October 29, 2024

দূর্নীতি প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জ বিজেপি যুব মোর্চার ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশ কিসের ইঙ্গিত।

1 min read

দূর্নীতি প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জ বিজেপি যুব মোর্চার ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশ কিসের ইঙ্গিত ?

৮ ডিসেম্বর শুক্রবার। জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ, উঃ দিনাজপুর।আজ বেলা ১.৩০ মিঃ টে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় ধরণা ও বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টির কালিয়াগঞ্জ মন্ডল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা কে। একটি আলোচিত ফেস্টুন নিয়ে জনা পঞ্চাশেক ভারতীয় জনতা পার্টির পুরুষ ও মহিলা কালিয়াগঞ্জ মন্ডল যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইক নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় এসে ধরণা ও বিক্ষোভে সামিল হতে দেখে অনেকের চক্ষু চড়কগাছ। জনসমাগম পৌরসভার অফিস চত্তরে বিজেপির যুব মোর্চার উল্লিখিত আলোচিত ফেস্টুন দেখে এবং তাদের বক্তব্য কে ঘিরে অনেককেই মিচকি হাসতে দেখা যায়।

কারণ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে যে সকল পৌরসভা ও কর্পোরেশনে মেয়াদ শেষ হয়েছে সেইসকল পৌরসভার ও কর্পোরেশনের পদে থেকে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা বিরোধী রাজনৈতিক দলের পৌরপতি ও মেয়র দের পৌর প্রশাসক পদে আসীন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সেই পৌর প্রশাসকের সাথে কয়েকজন কে যুক্ত করে পৌর প্রশাসক বোর্ড গঠন করে পৌরসভার কাজ পরিচালনা করবার দায়িত্ব অর্পণ করেন। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পৌরসভার মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক পদে আসীন হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল।

পৌর প্রশাসক পদে তিনি যতদিন ধরে আসীন ছিলেন ততদিন পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার তরফ থেকে একদিনেও কোনো উল্লিখিত লেখায় ফেস্টুন সহযোগে ধরণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায় নি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চত্তরে। কিন্তু দলবদলের যাত্রা পালায় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল যিনি একবার কংগ্রেস থেকে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন ঠিক সেই পথেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করার পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা বহিষ্কৃত হন। তবে কার্তিক চন্দ্র পাল বিজেপি দলে যোগদান করে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় অনুপস্থিত থেকেই গেছেন। এর পরে গত তিনদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগর উন্নয়ন দপ্তর কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক পদ থেকে কার্তিক চন্দ্র পাল কে সরিয়ে দিয়ে নতুন ভাবে পৌর প্রশাসক পদে আসীন করেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিগত পৌর বোর্ডের ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পৌর কাউন্সিলর শচীন সিংহ রায় কে। শচীন সিংহ রায় রাজনৈতিক শুধু ব্যাক্তি নন তিনি ২০ বছর ধরে টানা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর কাউন্সিলর। সেখানে আজকের বিজেপি যুব মোর্চার নেতৃত্বে ধরণা ও বিক্ষোভ সমাবেশে উল্লিখিত পোস্টার কে সামনে রেখে যেভাবে ধরণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো সেটা দেখে এবং এই সমাবেশে তাদের বক্তব্য শুনে জনসমাগম ভর্তি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা চত্তরে মানুষজন মিচকি হাসি হাসছিলেন। অনেককেই ফিসফিস করে বলতে শোনা গেল কার্তিক চন্দ্র পাল কে যখন পৌর প্রশাসক করা হয়েছিল তখন তো বিজেপি যুব মোর্চার তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো ধরণা ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় নি তাহলে এখন কিসের জন্য। নাকি ভিতরে ভিতরে অনেকদিন আগে থেকেই কার্তিক চন্দ্র পাল বিজেপি দলের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলেই হয়তো কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় বিজেপি যুব মোর্চার কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ চোখে পরে নি হয়তো। এই সমাবেশ কে সামনে রেখে বিজেপি যুব মোর্চার বক্তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেছেন বিগত দিনে কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার দুর্নীতির বিষয় সমূহ এবং সেই সকল দূর্নীতির অন্যতম সুইমিং পুলের কথা। এখন নাকি সেই সুইমিং পুলে দূর্নীতি সাঁতার কাটছে। এই বক্তব্যের আওয়াজ যখন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চত্তরে সশব্দে আছড়ে পরছে ঠিক সেই সময় পৌর পরিষেবা নিতে আসা কালিয়াগঞ্জ পৌর নাগরিকরা এ ওর মুখের দিকে চেয়ে হাসাহাসি করছেন এবং একে অন্যকে বলাবলি করছেন যদি বিগত পৌর বোর্ডের কোনো দূর্নীতি হয়েই থাকে বা সুইমিং পুলে দূর্নীতি সাঁতার কেটেই থাকে তাহলে কি সদ্য বিজেপি দলে যোগদান করা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিগত মেয়াদ শেষ করা পৌর পতি তথা প্রাক্তন পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল কে উদ্দেশ্য করেই বলা হচ্ছে নয় কি? কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় দূর্নীতি ও সুইমিং পুলে দূর্নীতি সাঁতার কাটছে বলে যে অভিযোগ আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে বিজেপি যুব মোর্চার নেতৃত্বরা আনলেন সেটাতো না এনেই এখন তাদের দলের সম্পদ কার্তিক চন্দ্র পালের কাছেই জানার চেষ্টা করতে পারতেন, নাকি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার দূর্নীতির বিষয়টি সত্যি বলেই এবং বাস্তবে সুইমিং পুলে দূর্নীতি এখনও সাঁতার কাটছে এই সত্যের বাস্তবতায় বর্তমানের কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রশাসকের কাছে বার্তা দিতে চাইলেন কার্তিক চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত করা হোক। আজকের কালিয়াগঞ্জ মন্ডল বিজেপি যুব মোর্চা কতৃক ধরণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ যেমন অনেকেই অযৌক্তিক বলে মনে করলেন তেমনি এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিজেপি যুব মোর্চার বক্তাদের বক্তব্য অনেক বাস্তব সত্যতার বিষয় বিশেষতঃ দূর্নীতি ও সাঁতারে দূর্নীতি বিষয়টিকে উস্কে দিয়ে গেল। তবে আজকের দূর্নীতি প্রসঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশ কে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের কাছে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল কুমার ঘোষ জানালেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় বিগত ৪ বছর ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে ও কাজ চলছে বাংলার গর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং প্রাক্তন পৌরপতি ও পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে পৌর বোর্ডের মাধ্যমে যেমন , তেমনি বিজেপির যুব মোর্চা কর্তৃক পৌরসভার দূর্নীতির বিষয় সমূহের দায়ভার অবশ্যই একনায়কতন্ত্র প্রাক্তন পৌরপতি তথা পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের যিনি বর্তমানে দূর্নীতির ইস্যু তোলা রাজনৈতিক দল বিজেপির সম্পদ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *