, প্লাস্টিকের কাপে চায়ের গরম জল ঢালার সঙ্গে সঙ্গে এর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিসফেলোন-এ তৈরি হয়। বিসফেনল-এ থাইরয়েড হরমনকে বাধা দেয়। বাধাপ্রাপ্ত হয় মস্কিকের গঠনও। গর্ভবতী নারীদের রক্ত থেকে বিসফেনল-এ যায় ভ্রূণে, নষ্ট হতে পারে ভ্রূণ, দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব।

আবার সন্তান বিকলাঙ্গও হতে পারে। আর এই সমস্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখেই কিন্তু আজ বহু বছর ধরে ই পথ চলতি মানুষদের মাটির ভারে চা পরিবেশন করে চলছেন কালিয়াগঞ্জ এর স্বরূপ সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *